ফাইল ফোটো
সুকুমার সরকার, ঢাকা: কূটনৈতিক টানাপোড়েনের মধ্যেই প্রত্যাবাসনের জন্য ৫০ হাজার রোহিঙ্গা শরণার্থীর একটি তালিকা মায়ানমারের হাতে তুলে দিল বাংলাদেশ। মঙ্গলবার ঢাকায় সাংবাদিকদের এই কথা জানিয়েছেন বিদেশমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন।
[আরও পড়ুন: এই প্রথম বাংলাদেশের জনপ্রতিনিধি তালিকায় নাম উঠল এক বৃহন্নলার]
২০১৭ সালেই মায়ানমারের রাখাইন থেকে বিতাড়িত রোহিঙ্গাদের দেশে ফেরাতে ঢাকা ও নাইপিদাওয়ের মধ্যে একটি প্রত্যাবাসন চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। সেইমতো কক্সবাজারের শরণার্থী শিবিরে থাক রোহিঙ্গাদের একাধিক তালিকা সু কি প্রশাসনের হাতে তুলেও দেয় হাসিনা সরকার। যদিও নানা আইনী জটিলতা দেখিয়ে শরণার্থীদের ফেরাতে রাজি হয়নি মায়ানমার। তবুও চুক্তি মেনে চতুর্থ ধাপে ৫০ হাজার শরণার্থীর একটি তালিকা হস্তান্তর করেছে বাংলাদেশ। বাংলাদেশের বিদেশমন্ত্রী জানিয়েছেন, রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে মায়ানমার, চিন ও বাংলাদেশ- এই তিন দেশ মিলে একটি কমিটি গঠন করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। অচিরেই এই কমিটির বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। বাংলাদেশে নিযুক্ত চিনের রাষ্ট্রদূত অসুস্থ থাকায় আলোচনা শুরু হওয়ায় কিছুটা বিলম্ব হচ্ছে।
বাংলাদেশে বর্তমানে ১১ লক্ষেরও বেশি রোহিঙ্গা রয়েছে। তাদের বেশিরভাগই ২০১৭ সালের ২৫ আগস্টের পর বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে। রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন নিয়ে বাংলাদেশ ও মায়ানমার ২০১৭ সালের ২৩ নভেম্বর একটি চুক্তি সই করে। পরে দুই দেশ ২০১৮ সালের ১৬ জানুয়ারি কার্যক্রম এগিয়ে নিতে ‘ফিজিক্যাল অ্যারেঞ্জমেন্ট’ চুক্তি করে, যা অনুযায়ী প্রত্যাবাসন শুরুর দুই বছরের মধ্যে গোটা প্রক্রিয়া শেষ হওয়ার কথা ছিল। উল্লেখ্য, মানবিকতার খাতিরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়েছিলেন। গোটা বিশ্ব মুখ ফিরিয়ে নিলেও, রোহিঙ্গাদের জন্য দুয়ার খুলে দিয়েছিলেন হাসিনা। কিন্তু এর ফলে যে তহবিল ফাঁকা হয়ে যাবে, সঙ্গে আশ্রয়হীনরাই যে আশ্রয়দাতাদের মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়াবে তা হয়ত বুঝতে পারেনি বাংলাদেশ। তাই এবার শরণার্থীদের হাত থেকে নিষ্কৃতি চাইছে ঢাকা।
[আরও পড়ুন: প্রজনন মরশুমে নিষিদ্ধ ইলিশ শিকার, মৎস্যজীবীদের দিকে রাবার বুলেট ছুঁড়ল পুলিশ]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.