সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মঙ্গলবার গভীর রাতে ভারত যেভাবে পাকিস্তান এবং পাক অধিকৃত কাশ্মীরে জঙ্গি দমন অভিযান চালিয়েছে তার তীব্র নিন্দা করেছে পাকিস্তান। অপারেশন সিঁদুরের পালটা দিতে সেনাবাহিনীকে পূর্ণ স্বাধীনতা দিয়েছে পাক সরকার। যত সময় গড়াচ্ছে যুদ্ধের আশঙ্কা তীব্র হচ্ছে। দুই প্রতিবেশী দেশের এই উত্তেজনামূলক পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করল ঢাকা।
ভারতের অপারেশন সিঁদুর শুরু হওয়ার পর থেকে শান্তির বার্তা দিয়েছে আমেরিকা, চিন, সংযুক্ত আরব আমিরশাহির মতো একাধিক দেশ। এবার বাংলাদেশের বিদেশমন্ত্রক বিবৃতি দিয়ে বলল, ‘বাংলাদেশ সরকার ভারত ও পাকিস্তানের পরিস্থিতি গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছে। আমরা গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। বাংলাদেশ উভয়পক্ষকে শান্ত থাকার পাশাপাশি সংযম দেখাতে অনুরোধ জানাচ্ছে। এছাড়া পরিস্থিতি আরও বাড়িয়ে তুলতে পারে এমন কোনও পদক্ষেপ গ্রহণ থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানাচ্ছি। আঞ্চলিক শান্তি, সমৃদ্ধি এবং স্থিতিশীলতার চেতনায় আমরা আশাবাদী। আমাদের আশা কূটনৈতিক প্রচেষ্টার মাধ্যমে উত্তেজনা হ্রাস পাবে এবং এই অঞ্চলের মানুষের সুবিধার জন্য শেষ পর্যন্ত শান্তি বিরাজ করবে।’
মঙ্গলবার মাঝরাতে ৯টি জঙ্গিঘাঁটি লক্ষ্য করে আঘাত হানে ভারতীয় সেনা। এই সার্জিক্যাল স্ট্রাইকের প্রভাব পড়েছে বাংলাদেশের পুঁজিবাজারে। আজ বুধবার (৭ মে) লেনদেনের শুরুতেই ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) বড় ধরনের পতনের মুখে পড়ে। মাত্র ১০ মিনিটের লেনদেনেই প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ৭০ পয়েন্টের বেশি পড়ে যায়। অপরদিকে, ডিএসইএস সূচক কমে ১৭.৫৮ পয়েন্ট বা ১. ৬১ শতাংশ এবং ডিএস ৩০ সূচক কমে ২০. ৯১ পয়েন্ট বা ১. ১৪ শতাংশ। সব মিলিয়ে বাজারের সার্বিক চিত্র বেশ হতাশাজনক। লেনদেনের শুরুতে মাত্র ৯টি কোম্পানির শেয়ারের দাম বাড়ে। অন্যদিকে, দর কমেছে ৩৩৪টির। অপরিবর্তিত রয়েছে ১৪টি কোম্পানির শেয়ারদর। বিশ্লেষকরা বলছেন, ভারত–পাকিস্তান যুদ্ধের খবরে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে ব্যাপক আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে, যার ফলেই বাজারে এই পতন। কারণ আঞ্চলিক অস্থিরতা অর্থনীতিতে অনিশ্চয়তা তৈরি করে। যার ফলে বিনিয়োগকারীদের সর্তক হয়ে যান।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.