Advertisement
Advertisement

Breaking News

Ladakh

স্থিতাবস্থায় বদল বরদাস্ত করা হবে না, চিনকে কড়া বার্তা জয়শংকরের

কার্যত বারুদের স্তুপের উপর প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা। 

Attempts to unilaterally change the Line of Actual Control won't be tolerated, says Jaishankar | Sangbad Pratidin

প্রতীকী

Published by: Monishankar Choudhury
  • Posted:December 8, 2022 11:06 am
  • Updated:December 8, 2022 11:06 am

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় স্তিতাবস্থা বদল মানবে না ভারত। এমন কোনও পদক্ষেপ করা হলে তা দ্বীপাক্ষিক সম্পর্কে নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে। বুধবার সংসদে দাঁড়িয়ে চিনকে এমনটাই হুঁশিয়ারি দিয়েছেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শংকর।  

পূর্ব লাদাখে লালফৌজের থাবায় পরিস্থিতি এখনও বারুদ ঠাসা। চিনের আগ্রাসনে প্রচণ্ড ক্ষুব্ধ ভারত। তারই বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে জয়শংকরের বয়ানে। এদিন সংসদে দাঁড়িয়ে জয়শংকর স্পষ্ট বার্তা দিলেন যে সীমান্তে লালফৌজ গতিবিধি না কমালে দ্বীপাক্ষিক সস্পর্কে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে। জিনপিং প্রশাসনের বিরুদ্ধে তোপ দেগে তিনি বলেন, “প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় স্তিতাবস্থা বদল মানবে না ভারত। সীমান্তে চিনা ফৌজ নির্মাণ না থামালে তার অত্যন্ত বিরূপ প্রভাব পড়বে।”

Advertisement

[আরও পড়ুন: দিল্লিতে দেড় দশকের বিজেপি যুগের অবসান, পুরনিগমে ক্ষমতা দখল করল AAP]

উল্লেখ্য, গত সেপ্টেম্বর মাসে এসসিও সামিটে মঞ্চ ভাগ করলেও চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের প্রতি সৌজন্যটুকুও দেখাননি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তাতেই বোঝা গিয়েছিল যে দুই দেশের সস্পর্ক একেবারে তলানিতে ঠেকেছে। ওই মাসেই ব্রিকস গোষ্ঠীর (BRICS) বিদেশমন্ত্রীদের বৈঠকে চিনের বিদেশমন্ত্রী ওয়াং ই-র সঙ্গে মঞ্চে ভাগ করতে দেখা যায় ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শংকরকে। ওই বৈঠকের আগে রাষ্ট্রসংঘে সন্ত্রাসবাদীদের আড়াল করার জন্য চিনকে একহাত নেন জয়শংকর। যদিও নভেম্বরেই জি-২০ সম্মেলনে জিনপিংয়েরদ সঙ্গে করমর্দন করেন মোদি। 

Advertisement

বলে রাখা ভাল, ২০২০ সালের মে মাস, অর্থাৎ গালওয়ান সংঘর্ষের (Galwan clash) সময় থেকেই হট স্প্রিংয়ের পেট্রোল পয়েন্ট ১৫ থেকে এক কিলোমিটারের মধ্যে দুই দেশের প্রায় শ’খানেক সেনা মোতায়েন রয়েছে। এর আগে একাধিক আলোচনার মাধ্যমে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় একাধিক ফ্ল্যাশপয়েন্টগুলি থেকে সেনা প্রত্যাহার করেছে দুই দেশ। সমঝোতা মোতাবেক অস্থায়ী পরিকাঠামো সরিয়েছে দুই সেনাই। কিন্তু হট স্প্রিং, গোগরা ও দেপসাং সমতলে সমস্যা এখনও মেটেনি। ফলে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা যে কার্যত বারুদের স্তুপের উপর রয়েছে তা স্পষ্ট। 

[আরও পড়ুন: ত্রিপুরায় শক্তিবৃদ্ধি তৃণমূলের, ঘাসফুলে যোগ প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি-সহ একাধিক কংগ্রেস নেতার]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ