Advertisement
Advertisement

Breaking News

Bangladesh

বাংলাদেশে গৃহযুদ্ধ! ইউনুসে অসন্তুষ্ট BNP, ক্ষমতা ধরে রাখতে ভোটে অনীহা জামাত-হেফাজতের!

'গৃহযুদ্ধে'র আঁচ মিলেছে তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা নাহিদ ইসলামের মন্তব্যেও।

BNP's conflict with Yunus Bangladesh Government
Published by: Kishore Ghosh
  • Posted:December 13, 2024 4:39 pm
  • Updated:December 13, 2024 4:58 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ভারত বিরোধিতায় ইউনুস সরকারের মতোই মাঠে নেমে খেলছে বিএনপি। যদিও নির্বাচন নিয়ে বেধে গিয়েছে ‘গৃহযুদ্ধ’। বৃহস্পতিবার ফের অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে দ্রুত নির্বাচনের দাবি জানাল খালেদা জিয়ার দল। এদিন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল বলেন, নির্বাচন নিয়ে কালক্ষেপ করা যাবে না। যতটুকু সংস্কার প্রয়োজন তার বেশি দরকার নেই। কার্যত অন্তর্বর্তী সরকারকে দ্রুত সরে যাওয়ার বার্তা দেন বিএনপি মহাসচিব। বিশ্লেষকদের বক্তব্য, ভোটে আরও দেরি হলে আফগানিস্তান হয়ে উঠতে পারে বাংলাদেশে, গুরুত্ব হারাতে পারে রাজনৈতিক দলগুলি, এই আশঙ্কায় গলা চড়াচ্ছে বিএনপি। 

একদিকে বাংলাদেশে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ভেঙে পড়েছে। বাড়ছে খুন, চুরি, ডাকাতির মতো অপরাধ। অন্যদিকে দ্রব্যমূল্যবৃদ্ধি পুরনো সব রেকর্ড ভেঙে দিচ্ছে। অসহনীয় পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে কাটছে আমজনতার জীবন। বিএনপি-সহ বাংলাদেশের রাজনৈতিক শক্তিগুলি মনে করছে, আর যাই হোক, দেশ চালানোর যোগ্যতা নেই ইউনুসের নেতৃত্বাধীন উপদেষ্টা মণ্ডলীর। মাঝে অন্তর্বর্তী সরকারের ব্যর্থতা ঢাকতে রাজনৈতিক দলগুলিকে এই সরকারের অন্তর্ভুক্ত করে জাতীয় সরকারের প্রস্তাব দিয়েছিল জামাত। সেই দাবি উড়িয়ে দিয়েছে বিএনপি।

Advertisement

‘গৃহযুদ্ধে’র আঁচ পাওয়া গিয়েছে ইউনুস সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা নাহিদ ইসলামের সাম্প্রতিক মন্তব্যেও। বুধবার তিনি অভিযোগ করেন, দেশের রাজনৈতিক দলগুলিই অপপ্রচারে নেমেছে যে এই সরকার ব্যর্থ। এই আবহে লন্ডনে গিয়ে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সঙ্গে দেখা করেন মির্জা ফখরুল। দেশে ফিরে বৃহস্পতিবার তিনি বলেন, “নির্বাচন নিয়ে কালক্ষেপ করা যাবে না। এ জন্য যতটুকু সংস্কার প্রয়োজন তার বেশি কিছু করার দরকার নেই। ২ বছর আগে আমরা ৩১ দফা ঘোষণাপত্রে সংস্কারের বিষয়ে সবিস্তারে বলেছি। নির্বাচনে জিতে ক্ষমতায় গিয়ে সে সব আমরাই করব। তাদের কাজ নির্বাচনটুকু করা।”

অন্যতম উপদেষ্টা নাহিদের মন্তব্যে কার্যত বিরক্ত ফখরুল। তিনি বলেন, “এমন রাজনীতিবিরোধী মন্তব্য তিনি যেন ভবিষ্যতে না করেন। সব দল অন্তর্বতী সরকারকে সার্বিক সমর্থন জানিয়েছে, কারণ এই সরকারের হাতেই দেশের গণতন্ত্র পুনঃপ্রবর্তনের দায়িত্ব।” বিশ্লেষকদের বক্তব্য, বিএনপি অন্যদের মতোই ভারত বিরোধিতায় অংশ নিলেও ‘ঘরশত্রু’ কট্টরপন্থী, মৌলবাদীদের নিয়ে শঙ্কিত। কারণ জামাত-হেফাজতের ইন্ধনে আফগানিস্তানের মতো কোনও ধর্মীয় গোষ্ঠীর হাতে ক্ষমতা চলে গেলে বাংলাদেশে রাজনৈতিক দলগুলি অস্তিত্ব হারাবে। সেক্ষেত্রে কালে কালে আওয়ামি লিগের মতোই অস্তিত্ব হারাবে তারাও।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement