Advertisement
Advertisement

Breaking News

লংমার্চ

একাধিক দাবিতে পথে নেমে আন্দোলন, লংমার্চ থেকে সাধারণ ধর্মঘটের ডাক বামেদের

আগামী দিনে ভোটের ক্ষেত্রে লংমার্চ যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ, মত রাজনীতিকদের।

Left front decides to arrange a strike for protest against government
Published by: Sayani Sen
  • Posted:December 11, 2019 8:41 pm
  • Updated:December 11, 2019 8:41 pm

স্টাফ রিপোর্টার: লংমার্চের সমাবেশ মঞ্চ থেকেই আরও একবার ভারত বন্ধের দাবি উঠল। দাবি তুলল সিটু, আইএনটিইউসি-সহ ১২টি শ্রমিক সংগঠন। বাম-কংগ্রেস যৌথ ভোট তলানিতে। কিন্তু মিছিল, সমাবেশে হাজিরার যে খামতি নেই তা আরও একবার স্পষ্ট হল বুধবার লং মার্চের মিছিলের শেষ দিনে।

দুপুর থেকেই মধ্য কলকাতা কার্যত মিছিলের দখলে চলে যায়। হাওড়া, শিয়ালদহ ও গড়িয়াহাট দিয়ে তিনটি মিছিল এদিন ধর্মতলায় আসে দুপুরের মধ্যেই। পশ্চিম মেদিনীপুর, বাঁকুড়া, পুরুলিয়ার আদিবাসী মহিলাদের সঙ্গেই মহিলা সমিতির সদস্যরা সমাবেশে হাজির হন। সভা যখন মাঝপথে রানি রাসমণি রোড ছাড়িয়ে মিছিল তখন ডোরিনা ক্রসিং ছুঁয়েছে। রাজনৈতিক মহলের বক্তব্য, আগামী দিনে রাজনৈতিক কর্মসূচি ও ভোটের ক্ষেত্রেও এই লংমার্চ ও সমাবেশের যথেষ্ট গুরুত্ব রয়েছে। সমাবেশে সিপিএমের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য, কৃষক সভার সভাপতি অশোক ধাওলে বলেন, “শুধু পশ্চিমবঙ্গ বা মুম্বই নয়। এনআরসি-সহ কৃষক-শ্রমিক স্বার্থ বিরোধী কেন্দ্রীয় নীতির বিরুদ্ধেই এমন লংমার্চ হবে। অশোক ধাওলের দাবি, ৮ জানুয়ারি শুধু গ্রাম নয়, গোটা দেশে ধর্মঘট হবে। একই বক্তব্য সিটু নেতা তপন সেনের। তপন সেন বলেছেন, “সংখ্যার জোরে লোকসভা ও রাজ্যসভায় ক্যাব পাশ করিয়ে নিলেও মানুষ তা মেনে নেবে না। ইতিমধ্যেই অসম, ত্রিপুরায় বিক্ষোভ শুরু হয়েছে। তামিলনাড়ুতে অঙ্গনওয়াড়ি মহিলারা রাস্তায় বসে অবরোধ করছেন।”  তাঁর অভিযোগ, “কেন্দ্র ভুল সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে দেশে অস্থিরতা তৈরি হয়েছে। তাই টানা কর্মসূচি চলবে। এই জন্যই ৮ জানুয়ারি দেশে সাধারণ ধর্মঘট।”

[আরও পড়ুন: সপ্তাহে দুদিন ৩ ঘণ্টা সমাজকল্যাণ করলেই মিলবে জামিন! অভিনব শর্ত বিচারকের]

আইএনটিইউসি রাজ্য সভাপতি কামরুজ্জমান কামারের অভিযোগ, “কেন্দ্রীয় শিল্প সংস্থার পাশাপাশি রাজ্যের সরকারি সংস্থাগুলিও বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। কিন্তু রাজ্য সরকার কোনও পদক্ষেপ করছেনা।” প্রাক্তন সিপিএম সাংসদ বাসুদেব আচারিয়া বলেন, “সংসদে বামেদের সংখ্যা কম। তাই অন্য গণতান্ত্রিক দলগুলির সঙ্গে একযোগে এনআরসি বিরোধী বক্তব্য রাখা হবে।” এদিনের সমাবেশে সিটু রাজ্য নেতৃত্বর পাশাপাশি ছাত্র-যুব, মহিলা ও অন্যান্য বামপন্থী গণসংগঠনের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

Advertisement

Advertisement

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ