Advertisement
Advertisement

Breaking News

ঘুরপথে ভোটার তালিকাতেও নাম তুলছে রোহিঙ্গারা, তদন্তে বাংলাদেশ পুলিশ

দুর্নীতি দমন কমিশনকে তদন্তের নির্দেশ হাসিনা প্রশাসনের৷

Bangladesh Police started investigation on Rohingya's voter card

ফাইল ফোটো

Published by: Tanujit Das
  • Posted:September 16, 2019 7:46 pm
  • Updated:September 16, 2019 8:05 pm

সুকুমার সরকার, ঢাকা: আশ্রয়প্রার্থী হয়ে এতদিন বাংলাদেশে ছিল যে রোহিঙ্গারা, আজ তারাই হয়ে উঠেছে মাথাব্যথার কারণ৷ মাদক কারবার থেকে শুরু করে খুন–ডাকাতি, বিদেশী কিশোরী-যুবতী পাচার চক্রের সঙ্গে জড়িয়ে পড়েছে এরা। যে কারণে আগেই রোহিঙ্গাদের মোবাইল ব্যবহার নিষিদ্ধ করেছে হাসিনা সরকার। আর এবার বাংলাদেশের ভোটার তালিকায় রোহিঙ্গাদের নাম তোলা নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে বাংলাদেশ পুলিশের দুর্নীতি দমন কমিশন৷

[ আরও পড়ুন: ‘জাতীয় সংগীত পরিবর্তনের কথা বলিইনি’, ফের অভিযোগ অস্বীকার গায়ক নোবেলের ]

Advertisement

জানা গিয়েছে, ভোটারদের তথ্যসম্বলিত একটি ল্যাপটপ চট্টগ্রাম জেলা নির্বাচনী কার্যালয় থেকে কয়েকদিন আগেই খোয়া গিয়েছে৷ ল্যাপটপ খোয়া যাওয়া এবং রোহিঙ্গাদের ভোটার তালিকায় নাম তোলার পিছনে, নির্বাচনী কার্যালয়ের কারও কারও যোগ রয়েছে বলে অনুমান তদন্তকারীদের৷ রবিবার চট্টগ্রাম জেলা নির্বাচনী কার্যালয়ে গিয়েছিল তদন্তকারীদের একটি দল৷ রোহিঙ্গাদের ভোটার তালিকায় নাম তোলার বিষয়ে অনুসন্ধান করেন তারা। পরে দুর্নীতি দমন কমিশন শীর্ষ আধিকারিক মহম্মদ শরিফউদ্দিন বলেন, ‘‘এক সপ্তাহের এই নিয়ে দ্বিতীয়বার নির্বাচনী কার্যালয়ে কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সঙ্গে কথা বললাম। রোহিঙ্গারা কীভাবে, কাদের সহযোগিতায় ভোটার তালিকায় নাম তুলছে সেই তদন্তই করছি৷ পাঁচলাইশ থানার অন্তর্গত নির্বাচনী কার্যালয়ে ব্যবহৃত একটি ল্যাপটপ পাওয়া যাচ্ছে না। এই ল্যাপটপ খোয়া যাওয়ার বিষয়ে কোনও সাধারণ ডায়েরিও হয়নি। এ বিষয়ে জেলা কর্মকর্তা কিংবা আঞ্চলিক কর্মকর্তারা কোনও তথ্য জানেন না। আমাদের ধারণা, ওই ল্যাপটপে বাঁশখালীর একটি অংশের বেশ কিছু রোহিঙ্গা ভোটারের তথ্য রয়েছে।’’

Advertisement

[ আরও পড়ুন: ইউক্যালিপটাসে পরিবেশের ক্ষতি! সব গাছ কেটে ফেলার সিদ্ধান্ত হাসিনা প্রশাসনের ]

শরিফউদ্দিন আরও বলেন, ‘‘রোহিঙ্গারা কাদের সহায়তায় এনআইডি বা স্মার্টকার্ড ও পাসপোর্ট পাচ্ছে, তা অনুসন্ধানের জন্য পাসপোর্ট এবং নির্বাচনী কার্যালয়ে যাওয়া। প্রাথমিকভাবে নির্বাচন কার্যালয়ের কর্মচারী, সিটি কর্পোরেশন এবং জেলাস্তরের প্রতিনিধিদের যোগসাজশ থাকতে পারে বলে সন্দেহ করছি। এমন ৫৪ জনের তথ্য চট্টগ্রামের মনসুরাবাদ পাসপোর্ট অফিস থেকে পেয়েছি৷’’ শুধু চট্টগ্রামেই নয়, বান্দরবান ও কক্সবাজার জেলায় রোহিঙ্গাদের ভোটার হওয়ার তথ্যেরও তদন্ত করছে দুর্নীতি দমন কমিশন। এ প্রসঙ্গে চট্টগ্রাম জেলা নির্বাচনী আধিকারিক মুনির হোসেন খান বলেন, ‘‘রোহিঙ্গা ভোটারদের নিয়ে দুর্নীতি দমন কমিশন অনুসন্ধান শুরু করেছে। রোহিঙ্গাদের ভোটার হওয়া তথ্য তারা নিয়ে গিয়েছেন।’’

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ