Advertisement
Advertisement

Breaking News

রাম রে

বিজ্ঞাপন জগতে নক্ষত্রপতন, চলে গেলেন সৃজনশীল রাম রে

আগামীর জন্য রেখে গেলেন সমস্ত অনন্য সৃষ্টি।

Advertising personality Ram Ray passes away in hospital
Published by: Sulaya Singha
  • Posted:November 12, 2019 2:08 pm
  • Updated:November 13, 2019 12:36 am

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: প্রয়াত বিজ্ঞাপন জগতের বিখ্যাত ব্যক্তিত্ব রাম রে। মঙ্গলবার সকালে দক্ষিণ কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন রেসপন্স গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা। দীর্ঘদিন ধরে কিডনির সমস্যায় ভুগছিলেন তিনি। স্ত্রী হাসি ও কন্যা রাশিকে রেখে ৭৪ বছর বয়সে ইহলোকের মায়া ত্যাগ করলেন এই বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ব।

অর্ধ শতকেরও বেশি সময় বিজ্ঞাপন জগৎ দাপিয়েছেন রাম রে। বাংলা তথা গোটা ভারতে বিজ্ঞাপনের পরিভাষাকেই বদলে দিয়েছিলেন। বিজ্ঞাপনী জিঙ্গল ও ক্যাচলাইনে তাঁর জুড়ি মেলা ছিল ভার। তাঁর হাত ধরেই জন্ম নিয়েছে অসংখ্য কালজয়ী বিজ্ঞাপন। বিজ্ঞাপন সংস্থার সঙ্গে যুক্ত প্রায় দেড়শোরও বেশি নামী ক্লায়েন্টের সঙ্গে কাজ করেছেন তিনি। ৪০ বছরেরও বেশি সময় ছিলেন ভারত ও আমেরিকার জেডব্লুটি-তে। বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে জেডব্লুটি-র শাখা বিস্তারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন রাম রে। আরও এক নামী বিজ্ঞাপন সংস্থা, ক্ল্যারিয়ন (বেটস)-এর সঙ্গেও যুক্ত ছিলেন দীর্ঘদিন।

Advertisement

ram-ray-2

Advertisement

[আরও পড়ুন: নিউটাউনে ভয়াবহ পথ দুর্ঘটনার কবলে গাড়ি, বেপরোয়া গতির বলি তিনজন]

১৯৮৪-তে প্রতিষ্ঠা করেন ‘রেসপন্স গ্রুপ’। ভারত ছাড়িয়ে গোটা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়েছিল তাঁর প্রতিষ্ঠানের খ্যাতি। যে সংস্থায় দশ বছর কাটিয়ে একপ্রকার তাঁর শিষ্যই হয়ে উঠেছিলেন প্রয়াত পরিচালক ঋতুপর্ণ ঘোষ। বিজ্ঞাপন দুনিয়ার বহু পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন তিনি। ২০১০ সালে সংবাদ প্রতিদিন সৃজন সম্মান-এর ‘হল অফ ফেম’-এ পুরস্কৃত করা হয় তাঁকে। 

প্রেসিডেন্সি কলেজের ইংরেজি ও সংস্কৃত সাহিত্যের ছাত্র ছিলেন তিনি। তবে শুধুই বিজ্ঞাপন তৈরি নয়, ফোটোগ্রাফি, টাইপোগ্রাফি, গ্রাফিক্স, সাহিত্য-সহ নানা বিষয়ে নিজের সৃষ্টিশীলতার ছাপ রেখেছেন। কলকাতার বিজ্ঞাপন দুনিয়ায় সত্যজিৎ রায়ের সঙ্গেও তুলনা টানা হয় তাঁর। বলা হয়, অস্কারজয়ী পরিচালকের পর তিলোত্তমার বিজ্ঞাপনের দুনিয়ায় বৈপ্লবিক পরিবর্তন এসেছিল রাম রে’র হাত ধরেই। ‘ফ্রুটি’, ‘কুকমি’, ‘বোরোলিন’, ‘মার্গো সাবান’, ‘মাদার ডেয়ারি’র কালজয়ী বিজ্ঞাপনগুলির ক্যাচলাইনের নেপথ্যে ছিল তাঁরই শ্যেন মস্তিষ্ক। তিনি চলে গেলেন ঠিকই, কিন্তু আগামীর জন্য রেখে গেলেন সমস্ত অনন্য সৃষ্টি। যা নিঃসন্দেহে এ দেশের সম্পদ। তাঁর শেষ ইচ্ছাকে সম্মান জানিয়ে তপসিয়ার হিন্দু কবরস্থানে সমাধিস্থ করা হয়েছে তাঁকে। 

[আরও পড়ুন: বিয়ন্ত সিংয়ের হত্যাকারী শিখ জঙ্গি রাজওয়ানার মৃত্যুদণ্ড রদ করল কেন্দ্র]

ram-ray-1

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ