Advertisement
Advertisement

Breaking News

ধান

ধান চাষে প্রয়োজন বৃষ্টির, ঘাটতি মিটতেই শ্রাবণ শেষে চারা রোপণে ব্যস্ত কৃষকরা

৪০ হাজার হেক্টর জমিতে ধান রোপণের কাজ করেছেন বর্ধমানের কৃষকরা।

Now farmers are busy to planted paddy in East Burdwan

ছবি: প্রতীকী

Published by: Sayani Sen
  • Posted:August 15, 2019 9:05 pm
  • Updated:August 15, 2019 9:06 pm

সৌরভ মাজি, বর্ধমান: শেষবেলায় যেন টি-২০ ধাঁচে ব্যাটিং বরুণদেবের। বৃষ্টিপাতের ঘাটতি পুষিয়ে দিয়েছে প্রায়। আর খরিফ মরশুমে পূর্ব বর্ধমান আমন ধান চাষেও যেন টি-২০ ক্রিকেটরই ছোঁয়া। ধান চাষের লক্ষ্যমাত্রায় প্রায় পৌঁছে গিয়েছে এই জেলা। গত দু’দিনেই প্রায় ৪০ হাজার হেক্টর জমিতে ধান রোপণের কাজ হয়েছে। আগামী দু’দিনে লক্ষ্যমাত্রার বাকি ৪০ হাজার হেক্টর জমিও পূরণ হয়ে যাবে বলে আশা করছেন কৃষিদপ্তরের কর্তারা।

[আরও পড়ুন: স্বদেশের কচু পাড়ি দিল বিদেশে, সাফল্যে আনন্দিত বীরভূমের কৃষকরা]

কৃষিদপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, জেলায় এবার ৩ লক্ষ ৮০ হাজার হেক্টর জমিতে আমন ধান চাষের লক্ষ্যমাত্রা ছিল। আর এই ধান চাষের সরকারি হিসেবে চারা রোপণের সময় ১৫ জুলাই-১৫ আগস্ট পর্যন্ত। পাঁচদিন দেরি হলেও সমস্যা নেই। তবে তার পরে ধান রোপণের কাজ হলে সমস্যা দেখা দেয়। কৃষি দপ্তরের হিসেবে এবার ধান রোপণের মরশুম শুরু হলেও বৃষ্টিপাত কম হওয়ায় সমস্যা দেখা দিয়েছে৷ ধানচাষ মূলত বৃষ্টির জলনির্ভর। গত জুন মাসে জেলায় বৃষ্টিপাতের ঘাটতি ছিল ৫৭ শতাংশ। জুলাইয়ে সেই ঘাটতি ছিল প্রায় ৩৫ শতাংশ। গত সপ্তাহে তা ছিল প্রায় ২৫ শতাংশ। কিন্তু গত তিন-চারদিনে ভাল বৃষ্টি হয়েছে জেলায়। বুধবারও প্রবল বৃষ্টিপাত হয়েছে। আর তাতেই কৃষি কর্তারা জানাচ্ছেন, বৃষ্টিপাতের ঘাটতি প্রায় মিটে গিয়েছে৷

Advertisement

[আরও পড়ুন: মাটির পরিবর্তে প্লাস্টিকের ট্রে-তে তৈরি হচ্ছে ধানের চারা, বর্ধমানে কৃষি বিপ্লব]

বৃষ্টির পাশাপাশি সেচের জলও মিলছে ডিভিসির সেচখালগুলিতে। মাইথন ও পাঞ্চেত জলাধার থেকে টানা জল ছাড়া হয়েছে। কৃষিদপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, গত সপ্তাহ পর্যন্ত জেলায় প্রায় ১ লক্ষ হেক্টর জমিতে ধানের চারা রোপণ বাকি ছিল। এই সপ্তাহের শুরুতেই বৃষ্টিতে গতি পায় ধানের চারা রোপণেও। গত তিন দিনে জেলায় প্রায় ৬০ হাজার হেক্টর জমিতে ধান রোপণের কাজ হয়েছে। আগামী দুই থেকে তিনদিনের ৩ লক্ষ ৮০ হাজার হেক্টরের লক্ষ্যমাত্রা পৌঁছে যাবে। কৃষি আধিকারিকদের আশঙ্কা ছিল লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করতে ২০ আগস্ট পেরিয়ে যেতে পারে। কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতিতে তার আগেই জেলায় চাষ সম্পন্ন হয়ে যাবে বলে মনে করছেন তাঁরা। জেলার উপকৃষি অধিকর্তা (প্রশাসন) জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায় জানান, গত দু’দিন খুব ভাল বৃষ্টি হয়েছে। এখনও চলছে। তাতে নির্দিষ্ট সময়েই জেলায় ৩ লক্ষ ৮০ হাজার হেক্টর জমিতে খরিফের ধানচাষের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হয়ে যাবে।

Advertisement

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ