Advertisement
Advertisement
মমতা-মোদি বৈঠক

দেউচা-পাঁচামির উদ্বোধন করতে আসুন, প্রধানমন্ত্রীকে রাজ্যে আমন্ত্রণ মুখ্যমন্ত্রীর

প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে খুব ভাল বৈঠক হয়েছে, বেরিয়ে বললেন মমতা।

PM and CM discuss over developement projects of Bengal
Published by: Sucheta Sengupta
  • Posted:September 18, 2019 5:52 pm
  • Updated:June 21, 2022 7:57 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: জল্পনা ছিল হাজারও। এমনিতে রাজনীতির ময়দানে দু পক্ষ যুযুধান। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোর বাধ্যবাধকতা থেকে রাজ্যের প্রয়োজনে দিল্লি গিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করতে চেয়েছিলেন। তাঁর আবেদন মেনে বুধবার বিকেলের বহু প্রতীক্ষীত বৈঠকের সময় নির্ধারিত হয়ে। আর নির্ধারিত সময়ে প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে মোদি-মমতা বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের কাছে বেশ সন্তোষ প্রকাশ করলেন। বললেন, ‘রাজ্যের উন্নয়ন নিয়ে কথা হয়েছে। খুব ভাল আলোচনা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীকে রাজ্যে আমন্ত্রণ জানিয়েছি পুজোর পর।’

[আরও পড়ুন:  আড়াই বছর পর দেখা, প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে গিয়ে মোদিকে কুর্তা উপহার মমতার]

মিনিট কুড়ির সংক্ষিপ্ত বৈঠকের পর ৭, লোককল্যাণ মার্গ থেকে বেরিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে বেশ প্রফুল্লই দেখাচ্ছিল। আলোচনার অনেক কিছুই তিনি প্রকাশ করলেন সাংবাদিকদের সামনে। এমনিতে কেন্দ্রের তরফে রাজ্যের প্রাপ্তির অংশ ঠিকমতো দেওয়া হয় না বলে প্রায়শয়ই অভিযোগ শোনা যায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের গলায়। দিল্লি গিয়ে মোদির সঙ্গে সাক্ষাতের এটিও একটি অন্যতম কারণ ছিল। তবে আজকের বৈঠকের পর তিনি বললেন, ‘রাজ্যের বকেয়া ১৩৫০০ কোটি টাকা তাড়াতাড়ি মিটিয়ে দেওয়ার কথা বলেছি। সম্ভব হলে, অমিত শাহর সঙ্গেও সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে চাই।’ সূত্রের খবর, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করার জন্য সময় চেয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আলোচনা হয়েছে আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে কথা হয়েছে দু জনের মধ্যে। রাজ্যের নাম ‘বাংলা’ করার প্রস্তাবটি বহুদিন ধরে আটকে রয়েছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকে। সেই জট তাড়াতাড়ি মিটিয়ে দেওয়ার জন্যও প্রধানমন্ত্রীকে বলেছেন মমতা।
জানা গেল, রাজ্যে নতুন কয়লা ব্লক বীরভূমের দেউচা-পাঁচামি মুখ্যমন্ত্রী চালু করতে চান প্রধানমন্ত্রীর হাত দিয়ে। তাই পুজোর পর দেউচা-পাঁচামির উদ্বোধনের জন্য মোদিকে রাজ্যে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এছাড়া দেশের সামগ্রিক রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়েও উভয়ের মধ্যে কথাবার্তা হয়েছে। তবে প্রত্যাশিত এনআরসি নিয়ে কোনও কথা হয়নি উভয়ের মধ্যে। সবমিলিয়ে, মুখ্যমন্ত্রী এবারের দিল্লি সফরের উদ্দেশ্য যে পুরোপুরি সফল, তা তাঁর প্রতিক্রিয়া থেকেই স্পষ্ট। এখন দেখার, বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর আবেদনে কত দ্রুত সাড়া দেয় দিল্লি।

Advertisement

[আরও পড়ুন:  কৃষিক্ষেত্রে কৃতিত্বের স্বীকৃতি, টানা ষষ্ঠবার কেন্দ্রের ‘কৃষিকর্মণ’ পুরস্কার পেল বাংলা]

Advertisement

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ