ছবি প্রতীকী
সুকুমার সরকার, ঢাকা: জিন ধরেছে তরুণীকে, এই সন্দেহ করেন গ্রামবাসীরা। তার জেরেই ওই তরুণীকে কবিরাজের কাছে পাঠানো হয়। অভিযোগ, সেই সুযোগে ওই ব্যক্তি তাঁকে ধর্ষণ করে। তরুণীর অভিযোগের ভিত্তিতে কবিরাজকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
ওই তরুণী তাঁর মা-বাবার সঙ্গে গাজিপুরে থাকেন। তাঁদের পরিবারের সবাই পোশাকের কারখানায় শ্রমিকের কাজ করেন। তরুণী দীর্ঘদিন ধরে নানা শারীরিক সমস্যায় ভুগছিলেন। পরে এক চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যাওয়া হয় তাঁকে। তবে তাতেও বিশেষ কাজ হয়নি। তাই কবিরাজ শরিফউদ্দিনের কাছে নিয়ে যান তাঁর পরিজনেরা। টানা ১৫-২০ দিন ধরে চলে চিকিৎসা। পাঁচ হাজার টাকার বিনিময়ে তাঁর কাছ থেকে দু’টি তাবিজ নেন ওই তরুণীর বাবা-মা। তরুণী সুস্থ না হওয়ায় তাঁকে গত শুক্রবার রাতে আবারও কবিরাজের বাড়ি নিয়ে যান তাঁর মা। তখন ওই কবিরাজ জানায়, তরুণীর উপর জিন জেঁকে বসেছে। তাই জিন তাড়ানো ছাড়া তরুণীকে বাঁচানো সম্ভব নয়। সেই উদ্দেশ্যে তরুণীকে অন্য একটি ঘরে নিয়ে যায় কবিরাজ। অভিযোগ, সেখানেই ধর্ষণ করা হয় তাঁকে।
করিমগঞ্জ থানার ওসি মোমিনুল ইসলাম বলেন, “শুক্রবার রাতে তরুণীর মা ওই থানায় কবিরাজের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন। তাঁর অভিযোগের ভিত্তিতে খোঁজাখুঁজি শুরু হয়। রবিবার রাতে কবিরাজকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। আদালতে তোলা হলে তাকে জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক।” এই ঘটনার পর থেকেই মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছেন ওই তরুণী। আপাতত শারীরিক পরীক্ষার জন্য হাসপাতালে ভরতি করা হয়েছে তাঁকে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.