Advertisement
Advertisement

Breaking News

পুলিশকর্মী

পেশাগত দায়িত্বে আপস নয়, করোনা মোকাবিলায় বিয়ের দিন পিছোলেন তরুণী পুলিশকর্মী

তাঁকে কুর্নিশ জানিয়েছেন শীর্ষস্তরের পুলিশ আধিকারিকরা।

Uttarakhand woman police officer deffers marriage amid corona outbreak
Published by: Sayani Sen
  • Posted:April 6, 2020 8:50 pm
  • Updated:April 6, 2020 8:56 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পেশাগত দায়িত্ব নাকি ব্যক্তিগত প্রয়োজনীয়তা, কোনটা আগে তা নিয়ে বিস্তর মতবিরোধ রয়েছে। কিন্তু এসব তর্কবিতর্কের উর্ধ্বে গিয়ে পেশাগত প্রয়োজনীয়তাকেই গুরুত্ব দিলেন উত্তরাখণ্ডের এক মহিলা পুলিশকর্মী। লকডাউনে আটকে পড়া পরিযায়ী শ্রমিকদের নজরদারিতে রাখাই বেশি প্রয়োজনীয় ভেবে নিজের বিয়ের দিন পিছিয়ে দিলেন তিনি। তরুণীর পেশাগত দায়বদ্ধতাকে কুর্নিশ জানিয়েছেন প্রায় সকলেই।

শাহিদা পারভিন নামে ওই তরুণী হৃষিকেশের মুনি কি রেটি থানার সাব ইনস্পেক্টর। কথা ছিল ৫ এপ্রিল মনের মানুষের সঙ্গে চার হাত এক হবে তাঁর। সেই  অনুযায়ী পরিজনেরা সমস্ত প্রস্তুতিও সেরে ফেলেন। ছুটি নেবেন বলে ঠিকও করে রেখেছিলেন দায়িত্বপরায়ণ পুলিশকর্মী। কিন্তু আচমকা করোনা ভাইরাসের থাবায় বদলে গিয়েছে প্রায় সবকিছুই। বেড়েছে শাহিদার দায়িত্বও। বর্তমানে ওই এলাকারই একটি পরিযায়ী শ্রমিকদের শিবির দেখভালের দায়িত্ব রয়েছে তাঁর কাঁধে। ফলে আর পাঁচজন পুলিশ আধিকারিকের মতো খাওয়াদাওয়ারও সময় পাচ্ছেন না শাহিদা।

Advertisement

[আরও পড়ুন: লকডাউনের জেরে সমস্যায় যৌনপল্লির কর্মীরা, ‘বন্ধু’ হয়ে সাহায্য স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার]

এই পরিস্থিতিতে বুঝতে পারছিলেন না কীভাবে ছুটির আবেদন করবেন। ছুটি নিয়ে বিয়ে সারবেন নাকি একজন পুলিশ আধিকারিকের দায়িত্ব সামলাবেন,  তা কিছুতেই বুঝতে পারছিলেন না। বারবার মনে হয়েছে ব্যক্তিগত প্রয়োজনীয়তাকে গুরুত্ব দিতে গিয়ে কোনওভাবে পেশার দিকে আপস করছেন না তো? বিবেকের কাছে প্রশ্নের উত্তর দিতে দিতে ক্লান্ত হয়ে গিয়েছেন শাহিদা। অবশেষে সিদ্ধান্ত নেন বিয়ে পিছিয়ে দেবেন তিনি। করোনা ভাইরাসের দাপটের অন্ধকার কেটে আলো ফিরলে তবেই বিয়ে করবেন বলে স্থির করেন শাহিদা। নিজের সিদ্ধান্তের কথা হবু স্বামীকে বলেন। পরিস্থিতি অনুযায়ী বিয়ের পিছনোর সিদ্ধান্ত যে ঠিক কতটা, তা হবু স্বামীকে বোঝান তিনি। 

Advertisement

হবু স্ত্রীর কর্তব্যপরায়ণতা মুগ্ধ করে তাঁকে। শাহিদার সিদ্ধান্তে একমত হন তিনি। দুজনেই সিদ্ধান্ত নেন করোনা পরিস্থিতি কেটে গেলে বিয়ে করবেন। যদিও শাহিদা এবং তাঁর হবু স্বামীর পরিজনেরা প্রথমে আপত্তি করেন। তবে ওই যুবকই সকলকে বুঝিয়ে রাজি করান। শাহিদার সিদ্ধান্তের কথা জানার পরে প্রশংসায় পঞ্চমুখ ডিজি আইনশৃঙ্খলা। পুলিশ আধিকারিকদের কাজের প্রতি দায়বদ্ধতা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন অনেকেই। তাঁরা ঠিকমতো কাজ করেন না বলেও রয়েছে অভিযোগ। সমস্ত অভিযোগকে নিজের দায়বদ্ধতা দিয়েই মিথ্যে প্রমাণ করলেন শাহিদা।

[আরও পড়ুুন: করোনা আক্রান্ত থুতু ছেটালেই দায়ের হবে খুনের চেষ্টার অভিযোগ, সংক্রমণ ঠেকাতে কড়া পুলিশ]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ