Advertisement
Advertisement

Breaking News

শালের জঙ্গলে আগুন

আমাজনকে দেখেও শিক্ষা নেই! জঙ্গলমহলের শালবনে আগুনের ঘটনায় বাড়ছে উদ্বেগ

অগ্নিসংযোগের পিছনে অসাধু চক্র থাকার আশঙ্কা।

Bushfire at junglemahal in Jhargram is suspected as 'man-made'
Published by: Sucheta Sengupta
  • Posted:February 24, 2020 12:57 pm
  • Updated:February 24, 2020 12:57 pm

সুনীপা চক্রবর্তী, ঝাড়গ্রাম: ‘পৃথিবীর ফুসফুস’ আমাজনের জঙ্গল পুড়তে দেখেও শিক্ষা হয়নি। স্যাটেলাইট থেকে পাওয়া ছবিতে দেখা গিয়েছিল, আগুনের তীব্রতা এতটাই বেশি যে কোথাও কোথাও ধোঁয়া ২৭০০ কিলোমিটারের বেশি দূরত্ব পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়েছে। সেই দৃশ্যও ভয় ধরায়নি জঙ্গলমহলের মানুষের মনে। তাই লাগাতার প্রচারের পরেও শাল-পিয়ালের বনে অগ্নিসংযোগ চলছেই।

JGM-bushfire1

Advertisement

রবিবার দশটা নাগাদ কে বা কারা মেদিনীপুর সদর ব্লকের অন্তর্গত মনিদহ গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত মুচিবেড়া জঙ্গলে আগুন লাগিয়ে দেয়। দাউদাউ করে জঙ্গলে আগুন জ্বলতে থাকে। খবর দেওয়া হয় দমকলে। পরে দমকলের ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রনে আনে। মনিদহ গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান অঞ্জন বেরা বলেছেন, “প্রায় ৫০ একর এলাকায় আগুন ছড়িয়ে পড়ে। কী উদ্দেশ্যে আগুন লাগানো হয়েছে, তা এখনও স্পষ্ট নয়। তবে এর পেছনে অসাধু চক্রেরও হাত থাকতে পারে।” এডিএফও পূরবী মাহাতোর কথায়, “অনেক সময় বিড়ি বা সিগারেট খেয়ে কেউ ফেলে দিলেও তা থেকে শুকনো পাতায় আগুন লেগে যায়। এক্ষেত্রে ঠিক কী ঘটেছে, তা খতিয়ে দেখা হবে।”

Advertisement

[আরও পড়ুন: বন্যপ্রাণ সংরক্ষণে নয়া উদ্যোগ, চোরাশিকার রুখতে আধুনিক আগ্নেয়াস্ত্র কিনবে বনদপ্তর]

ঝাড়গ্রাম পুরসভার সাফাই কর্মীরা ঝরা পাতা সংগ্রহ করে জড়ো করে। তারপর চুপিসারে শাল গাছের নিচে বা শালের জঙ্গলেই আগুন জ্বালিয়ে দেয়। প্রতি বছর শীতের শুরুতে এবং শীত চলে যাওয়ার আগে ঝাড়গ্রাম জেলার বিভিন্ন বনাঞ্চলে এবং অরণ্য শহরের বিভিন্ন শাল গাছের নিচে লাগানো হয় আগুন। গত বছর থেকে ঝাড়গ্রাম পুরসভার প্রশাসক, তথা মহকুমা শাসক সুবর্ণ রায় নিজে উদ্যোগী হয়ে গাছের তলায় যাতে আগুন ধরানো না হয় তার ব্যবস্থা নিয়েছিলেন এবং বিভিন্ন প্রচার কর্মসূচি রেখেছিলেন। 

[আরও পড়ুন: বিষক্রিয়ার জের? মালবাজারে ধারাবাহিক পক্ষীমৃত্যুর ঘটনায় বাড়ছে সংশয়]

উদ্বেগের সুরে পরিবেশ বিজ্ঞানীরা জানাচ্ছেন, জঙ্গলে আগুন ধরানোর ফলে এক দিকে যেমন তাপমাত্রা বৃদ্ধিতে গাছের ক্ষতি হচ্ছে, তেমনই আগুনের আতঙ্কে জঙ্গলে আশ্রয় নেওয়া প্রাণীকুলও বিপন্ন হচ্ছে। সাপ বা ছোটখাটো বন্যপ্রাণীরা বাস্তুচ্যুত হয়ে রাস্তায় উঠে আসছে, গাড়ি চাপা পড়ে মারা যাচ্ছে। জঙ্গলে যাতে আগুন লাগানো না হয় তার জন্য বনদপ্তরের পক্ষ থেকেও বার্তা দেওয়া হয়েছে। কিন্তু শীতের শুরু এবং শীতের শেষে অগ্নিসংযোগের পালা চলছেই। এই বিষয়ে ঝাড়গ্রাম বনদপ্তরের ডিএফও বাসবরাজ হলেইচ্ছি বলেন, “এই সময় জঙ্গলে আগুন ধরানোর একটা প্রবণতা দেখা যায়। মানুষজন যাতে আগুন না লাগান তার জন্য আমরা সচেতন করছি।” মহকুমাশাসক সুবর্ণ রায় আশ্বস্ত করেছেন, “মানুষকে সচেতন করার লক্ষ্যে শহরে মাইকিং করতে হবে।”

ছবি: প্রতীম মৈত্র।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ