Advertisement
Advertisement

আবরার হত্যা নিয়ে বিবৃতি রাষ্ট্রসংঘের, তীব্র অসন্তোষ প্রকাশ করল ঢাকা

আবরার হত্যা নিয়ে চাপ বাড়ছে বাংলাদেশ সরকারের উপর।

Bangladesh opposed UN remark on Abrar Fahad murder
Published by: Monishankar Choudhury
  • Posted:October 14, 2019 11:40 am
  • Updated:October 14, 2019 11:40 am

সুকুমার সরকার, ঢাকা: আবরার ফাহাদ হত্যাকাণ্ডে রাষ্ট্রসংঘের বয়ান নিয়ে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ। রবিবার, রাষ্ট্রসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারী মিয়া সেপ্পোকে ডেকে অসন্তোষ প্রকাশ করেছে ঢাকা। হাসিনা সরকার সাফ জানিয়েছে, দেশে মত প্রকাশের সম্পূর্ণ স্বাধীনতা রয়ছে।

[আরও পড়ুন: হাসিনার নোবেল আটকাতেই আবরার হত্যা, আজব তত্ত্ব চট্টগ্রামের মেয়রের]

Advertisement

বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অফ ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজির (বুয়েট) ছাত্র আবরার ফাহাদের হত্যা নিয়ে ক্রমে চাপ বাড়ছে বাংলাদেশ সরকারের উপর। প্রতিবাদে সরব হয়েছে মানবাধিকার সংগঠন থেকে শুরু করে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলিও। একই সঙ্গে সমালোচনার সুর শোনা গিয়েছে আন্তর্জাতিক মহলেও। ফলে, বর্তমান পরিস্থিতির প্রেক্ষিতে অনেকটাই ব্যাকফুটে রয়েছে শাসকদল আওয়ামি লিগ। ড্যামেজ কন্ট্রোলের মরিয়া চেষ্টা করছে হাসিনা সরকার। এহেন পরিস্থিতিতে এক বিবৃতিতে ঢাকাকে বিদ্ধ করে রাষ্ট্রসংঘ বলে, ‘স্বাধীনভাবে নিজের মত প্রকাশ করার জন্যই প্রাণ দিতে হয়েছে আবরারকে।’ কার্যত, একই সুর শোনা যায় ব্রিটেনের গলায়ও। তারপরই বাংলাদেশে নিযুক্ত রাষ্ট্রসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারী মিয়া সেপ্পোকে বিদেশমন্ত্রকে মহাপরিচালক নাহিদা সোবহানের দপ্তরে তলব করে ঢাকা। সরকারের তরফে সাফ বলা হয় যে, এখানে মতপ্রকাশ বা মুক্তচিন্তাকে প্রতিহত করা হয়নি। তা ছাড়া এ বিষয় নিয়ে সরকার ইতিমধ্যে পদক্ষেপ নিয়েছে। যে হত্যাকাণ্ড নিয়ে তদন্ত ও বিচার-প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে, তা নিয়ে এ ধরনের বিবৃতি অনাকাঙ্ক্ষিত ও অনভিপ্রেত। রাষ্ট্রসংঘের বিবৃতি অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ। এ ধরনের বিবৃতি দিয়ে অভ্যন্তরীণ প্রক্রিয়াকে ব্যাহত করা যাবে না।

Advertisement

ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পাদিত চুক্তির বিরোধিতা করে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেওয়ায় খুন হন বুয়েটের ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র আবরার ফাহাদ। রবিবার রাতে তাকে শের-ই-বাংলা হলের ১০১১ নম্বর কক্ষ থেকে ডেকে নিয়ে ২০১১ নম্বর কক্ষে বেধড়ক পেটায় বুয়েট শাসকদলের নেতাকর্মীরা। আবরার হত্যায় উত্তাল হয়ে ওঠে সারাদেশ। চলছে ব্যাপক বিক্ষোভ। দু’পাশে সিসি ক্যামেরা বসাতে এবং শের-ই-বাংলা হলের প্রভোস্টকে প্রত্যাহার করতে হবে। এদিকে, এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ১৯ জন অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বাকিদের খোঁজে তল্লাশি চালানো হচ্ছে।

[আরও পড়ুন: আজ থেকে সুপ্রিম কোর্টে শুরু অযোধ্যা মামলার চূড়ান্ত শুনানি]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ