বুধবার সমস্যা সমাধানেই আলোচনায় বসেছিল বিজিবি ও বিএসএফ।
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কয়েকদিন ধরেই সীমান্তে উসকানি দেওয়ার অভিযোগ উঠছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) বিরুদ্ধে। মালদহের সুখদেবপুর থেকে কোচবিহারের মেখলিগঞ্জ পর্যন্ত সীমান্ত এলাকা উত্তপ্ত। ফসল চুরির অভিযোগে দুদেশের কৃষকরা গালিগালাজে জড়ায়। পাথর ছোড়াছুড়ি করে। আজ বুধবার এই সমস্যা সমাধানেই আলোচনায় বসেছিল বিজিবি ও বিএসএফ। সেখানেই সিদ্ধান্ত হয়েছে, রাজশাহী ও মালদা সেক্টরে সীমান্তের ১৫০ গজের মধ্যে কৃষক ছাড়া অন্য কেউ ঢুকতে পারবে না।
জানা গিয়েছে, সীমান্তে শান্তি বজায় রাখতে সোনা মসজিদ বিওপির সম্মেলন কক্ষে সেক্টর কমান্ডার পর্যায়ে বৈঠকে বসে দুদেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনী। বৈঠকে বিজিবির প্রতিনিধিদের নেতৃত্ব দেন রাজশাহীর সেক্টর কমান্ডার কর্নেল মহম্মদ ইমরান ইবনে এ রউফ এবং বিএসএফের পক্ষে ছিলেন মালদা সেক্টরের ডিআইজি অরুণ কুমার গৌতম। এদিনের বৈঠকের পর বিজিবির মহানন্দা ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল গোলাম কিবরিয়া গণমাধ্যমে বিবৃতি দিয়ে জানান, সীমান্তের ১৫০ গজের মধ্যে বাংলাদেশি এবং ভারতীয় কৃষক ছাড়া অন্য কেউ প্রবেশ করবে না বলে দুপক্ষ একমত হয়েছে। সেই সঙ্গে সীমান্তের যেকোনও সমস্যায় বিজিবি এবং বিএসএফের মধ্যে আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করা, সংবাদমাধ্যমে গুজব না ছড়ানো, স্থানীয় জনগণের অনুপ্রবেশ ও মাদক চোরাচালান আটকানোর সিদ্ধান্তও নেওয়া হয় বলে জানান তিনি।
উল্লেখ্য, গত ১৮ জানুয়ারি বিএসএফ সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার সকালে সুখদেবপুর সীমান্তের কাঁটাতার বিহীন এলাকায় ভারতীয় কৃষকরা চাষ করতে যান। ওপারে কাজ করছিলেন বাংলাদেশি কৃষকরাও। সেই সময় ফসল চুরির অভিযোগে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে এলাকা। দুপক্ষেরই প্রচুর কৃষক জড়ো হন সীমান্তে। শুরু হয় ইটবৃষ্টি। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় বিএসএফ। আসেন বিজিবির জওয়ানরাও। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন তাঁরা। আগামীতে এই রকম ঘটনা ঘটলে কৃষকরা যেন বিএসএফকে জানায়, সেই কথা বলা হয়েছে স্থানীয় চাষিদের।
প্রসঙ্গত, ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের প্রায় ৯৬৩ কিলোমিটার অংশই কাঁটাতার বিহীন অবস্থায় রয়েছে। সম্প্রতি সীমান্তের তেমন কিছু এলাকায় বিএসএফ কাঁটাতার বসানোর কাজ শুরু করলে বিজিবির সঙ্গে সংঘাত বাধে। কাঁটাতারের বিষয়ে আপত্তি জানায় বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের জওয়ানরা। এই অশান্তির জেরে একে ওপরের রাষ্ট্রদূতদের তলব করে দুদেশই। ঢাকাকে কড়া বার্তা দেয় ভারত।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.