Advertisement
Advertisement

Breaking News

অমল ক্লুনি রোহিঙ্গা

রাষ্ট্রসংঘে রোহিঙ্গাদের হয়ে এবার সওয়াল করবেন জর্জ ক্লুনির স্ত্রী আমাল

মুসলিম রোহিঙ্গাদের নিপীড়নের বিচারের আশায় হলিউড অভিনেতার স্ত্রী'ই ভরসা মালদ্বীপ সরকারের।

Goerge Clooney's wife Amal to fight for Rohingya's at UN court
Published by: Sandipta Bhanja
  • Posted:February 26, 2020 6:39 pm
  • Updated:February 27, 2020 2:13 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ২০১৭ সালে মায়ানমারের রাখাইন প্রদেশে বার্মিজ সেনার জঙ্গিদমন অভিযান থেকে প্রাণ বাঁচাতে বাংলাদেশে পালিয়ে আসে কয়েক লক্ষ রোহিঙ্গা। তারপর থেকে প্রতিবেশ দেশগুলির বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে শরণার্থী হিসেবে রয়ে গিয়েছে এই রোহিঙ্গা সম্প্রদায়। উদ্বাস্তু সমস্যা নিয়ে চিরকাল চাপানোতর চলেছে দেশের অন্দরে। এবার জাতিসংঘের সর্বোচ্চ আন্তর্জাতিক আদালতে রোহিঙ্গা মুসলিমদের নিপীড়নের বিচারের আশায় আইনজীবী আমাল ক্লুনিকে নিয়োগ করল মালদ্বীপ সরকার। বুধবারই মলদ্বীপ সরকারের তরফে ঘোষণা করা হয়েছে মুসলিম রোহিঙ্গাদের হয়ে মানবাধিকার আইনজীবী ক্লুনির মামলা লড়ার কথা। আমাল ক্লুনি আদতে খ্যাতনামা হলিউড অভিনেতা জর্জ ক্লুনির স্ত্রী।

উল্লেখ্য, সংখ্যালঘুদের গণহত্যার অভিযোগ এনে গতবছর আন্তর্জাতিক ন্যায় আদালতে (ICJ) মায়ানমারের বিরুদ্ধে মামলায় দায়ের করেছিল গাম্বিয়া। জেনোসাইড কনভেনশনের আওতায় আইসিজে-তে ৪৬ পৃষ্ঠার অভিযোগপত্র জমা দিয়েছিল ওই দেশ। সেখানে মায়ানমারের রাষ্ট্রশক্তির বিরুদ্ধে রাখাইন প্রদেশে বসবাসরত রোহিঙ্গাদের নির্বিচারে খুন, ধর্ষণ এবং তাদের বাড়িঘর ধ্বংসের কথা বলা হয়েছে। গাম্বিয়ার সেই মামলাকেই সমর্থন জানিয়ে মালদ্বীপের তরফে মানবাধিকার আইনজীবি আমাল ক্লুনিকে নিয়োগ করা হয়েছে মুসলিম রোহিঙ্গাদের হয়ে মামলা লড়তে।

Advertisement

[আরও পড়ুন: সুস্থ করোনা আক্রান্ত, যমে-মানুষের লড়াইয়ে জেতার আনন্দে নাচ হাসপাতাল কর্মীর ]

প্রসঙ্গত, গত মাসে আন্তর্জাতিক ন্যায় আদালতে পশ্চিম আফ্রিকার দেশ গাম্বিয়ার করা মামলায় একটি অন্তর্বর্তীকালীন রায় ঘোষণা করে আদালত। সেই রায়ে আইসিজে বৌদ্ধ সংখ্যাগরিষ্ঠ মায়ানমারকে রোহিঙ্গাদের গণহত্যা রোধে জরুরি ব্যবস্থা কার্যকর করার নির্দেশ দিয়েছিল। 

Advertisement

এর আগে আইসিজের প্রিসাইডিং বিচারক আবদুল কাউয়ি ইউসুফ সরাসরি ‘রোহিঙ্গা গণহত্যা’ নিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করেন। বলা হয়, ‘১৮৪৮ সালের কনভেনশনে যে সব কর্মকাণ্ড নিষিদ্ধ করা হয়েছিল, তা মেনে চলতে মায়ানমারকে সমস্ত পদক্ষেপ করতে হবে।’

এদিকে আবার, রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়ে প্রায় নুয়ে পড়েছে বাংলাদেশের অর্থনীতি। তবে, নিরাপদ আশ্রয় ছেড়ে ফের রাখাইন প্রদেশে ফিরতে নারাজ রোহিঙ্গারাও। তাঁদের অভিযোগ, ফিরে গেলে ফের হামলা চালাবে বার্মিজ সেনা। সেক্ষেত্রে শরণার্থী হয়ে থাকলে অন্তত প্রাণে বাঁচতে পারবেন তাঁরা।

[আরও পড়ুন: ‘বিশ্ব দেখছে’, দিল্লির হিংসায় তীব্র প্রতিক্রিয়া মার্কিন সাংসদের]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ