Advertisement
Advertisement

ডিসেম্বরেই বাংলাদেশে নির্বাচন, ঘোষণা কমিশনের  

নির্বাচনে কারচুপি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে অভিযোগ বিরোধীদের।

Bangladesh to hold elections in December
Published by: Monishankar Choudhury
  • Posted:August 29, 2018 12:18 pm
  • Updated:August 29, 2018 12:18 pm

সুকুমার সরকার, ঢাকা: জল্পনার অবসান। ডিসেম্বরেই বাংলাদেশে অনুষ্ঠিত হবে একাদশ জাতীয় নির্বাচন। এমনটাই জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন। সুষ্ঠুভাবে ভোটগ্রহণের সমস্ত ব্যবস্থা করা হবে বলেও জানায় কমিশন।

[প্রেমের টানে ইউক্রেন থেকে আরামবাগ ছুটে এসেও স্বপ্নভঙ্গ বিদেশিনীর]

Advertisement

ঢাকার আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশন ভবনে ভোটের দিন ঘোষণা করেন নির্বাচন কমিশনার হেলালুদ্দিন আহমেদ। তিনি জানান, ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহেই ভোটগ্রহণ হবে। যদিও অনেকেই ২০১৮-র জানুয়ারিতে নির্বাচন করানোর দাবি জানিয়েছিল অনেক দলই। তবে নতুন বছরের শুরুতে স্কুল আরম্ভ হয়ে যাবে। সে সময় নির্বাচন হলে পড়ুয়াদের লেখাপড়ার ক্ষতি হবে। তাই এই সিদ্ধান্ত। মঙ্গলবার নির্বাচন কমিশনার আরও জানান, ইতিমধ্যে ৮০ শতাংশের বেশি কাজ সম্পন্ন করা হয়েছে। নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহার করার পরিকল্পনা রয়েছে। দেড় লক্ষ ইভিএম কেনার কথা চলছে।

Advertisement

বাংলাদেশে চড়ছে নির্বাচনী পারদ৷ তুঙ্গে রাজনৈতিক প্রস্তুতি ও তরজা৷ আসরে নেমে পড়েছে শাসক-বিরোধী দু’পক্ষই৷ সে দেশে অনেকেই মনে করছেন ভোটে ভারতের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ৷ তাই ইতিমধ্যেই দিল্লি সফর সেরে ফেলেছেন আওয়ামি লিগ ও বিএনপি-র শীর্ষ নেতৃত্ব৷ তবে রাজনীতিবিদরা মনে করছেন যদি না সরকারের পাশেই দাঁড়াবে দিল্লি। এদিকে নির্বাচনে কারচুপি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে অভিযোগ বিরোধীদের। প্রধান বিরোধী দল বিএনপি-র দাবি, নির্বাচনের নাম প্রহসন করবে হাসিনা সরকার।

উল্লেখ্য, কয়েকদিন আগেই আসন্ন নির্বাচনে দেশটির হিন্দু সম্প্রদায়ের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করার দাবি জানিয়েছিল বাংলাদেশ হিন্দু মহাজোট। সংগঠনের সভাপতির অভিযোগ, প্রভাবশালী রাজনৈতিক মহলের একটি অংশের মূল লক্ষ্য ছিল, হিন্দুদের দেশ ত্যাগে বাধ্য করা। প্রশাসনের অবহেলায়, প্রভাবশালীদের প্রত্যক্ষ মদতে এই অংশটি সংখ্যালঘুদের সমূলে বিনাশ করতে চায়। ২০১৭ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত পরিসংখ্যান তুলে ধরতে গিয়ে হিন্দু মহাজোটের নেতারা জানান, জোটের প্রতিনিধিদের পাঠানো তথ্য ও গণমাধ্যমে প্রকাশিত বিভিন্ন তথ্য-প্রতিবেদনের আলোকে তারা এই পরিসংখ্যান তৈরি করেছেন। পরিসংখ্যানে জানানো হয়, ২০১৭ সালে হত্যা ও লাশ উদ্ধার হয়েছে ১০৭টি, ২০১৬ সালে এই সংখ্যা ছিল ৯৮। ধর্মনিরপেক্ষ দেশ গঠনের লক্ষ্যে দেশের সব মানুষের সব ধরনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে সরকারকে।          

                   [সাবধান! লোকসভা নির্বাচনকে ভেস্তে দিতে গোপনে ফন্দি আঁটছে আইএসআই]                     

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ