Advertisement
Advertisement

Breaking News

Duare Sarkar

‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডারে’র টাকা ঢুকছে পুরুষের অ্যাকাউন্টে! শোরগোল আলিপুরদুয়ারে

ব্যাপারটা কী?

Man getting 'Laxmi Bhander' aid at Alipurduar, stirs controversy | Sangbad Pratidin
Published by: Tiyasha Sarkar
  • Posted:May 23, 2022 6:22 pm
  • Updated:May 23, 2022 6:22 pm

রাজ কুমার, আলিপুরদুয়ার: এবার ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডারে’ জালিয়াতির অভিযোগ। আলিপুরদুয়ারে এক মহিলার লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের টাকা তিনমাস ধরে ঢুকল এক পুরুষের অ্যাকাউন্টে। বিষয়টি জানাজানি হতেই নড়েচড়ে বসেছে পুলিশ-প্রশাসন। যে ব্যক্তির অ্যাকাউন্টে টাকা ঢুকেছে, তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে আলিপুরদুয়ার জেলা প্রশাসন। এই ঘটনায় শোরগোল আলিপুরদুয়ার ১ নম্বর ব্লকের পুর্ব কাঠালবাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতে।

বেশ কিছুদিন আগে ‘দুয়ারের সরকারে’র (Duare Sarkar) শিবিরে গিয়ে ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডার’ প্রকল্পের জন্য আবেদনপত্র জমা করেন আলিপুরদুয়ার ১ নম্বর ব্লকের পূর্ব কাঠালবাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের পশ্চিম কাঠালবাড়ি এলাকার বাসিন্দা অলোকা বর্মণ। তফশিলি হওয়ার কারণে হিসেব অনুযায়ী তাঁর প্রাপ্য প্রতি মাসে একহাজার টাকা। আবেদনের পর বেশ কিছুদিন পেরিয়ে গেলেও টাকা ঢোকেনি অলোকাদেবী অ্যাকাউন্টে। খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন তিনমাস আগেই তাঁর নামে ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডার’ চালু হয়ে গিয়েছে। কিন্তু তাঁর নামে অনুমোদন হওয়া টাকা ঢুকে যাচ্ছে ওই গ্রাম পঞ্চায়েতেরই শিরুবাড়ি এলাকার রথীন বর্মণ নামে এক ব্যক্তির অ্যাকাউণ্টে।

Advertisement

Advertisement

[আরও পড়ুন: অর্জুন সিং তৃণমূলে ফিরতেই বড়সড় বদল বারাকপুরের দলীয় সংগঠনে, নয়া দায়িত্ব পাচ্ছেন শুভেন্দু!]

বিষয়টি জানার পরই বিডিও অফিসে লিখিত অভিযোগ জানান অলোকা বর্মণ। আর তারপরই বিষয়টি নিয়ে প্রশাসনিক মহলে হইচই শুরু হয়ে যায়। নেহাতই কোনও যান্ত্রিক ত্রুটি নাকি এর পিছনে কোন চক্র কাজ করছে তা খুঁজতে শুরু করেছে প্রশাসনিক কর্তারা। এবিষয়ে অলোকা বর্মণ বলেন, “আমি ‘দুয়ারের সরকারে’র ক্যাম্পে যখন ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডারে’র ফর্ম জমা দিতে যাই, তখন এক ব্যক্তি আমার ফর্ম নিয়ে বলে আপনি চলে যান আমি জমা করে দেব। আমি তার হাতে ফর্ম দিয়ে বাড়ি ফিরে আসি। এখন দেখছি এই অবস্থা। আমার টাকা আমি ফেরত চাই। আর এই ঘটনা তদন্ত করে দেখুক প্রশাসন।”

তবে যার অ্যাকাউন্টে টাকা ঢুকেছে, তিনি দাবি করেছেন কিছু জানেন না বলেই। তবে রথীন বর্মণ মাসে মাসে ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডারে’র টাকা তুলে নিয়েছেন বলেও জানা গিয়েছে। রথীন বর্মণ বলেন, “এখনতো কত প্রকল্পেই মানুষের অ্যাকাউন্টে টাকা ঢোকে। আমারও টাকা ঢুকেছে, তুলে নিয়েছি। কিন্তু আমি কোনও জালিয়াতির সঙ্গে যুক্ত নই।” সোমবার রথীনবাবুকে আলিপুরদুয়ার ১ নম্বর ব্লকের বিডিও অফিসে ডেকে এনে বিডিও জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন বলেই খবর।

[আরও পড়ুন: বিধবা মহিলার ফোন নম্বর চাওয়ার শাস্তি! জুতোর মালা পরিয়ে গ্রামে ঘোরানো হল যুবককে, ভিডিও ভাইরাল]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ