সুরজিৎ দেব, ডায়মন্ড হারবার: বৃহস্পতিবার উদ্ধার হল বুলবুলের তাণ্ডবে বঙ্গোপসাগরে নিখোঁজ হওয়া এফ বি সাগরকন্যা-২ ট্রলারের তিন মৎস্যজীবীর দেহ। তবে ঘটনার পর প্রায় এক সপ্তাহ পেরিয়ে গেলেও এখনও হদিশ মেলেনি ওই ট্রলারে থাকা আরও চারজনের। অন্যদিকে, ঝড়ের রাতে ফ্রেজারগঞ্জের পাতিবুনিয়ায় চিনাই নদীতে উলটে যাওয়া ট্রলার এফবি চন্দ্রানীকে উদ্ধার করা গেলেও বৃহস্পতিবার রাত পর্যন্ত ওই ট্রলারের ছয় মৎস্যজীবীরও কোনও হদিশ মেলেনি। যদিও আগেই চন্দ্রাণী ট্রলারে থাকা তিন মৎস্যজীবীর দেহ চিনাই নদী থেকে উদ্ধার হয়েছিল।
জানা গিয়েছে, শনিবার রাতে বুলবুলের দাপটে নিখোঁজ হয়ে যায় ৪টি ট্রলার। সেগুলির মধ্যেই ছিল রায়দিঘির সাগরকন্যা-২ নামে একটি ট্রলার। ঘটনার পর থেকেই নিখোঁজ ছিলেন সেই ট্রলারের সাতজন মৎস্যজীবী। প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, ট্রলারটি বিদ্যা নদীর বালির চরে উলটে গিয়েছিল। বৃহস্পতিবার সন্ধেয় ওই ট্রলারের দুই মৎস্যজীবীর দেহ সমুদ্রে ভাসতে দেখেন মৎস্যজীবীরা। তাঁরাই দেহ উদ্ধার করে রায়দিঘি জেটিঘাটে নিয়ে আসেন। খবর পেয়ে পরিবারের সদস্যরা রেনুপদ মুদি (৫০) ও লুৎফর মীরের (৩৪) দেহদুটি শনাক্ত করেন। এর কিছুক্ষণ পর উদ্ধার হয় চন্দন দাস নামে আরও এক মৎস্যজীবীর দেহ।
অন্যদিকে, বৃহস্পতিবার সন্ধেয় ফ্রেজারগঞ্জের পাতিবুনিয়ায় চিনাই নদীতে উলটে যাওয়া এফবি ট্রলারটিকে উদ্ধার করল এসডিআরএফ, এনডিআরএফ এবং পুলিশ-প্রশাসনের একটি দল। স্থানীয় মৎস্যজীবীরাও দলটিকে সাহায্য করেন। তল্লাশির সময় উপস্থিত ছিলেন কান্তি গঙ্গোপাধ্যায়ও। কাকদ্বীপ ফিশারমেন অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক বিজন মাইতি জানান, ট্রলারটি জলে ভরতি এবং অন্ধকার নেমে আসার কারণে বৃহস্পতিবার ট্রলারের ভিতরে নেমে অনুসন্ধান করা সম্ভব হয়নি। তবে আশঙ্কা করা হচ্ছে, ওই ট্রলারের মধ্যেই নিখোঁজ মৎস্যজীবীদের দেহ রয়েছে। জল সরানোর পরই বিষয়টি স্পষ্ট হবে বলে জানান তিনি। প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, নিখোঁজ মৎস্যজীবীদের সন্ধানে তল্লাশি চালানো। দ্রুতই সকলের হদিশ মিলবে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.