Advertisement
Advertisement
রোহিঙ্গ

রোহিঙ্গাদের দাপাদাপিতে ত্রস্ত হাসিনা সরকার, সংখ্যালঘু হওয়ার আশঙ্কা বাংলাদেশিদের

সম্প্রতি, ৬ লক্ষ রোহিঙ্গার সমাবেশ দেখে শঙ্কিত বাংলাদেশ সরকার৷

After seeing 6 lakhs people's meeting Bangladesh Govt dared Rohingyas
Published by: Tanujit Das
  • Posted:September 6, 2019 8:24 pm
  • Updated:September 6, 2019 8:44 pm

সুকুমার সরকার, ঢাকা: ২০১৭-র ২৫ আগস্ট সেনা অভিযানের মুখে মায়ানমার থেকে পালিয়ে দলে দলে বাংলাদেশে এসেছিল রোহিঙ্গারা। যার সংখ্যা বর্তমানে দাঁড়িয়েছে প্রায় ১১ লাখ। এই বিপুল পরিমাণ রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দিয়ে বিশ্বের দরবারে মানবতার এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করে হাসিনা সরকার। কিন্তু বছর দুই অতিক্রম করতেই দেখা গেল ভিন্ন দৃশ্য। গত ২৫ আগস্ট প্রায় ৬ লক্ষ লোকের সমাবেশ করে, বাংলাদেশে নিজেদের উপস্থিতির জানান দিলেন রোহিঙ্গারা। বুঝিয়ে দিলেন, খুব সহজেই তারা মায়ানমারে ফেরত যাবে না। যার ফলে নিজ ভূমেই এখন রীতিমতো সংখ্যালঘু অনুভব করছেন বাংলাদেশিরা৷

[ আরও পড়ুন: রোহিঙ্গাদের উপর ক্রমেই ক্ষোভ বাড়ছে বাংলাদেশের, দাবি মার্কিন সাংবাদিকের ]

Advertisement

জানা গিয়েছে, রোহিঙ্গাদের এই সমাবেশ দেখে নড়েচড়ে বসেছে হাসিনা সরকার। কীভাবে এটা সম্ভব হল, উত্তর খুঁজছেন অনেকেই৷ সমাবেশে যেমন ছিল ডিজিটাল ব্যানারের আধিক্য, তেমন ছিল ইংরেজিতে লেখা দাবি দাওয়া। যা দেখে প্রশাসনের আধিকারিকদের বুঝতে অসুবিধা হল না যে, বেশ সংগঠিত ভাবেই সমাবেশের আয়োজন করেছিল রোহিঙ্গারা। এখানেই শেষ নয়, নিষেধ থাকা সত্ত্বেও বহাল তবিয়তে সিম কার্ড, মোবাইল নেটওয়ার্ক, ইন্টারনেট ব্যবহার করছে তারা৷ মাদক পাচার থেকে শুরু করে খুন চালাচ্ছে বিভিন্ন অসামাজিক কাজকর্মও৷ বৃহস্পতিবার রাতেই জাল বাংলাদেশি পাসপোর্ট-সহ গ্রেপ্তার হয় তিন রোহিঙ্গা। উখিয়ার খাইয়াংখালি হাকিমপাড়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পে থাকত তারা৷ তিনজনের বিরুদ্ধে প্রতারণার মামলা দায়ের হয়েছে৷

Advertisement

[ আরও পড়ুন: জাতীয় সংগীতের অবমাননা! অভিযোগ ওঠায় কী বললেন নোবেল? ]

অন্যদিকে, বাংলাদেশ থেকে হিন্দু রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নিতে রাষ্ট্রসংঘের সহযোগিতা চাইল মায়ানমার। রাষ্ট্রসংঘের বিশেষ দূত ক্রিশ্চিন স্ক্যারনার বার্গনারের কাছে এই মর্মে অনুরোধ করেছে মায়ানমার সরকার৷ ২০১৭-তে রাখাইন প্রদেশে সেনা অভিযানের সময় সাত লক্ষেরও বেশি রোহিঙ্গা মুসলমান বাংলাদেশে পালিয়ে আসে। ওই সময় পাঁচ হাজার হিন্দু রোহিঙ্গাও বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়। ইন্টারন্যাশনাল অর্গানাইজেশন অ্যান্ড ইকোনোমিক ডিপার্টমেন্টের প্রধান ইউ চ্যান আয়ে জানিয়েছেন, কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবিরে আশ্রয় নেওয়া আট শতাধিক হিন্দু পরিবারের মধ্যে, চার শতাধিক পরিবারের নাগরিকত্ব যাচাই করেছে মায়ানমার সরকার। অধিকাংশ মুসলিম রোহিঙ্গা ভয়ে ফিরে যেতে না চাইলেও, ওই হিন্দু পরিবারগুলি স্বেচ্ছায় মায়ানমারে ফিরে যেতে চেয়েছে। তাই ওই হিন্দু রোহিঙ্গা পরিবারগুলো ফেরানোর ব্যাপারে রাষ্ট্রসংঘের সহযোগিতা চায় মায়ানমার।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ