Advertisement
Advertisement

Breaking News

ইউনেস্কো

দার্জিলিং হিমালয়ান রেলওয়ের নির্দিষ্ট সীমানা নির্ধারণ ও সংরক্ষণে জোর ইউনেস্কোর

দার্জিলিংয়ে বৈঠক করেছে ইউনেস্কোর প্রতিনিধি দল।

UNESCO emphasizes the preservation of Himalayan Railway
Published by: Bishakha Pal
  • Posted:September 17, 2019 8:18 pm
  • Updated:September 17, 2019 8:18 pm

সংগ্রাম সিংহরায়, শিলিগুড়ি: ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইট হিসেবে কুড়ি বছর ধরে তকমা ধরে রাখার পরও দার্জিলিং হিমালয়ান রেলওয়ের (ডিএইচআর) নির্দিষ্ট সীমানা নির্দেশ করা হয়নি। এবার সেই লক্ষে কাজ শুরু করবে ডিএইচআর এবং ইউনেস্কো ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইট প্রতিনিধি দল। সম্প্রতি দু’দিনের বৈঠকে উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেল, দার্জিলিং হিমালয়ান রেলের সঙ্গে ইউনেস্কো প্রতিনিধি দল বৈঠক করে। সেখানেই উভয়পক্ষের মধ্যে আলোচনায় নির্দিষ্ট সীমানা নির্ধারণের বিষয়টি নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এও ঠিক হয়, দ্রুত বিষয়টি ঠিক করতে ফের একবার বৈঠকে বসা হবে।

[ আরও পড়ুন: এবার দিঘায় বেড়াতে গিয়ে এই মজা থেকে বঞ্চিত হবেন, কী জানেন? ]

প্রাথমিকভাবে উত্তরপূর্ব সীমান্ত রেল ডিএইচআরকে সঙ্গে নিয়ে সীমানা ঠিক করবে। তারপর সেটা ইউনেস্কোর সঙ্গে কথা বলে সিলমোহর দেওয়া হবে। ইউনেস্কোর নয়াদিল্লির প্রতিনিধি যুহ্নি হান জানান, বৈঠকে বিভিন্ন বিষয়ে কথা হয়েছে। টয়ট্রেন এবং হেরিটেজ দার্জিলিং হিমালয়ান রেলওয়েকে আরও বেশি আকর্ষণীয় করে তুলতে একাধিক পদক্ষেপ নেওয়ার কথা ঠিক হয়েছে। তার মধ্যে পুরনো বেশকিছু পদক্ষেপকে কার্যকর করার বিষয়েও আলোচনা হয়েছে। একটি ‘কম্প্রিহেনসিভ কনজারভেশন ম্যানেজমেন্ট প্ল্যান’ নেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি ট্রেনের লাইনে কোনও রকম জবরদখল বা এনক্রোচমেন্ট বরদাস্ত করা হবে না বলেও তিনি জানান।

Advertisement

[ আরও পড়ুন: এবার গঙ্গাবক্ষে প্যাকেজে তর্পণ, থাকছে পেটপুজোর বিশেষ সুযোগ ]

কাটিহারের ডিআরএম রবীন্দ্রকুমার বর্মা বলেন, “শুধুমাত্র টয় ট্রেন বা তার রেললাইনটিই হেরিটেজের অংশ, তা নয়। দার্জিলিং হিমালয়ান রেলওয়ে এবং তার সঙ্গে সম্পৃক্ত প্রত্যেকটি বিষয়কে নিয়ে হেরিটেজ তকমা দেওয়া হয়েছে।” তার মধ্যে যেমন রেললাইন রয়েছে তেমনি দার্জিলিং যাওয়ার পথে প্রতিটি স্টেশন, তার আশপাশের বাসিন্দা জনজীবন এবং ট্রেন সংক্রান্ত যে কোনও বিষয় এবং তার সঙ্গে জড়িত প্রত্যেকটি জিনিসকে নিয়েই হেরিটেজ তকমা মিলেছে। তাই কোনওটিই ক্ষতিগ্রস্ত হলে এর মান কমতে বাধ্য। তাই টয়ট্রেনের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত যাত্রাপথের আশপাশে যে কোনও ধরণের নতুন নির্মাণ থেকে শুরু করে কোনও রকম বিকৃতি তকমাকে খুন করতে পারে। ফলে প্রত্যেককেই নজর রাখতে হবে, যাতে এর হেরিটেজ স্বীকৃতিতে কোনও রকম আঁচ না পড়ে। আগামী সপ্তাহেই খুলে যাচ্ছে গয়াবাড়ি ও সোনাদা স্টেশন। যা টয়ট্রেনের যাত্রাপথকে পর্যটকদের জন্য আরও বেশি আকর্ষণীয় করে তুলবে।

Advertisement

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ