Advertisement
Advertisement

Breaking News

লাল কাপ্তান

জমল না চিত্রনাট্য, ছবিজুড়ে প্রতিশোধের আগুনেই জ্বললেন ‘লাল কাপ্তান’ সইফ

কিন্তু কেন দেখবেন এই ছবি? জেনে নিন।

Read movie review of Saif Ali Khan starrer ‘Lal Kaptaan’
Published by: Sandipta Bhanja
  • Posted:October 18, 2019 4:42 pm
  • Updated:October 18, 2019 4:43 pm

মুক্তি পেল ‘লাল কাপ্তান’। ছাইভস্ম মেখে একেবারে অন্য অবতারে ধরা দিলেন সইফ আলি খান। কেমন হল ছবি? লিখছেন সন্দীপ্তা ভঞ্জ।  

ছবি: লাল কাপ্তান

Advertisement

পরিচালক: নভদীপ সিং

Advertisement

অভিনয়ে: সইফ আলি খান, মানব বিজ, জোয়া হুসেন, দীপক দোবরিয়াল

‘লাল কাপ্তান’-এর গল্প ১৮ শতকের প্রেক্ষপটে। স্বাধীনোত্তর পর্ব। দেশে ইংরেজদের অরাজকতা। সময়টা বক্সার যুদ্ধ। ঠিক এরকমই প্রেক্ষাপটে এক বিশ্বাসঘাতকতার কাহিনি দিয়ে শুরু হয়েছে ছবি। ক্ষমতার লোভে যেই বিশ্বাসঘাতক নিজের বাবা-ভাইকে হত্যা করতেও পিছপা হয় না। ভূত-ভবিষ্যৎ সব এক করে প্রতিশোধে মত্ত এক নাগা সাধুর গল্প ফেঁদেছেন পরিচালক নভদীপ। যিনি এই ছবির কেন্দ্রীয় চরিত্র ‘গোঁসাই’। প্রতিশোধের আগুন নিয়ে যে অনায়াসেই খেলতে পারে। রহস্যময় এই চরিত্র গোটা সিনেমাজুড়ে তাড়া করে বেড়ায় দর্শককে।

ধূ-ধূ করা মাঠ, চারদিকে ফাঁকা প্রান্তর, দেদার ধুলো উড়িয়ে ছুটছে ঘোড়ার পাল, বন্দুক-গোলাগুলির আওয়াজ… দেখতে দেখতে কখন আপনার মনে হতেই পারে যে একটা হলিউডি ছবি দেখছেন আপনি। পিরিওডিক কোনও ছবির ক্ষেত্রে সিনেম্যাটোগ্রাফি বেশ গুরুত্বপূর্ণ। এক্ষেত্রে একেবারেই নিরাশ করেননি ‘লাল কাপ্তান’-এর সিনোম্যাটোগ্রাফার শঙ্কর রামান। ছবির গল্প কোথাও খেই হারিয়ে ফেললে শুধুমাত্র ওই আকর্ষনীয় ফ্রেম দেখার জন্যই পর্দার দিকে তাকিয়ে থাকতে ইচ্ছে করে।

[আরও পড়ুন: কামব্যাকেই বাজিমাত, ‘দ্য স্কাই ইজ পিংক’ ছবির আসল ‘হিরো’ প্রিয়াঙ্কা চোপড়া ]

ছবির কাহিনি বুঝতে বুঝতে দ্বিতীয়ার্ধ পেরিয়ে যাবে আপনার। একদিকে মারাঠি সৈন্য সামন্ত, ইংরেজ পল্টন আর অন্যদিকে প্রতিশোধের নেশায় মত্ত এক সাধুর প্লট একসঙ্গে পরিবেশন করতে গিয়ে গুলিয়ে ফেলেছেন পরিচালক। বিশেষ করে ছবির প্রথমার্ধ ভীষণই ক্লান্তিকর। ধৈর্য ধরে দেখা দায়! দেখতে দেখতে মনে হবে এই মনে হয় জমল গল্প, কিন্তু কোথায়! জমে ক্ষীর হওয়ার আগেই ছানা কেটে গেল! 

তবে হ্যাঁ, উল্লেখযোগ্য সইফের অভিনয়। চোখে কাজল, মাথায় বাঁধা ফেটি। মুখে ছাই-ভস্ম মেখে ড্রেডলক করা জটাধরী বেশে ধরা দিলেন সইফ আলি খান। একেকটা দৃশ্য অনুযায়ী একেবারে যথাযথ অভিনয়। অতিরিক্ত বা অতিরঞ্জিত এক্সপ্রেশনের ভাড়ামি নেই। তবে গোঁসাইয়ের চরিত্রটা আরেকটু ভালভাবে সাজাতে পারতেন পরিচালক নভদীপ। মানব বিজের চরিত্রটাও ভালভাবে পরিবেশনের জন্য আরও অনেক স্কোপ ছিল কাহিনিতে। ক্যামিওর চরিত্রে এক ঝলকের জন্য দেখা গেল সোনাক্ষী সিনহাকে। তবে চোখের পলক পড়তেই কাহিনি থেকে উধাও তিনি। সোনাক্ষীর চরিত্রটিকেও ক্লাইম্যাক্সে কাজে লাগাতে পারতেন পরিচালক। গল্পে জোয়া হুসেন অনায়াসে আরও একটু জায়গা পেতে পারতেন!  কিন্তু এক্ষেত্রেও ব্যর্থ তিনি। মোটের উপর সইফের অভিনয় এবং ছবির সিনেম্যাটোগ্রাফি ছাড়া এই ছবিতে আর কিছুই নেই দেখার।

[আরও পড়ুন:ডিজনির ব্লকবাস্টার অ্যানিমেশন ছবির সিক্যুয়েলে এবার প্রিয়াঙ্কা-পরিণীতি ]

  

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ