Advertisement
Advertisement
নদিয়া

জেলা পরিষদের ডেপুটি সেক্রেটারির যোগদান ঘিরে মতানৈক্য, থমকে নদিয়ার প্রশাসনিক কাজ

যোগদানের আগেই ডেপুটি সেক্রেটারির সঙ্গে টানাপোড়েনে অপসারিত জেলাশাসক।

Controversy started over District Secretary's joining in Nadia
Published by: Tiyasha Sarkar
  • Posted:August 20, 2019 3:59 pm
  • Updated:August 20, 2019 4:45 pm

পলাশ পাত্র, তেহট্ট: নদিয়া জেলা পরিষদের ডেপুটি সেক্রেটারির যোগদান ঘিরে দীর্ঘদিন ধরেই চলছে বিতর্ক-টানাপোড়েন। সেই বিতর্কের জেরেই ইতিমধ্যেই বদলি করা হয়েছে জেলাশাসককে। সোমবারই আনুষ্ঠানিকভাবে দায়িত্ব নিয়েছেন নতুন জেলাশাসক। কিন্তু কর্মক্ষেত্রে এখনও যোগ দেননি নদিয়া জেলা পরিষদের নতুন ডেপুটি সেক্রেটারি। ফলে প্রশাসনিক কাজকর্ম থমকে থাকায় ক্ষোভ বাড়ছে সাধারণের মধ্যে।

[আরও পড়ুন:মিড ডে মিল কাণ্ডে তৎপর বিকাশ ভবন, চুঁচুড়ায় স্কুল পরিদর্শনে যাচ্ছেন প্রজেক্টের ডিরেক্টর]

মাস খানেক আগে নদিয়া জেলা পরিষদের ডেপুটি সেক্রেটারি হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার কথা ছিল ডানকুনিতে কর্মরত ডব্লুিউবিসিএস অফিসার ইমরান ওয়াহেবের। কিন্তু রিলিজ না পাওয়ার কারণে নির্দিষ্ট সময়ে যোগ দিতে পারেননি তিনি। এই পরিস্থিতিতে কাজে যোগদান করা নিয়ে নদিয়ার জেলাশাসক পবন কাদিয়াল ফোন করেন ইমরান ওয়াহেবকে। অভিযোগ ওঠে, পবন কাদিয়াল ফোন করে ইমরানকে কটূক্তি করেছেন। এমনকী তাঁদের ফোনের কথোপকথনও ছড়িয়ে পড়ে। এরপরই নদিয়ার ডব্লুিউবিসিএস অফিসারদের সংগঠন ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে একত্রিত হন। জেলাশাসক পবন কাদিয়ালকে অবিলম্বে না সরানো হলে কর্মবিরতির হুমকিও দেন তাঁরা।

Advertisement

এরপরই পবন কাদিয়ালকে অর্থদপ্তরে পাঠিয়ে দেওয়া হয় প্রশাসনের তরফে। সোমবারই কাজে যোগ দেন নদিয়ার নতুন জেলাশাসক।  কিন্তু যাকে নিয়ে এত ঘটনা সেই ইমরান ওয়াহেব কিন্তু এখনও নদিয়ায় ডেপুটি সেক্রেটারি পদে যোগদান করতে পারেননি। আর প্রায় এক মাসের বেশি সময় পেরিয়ে যাওয়ার পরও তিনি যোগদান না করায় জমছে কাজের পাহাড়। পরিষেবা না পেয়ে  অতিষ্ঠ হয়ে উঠছেন স্থানীয়রা।

Advertisement

রিলিজ অর্ডারের কারণে যোগদান করা সম্ভব হচ্ছে না বলে জানানো হলেও জেলা পরিষদ আদৌ তাঁর যোগদান চাইছে কি না তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। এপ্রসঙ্গে জেলা পরিষদের  সভাধিপতি রিক্তা কুণ্ডু বলেন, “জেলা পরিষদে ডেপুটি সেক্রেটারি নেই। এটা এখানকার ব্যাপার তো নয়, এটা রাজ্য দেয়। তাই বলতে পারব না কী হচ্ছে। আর আমাদের এ বিষয়ে কিছু জানা নেই। রাজ্য সরকার যা করবে তাই হবে। যে আসবে, থাকবে, তাঁকে এনিয়ে আমরা কাজ করব।” ডব্লুিউবিসিএস অফিসারদের একাংশের বক্তব্য, “উনি আসার আগেই জেলাশাসককে সরে যেতে হল। তাহলে উনি যোগ দিলে আর কার কী বিপদ হবে, সেই আশঙ্কা থাকছেই। তার চেয়ে ওই আধিকারিকের না আসাই ভাল।”

   [আরও পড়ুন:নরেন্দ্রপুরে ডাকাতিতে বাংলাদেশি যোগ! গ্রেপ্তার মূলচক্রী-সহ আরও ৩]

ঘটনা প্রসঙ্গে ইমরান ওয়াহেব জানান, “যেদিন আমি রিলিজ অর্ডার পাব সেদিনই যাব। রিলিজ অর্ডার না পাওয়া পর্যন্ত আমি যেতে পারছি না।” তবে তাঁর যোগদানের বিষয়ে যে মতানৈক্য তৈরি হয়েছে তা জানা নেই বলেই মন্তব্য করেন তিনি। তবে এই ঘটনা ঘিরে প্রশাসনিক মহলে দমবন্ধ অবস্থা। 

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ