Advertisement
Advertisement

Breaking News

পরকীয়ার জেরে শাশুড়িকে খুন

বউমার পরকীয়া জেনে ফেলায় শাশুড়ি-সহ ৩ জনকে খুন

ধৃতরা হল মিশরাত জাহান মিশু, জাকির হোসেন ও জুয়েল হাওলাদার।

Expatriate’s wife arrested in case over murders of three in Barishal
Published by: Soumya Mukherjee
  • Posted:December 10, 2019 2:22 pm
  • Updated:December 10, 2019 2:23 pm

সুকুমার সরকার, ঢাকা: পুত্রবধূর পরকীয়া সম্পর্কের কথা জেনে ফেলায় খুন হতে হল শাশুড়ি-সহ শ্বশুরবাড়ির তিনজনকে। ঘটনাটি ঘটেছে বরিশালের বানারী পাড়ায়। এই ট্রিপিল মার্ডারের ঘটনায় জড়িত অভিযোগে মিশরাত জাহান মিশু নামে এক মহিলা-সহ তিনজকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তাদের গ্রেপ্তার করার কথা জানান এই মামলার তদন্ত আধিকারিক ও বানারীপাড়া থানার ওসি শিশির কুমার পাল।

[আরও পড়ুন: ভেস্তে গেল নাশকতার ছক! নোয়াখালি থেকে ধৃত আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের ৪ জঙ্গি]

এই হত্যার দায় স্বীকার করে সোমবার সন্ধেয় বরিশালের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছে অন্য দুই ধৃত। তারা হল, মিশুর প্রেমিক জাকির হোসেন ও তার সহযোগী জুয়েল হাওলাদার। বিচারক মহম্মদ এনায়েত উল্লাহ জবানবন্দি নেওয়ার পর তাদের জেলে পাঠানোর নির্দেশ দেন। অন্যদিকে মিশরাত জাহানকে আদালতে তুলে পাঁচ দিনের রিমান্ডের আবেদন জানায় পুলিশ। কিন্তু, বিচারক তিন দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন।

Advertisement

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, শনিবার দুপুরে জাকিরকে এবং রাতে তার সহযোগী জুয়েল হাওলাদারকে আটক করে বাংলাদেশের ব়্যাপিড অ্যাকশন ফোর্স। ধৃতদের জেরা করে জানা যায়, প্রায় তিন বছর আগে জাকির নির্মাণ শ্রমিকের কাজ করার সময় কুয়েত প্রবাসী হাফেজ আবদুর রবের স্ত্রী মিশরাত জাহান মিশুর সঙ্গে পরকীয়া সম্পর্ক গড়ে তোলে। কয়েকদিন আগে তাদের এই সম্পর্কের কথা জেনে যান আবদুরের মা মরিয়ম বেগম ও খালাতো ভাই মহম্মদ ইউসুফ। এ কারণে তাদের হত্যার পরিকল্পনা করে জাকির ও মিশু।

Advertisement

[আরও পড়ুন: ‘বাবা নজরুল ইসলামের ভক্ত’, ঢাকায় গিয়ে আবেগে ভাসলেন সলমন]

পরিকল্পনা অনুযায়ী, শুক্রবার রাতে সবাই ঘুমিয়ে পড়লে ঘরের প্রধান দরজা খুলে রাখে মিশু। আর রাত ১১টার পর জাকির ও তার সহযোগী জুয়েল ওই বাসায় ঢুকে প্রথমে ইউসুফের পা বেঁধে তাঁকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। পরে পাশের ঘরে ঘুমিয়ে থাকা মরিয়ম বেগমকেও একইভাবে খুন করে। পরে ইউসুফের লাশ বাড়ির সামনে থাকা পুকুরের জলে ভাসিয়ে দেয়। আর মরিয়মের লাশ ঘর থেকে ব্যালকনিতে নিয়ে গিয়ে রাখে। এমন সময় আচমকা কেশে ওঠেন পাশের ঘরে ঘুমিয়ে থাকা আবদুরের ভগ্নিপতি শফিকুল আলম। তিনি জোড়া খুনের বিষয়টি টের পেতে পারেন সন্দেহে তাঁকেও শ্বাসরোধ করে খুন করে অভিযুক্তরা।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ