Advertisement
Advertisement
Mukul Roy

মুকুল রায়ের বিধায়ক পদ খারিজের দাবিতে কলকাতা হাই কোর্টের দ্বারস্থ শুভেন্দু অধিকারী

মুকুল রায়ের সদস্য পদ বাতিল সংক্রান্ত বিষয়ে স্পিকারের কাছে শুনানি চলছে।

BJP's Suvendu Adhikari moves Calcutta HC against TMC's Mukul Roy | Sangbad Pratidin
Published by: Paramita Paul
  • Posted:September 27, 2021 10:06 pm
  • Updated:September 27, 2021 10:08 pm

শুভঙ্কর বসু: মুকুল রায়ের (Mukul Roy) বিধায়ক পদ খারিজের দাবিতে এবার কলকাতা হাই কোর্টের দ্বারস্থ হলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। সোমবারই তিনি হাই কোর্টে এসে মুকুল রায়ের বিধায়ক (MLA) পদ খারিজের দাবিতে মামলা দায়ের করেন।

মামলা দায়েরের পর হাই কোর্ট চত্বরে শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) বলেন, “দলত্যাগ বিরোধী আইনে মুকুল রায়ের যে বিষয়টি ছিল তা নিয়ে আমরা চার মাস অপেক্ষা করেছি। অধ্যক্ষের কাছে চারটে শুনানিতে অংশও নিয়েছি। কিন্তু এখনো কোনও সিদ্ধান্ত না হওয়ায় আমরা হাই কোর্টের হস্তক্ষেপ চাইলাম, যাতে দলত্যাগ বিরোধী আইনে মুকুল রায় বিধায়ক পদ বাতিল করা হয়।”

Advertisement

[আরও পড়ুন: টাকা পাঠানো শুরু রাজ্যের, পুজোর আগেই মহিলাদের অ্যাকাউন্টে ঢুকবে ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডারে’র অর্থ]

উল্লেখ্য, বিধানসভা ভোটে নদিয়ার কৃষ্ণনগর উত্তর কেন্দ্র থেকে বিজেপি-র টিকিটে জেতার পর তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান করেন মুকুল রায়। এই নিয়ে দলত্যাগ বিরোধী আইনে মুকুল রায়ের সদস্য পদ বাতিল সংক্রান্ত বিষয়ে স্পিকারের কাছে শুনানি চলছে। কিন্তু এখনও সিদ্ধান্ত না হওয়ায় অবশেষে হাই কোর্টের (Calcutta High Court) দ্বারস্থ হয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী। এদিন তিনি আরও বলেছেন, “মণিপুর বিধানসভার অধ্যক্ষের মামলা সুপ্রিম কোর্টের একটি নির্দেশ রয়েছে যেখানে সুপ্রিম কোর্ট তিন মাসের মধ্যে মামলার নিষ্পত্তি করতে নির্দেশ দিয়েছে। সেই নির্দেশের কথা আমরা হাই কোর্টে উল্লেখ করেছি। আদালতের কাছে আমরা বিচার চেয়েছি। আইন ব্যবস্থার প্রতি আমাদের শ্রদ্ধা রয়েছে।”

Advertisement

[আরও পড়ুন: WB By-Election: ভোট প্রচারে বাধার জের, ভবানীপুরের উপনির্বাচন স্থগিতের দাবি Dilip Ghosh-এর]

এ প্রসঙ্গে শুভেন্দু অধিকারীর আইনজীবী বিল্বদল ভট্টাচার্য বলেন, “বিরোধী দলনেতা হিসেবে শুভেন্দু অধিকারী আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ আছে, তিন মাসের মধ্যে বিষয়টি নিষ্পত্তি করতে হয়। এ ক্ষেত্রে তিন মাস অতিক্রান্ত হয়ে গিয়েছে। কিন্তু বার বার বিভিন্নভাবে সময় নেওয়া হচ্ছে। তাই আদালতের কাছে আবেদন জানানো হয়েছে, হয় এক সপ্তাহের মধ্যে অধ্যক্ষকে বিষয়টি শেষ করতে বলা হোক, নয়তো বিকল্প হিসেবে সরাসরি আদালত মুকুল রায়ের বিধায়ক পদ খারিজের কথা ঘোষণা করুক।”

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ