সুকুমার সরকার, ঢাকা: রবিবার সকালেই বাংলাদেশের সুপ্রিম কোর্টে কোটা সংস্কার নিয়ে মামলার শুনানি। এই মুহূর্তে সমস্ত তরফের নজর সেদিকেই। অ্যাটর্নি জেনারেল আমিনুদ্দিন মানিকের দাবি, কোটা সংস্কার নিয়ে হাই কোর্টের রায় বাতিলের আবেদনই করবে হাসিনা সরকার। জানা গিয়েছে, রাস্তায় কাউকে দেখা মাত্রই গুলির নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।
প্রসঙ্গত, ২০১৮ সালে বিরাট আকার নেয় কোটা সংস্কার আন্দোলন। সেই সময় চাপের মুখে সরকার সংরক্ষণ বাতিলের সিদ্ধান্ত নেয়। কেবলমাত্র দিব্যাঙ্গদের ১ শতাংশ এবং জনজাতির ৫ শতাংশ সংরক্ষণটুকু রাখা হয়। এই পদক্ষেপের বিরোধিতা করে মুক্তিযোদ্ধাদের পরিবারের কয়েকজন হাই কোর্টে যান। সেটা ২০২১ সাল। উচ্চ আদালতের রায়ে ফের সংরক্ষণ ব্যবস্থা চালু হয়ে যায় বাংলাদেশে। সেই রায়কেই চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে যান হাসিনা। আর এই মামলারই শুনানি হতে চলেছে রবিবার।
অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি ক্রমেই জটিলতর হচ্ছে বাংলাদেশে। বাড়ছে মৃতের সংখ্যাও। অবস্থা শান্ত হওয়ার লক্ষণ নেই। শুক্রবার বাংলাদেশ জুড়ে ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ কর্মসূচি পালন করেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র সংগঠন। এই আবহে আন্দোলনকারীরা শুক্রবার বিভিন্ন জায়গায় পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়েছে। ঢাকার উত্তরা, মহম্মদপুর, বাড্ডা-সহ বেশ কয়েকটি এলাকায় পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ বাঁধে আন্দোলনকারী ছাত্রদের। পরে রাতের দিকে পুরো বাংলাদেশে (Bangladesh) কারফিউ জারি করে সেনা নামিয়েছে হাসিনা সরকার।
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের উপকমিশনার (সংবাদমাধ্যম) ফারুক হোসেন ঘোষণা করেন যে, শুক্রবার দুপুর থেকেই পরবর্তী নির্দেশ ঘোষণা না-হওয়া পর্যন্ত রাজধানীতে সব ধরনের সভা-সমাবেশ ও মিছিল নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হল। শনিবার থেকে রাজধানী ঢাকা কার্যতই শুনশান। রাজপথে টহল দিচ্ছে সেনা। এর মধ্যেই খবর আসে মেট্রো স্টেশনে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে। তবে শনিবার বেলায় কার্ফু কিছুটা শিথিল করা হয় সাধারণ মানুষের সুবিধার্থে। তবে তা ঘণ্টাদুয়েকের জন্য। রবিবার পর্যন্ত কার্ফু জারি থাকার কথা। এখন দেখার, পরিস্থিতি কোনদিকে গড়ায়।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.