Advertisement
Advertisement

Breaking News

Bangladesh

‘ন্যায়বিচার যেন…’, নাম না করে ইউনুসকে রাজধর্মের পাঠ বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতির

শনিবার রাজশাহি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তনীদের অনুষ্ঠানে অংশ নেন বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ। সেখানে তিনি মুক্তিযুদ্ধের শহিদদের স্মরণের পরামর্শ দেন।

Chief Justice Syed Refaat Ahmed makes significant comment amid unrest Situation Bangladesh
Published by: Kishore Ghosh
  • Posted:December 8, 2024 8:54 pm
  • Updated:December 8, 2024 9:06 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দুদিন আগে ইউনুসকে রাজধর্ম স্মরণ করিয়েছিলেন কবি ফরহাদ মজহার। এবার চিন্ময়কৃষ্ণ দাসের গ্রেপ্তারির আবহে ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য করলেন বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদও। তিনি বলেন, “কেউ যাতে ন্যায়বিচার থেকে বঞ্চিত না হন, তা নিশ্চিত করতে হবে।” এছাড়াও মুক্তিযুদ্ধ তৎসহ বঙ্গবন্ধু মুজিবর রহমানের স্মৃতি মুছতে তৎপর বাংলাদেশের মাটিতে দাঁড়িয়ে উলটে কথা বলেন তিনি। ’৭১-এর যুদ্ধের শহিদদেরও স্মরণে রাখার পরামর্শ দেন তিনি।

শনিবার রাজশাহি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তনীদের অনুষ্ঠানে অংশ নেন বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ। সেখানে তিনি বলেন, ’৭১-এর মুক্তিযোদ্ধাদের সাহসিকতার জন্যই স্বাধীন, সার্বভৌম বাংলাদেশের ভিত্তি স্থাপিত হয়েছিল। প্রধান বিচারপতি ভাষায, “যাদের আত্মত্যাগ আমাদের স্বাধীন জাতির ভিত্তিস্থাপন করেছিল। বিজয়ের এই মাস ডিসেম্বর, তাদের অতুলনীয় সাহস এবং উৎসর্গের একটি শক্তিশালী অনুস্মারক হিসেবে কাজ করে।” এর পরেই সকলের জন্য ন্যায়বিচার নিশ্চিত করার কথা বলেন প্রধান বিচারপতি আহমেদ। যোগ করেন, “আমাদের নিশ্চিত করতে হবে যে, ন্যায়বিচার যেন বিলম্বিত না হয়।” পাশাপাশি ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্টে ছাত্র বিপ্লবের দৃঢ় চেতনাকেও কুর্নিশ জানান বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতি। উল্লেখ্য, হাসিনার পতেনের প্রধান বিচারপতি হন সৈয়দ রেফাত আহমেদ। 

Advertisement

কদিন আগে ধর্মগুরুদের নিয়ে বৈঠক করেছিলেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান ইউনুস। সেখানে বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের উপর অত্যাচার এবং চিন্ময় প্রভুর গ্রেপ্তারি নিয়ে প্রশ্ন তোলেন পদ্মাপাড়ের প্রখ্যাত কবি, দার্শনিক ও সমাজ ও পরিবেশ কর্মী ফরহাদ মজহার। তিন বলেন, “চিন্ময়কষ্ণ দাসের কথা আমি শুনেছি৷ কখনও তাঁকে রাষ্ট্রদ্রোহী মনে হয়নি৷ তাঁর সঙ্গে আমার মতের অমিল হতে পারে, তার মানে এই নয় যে তিনি বাংলাদেশের পক্ষে ক্ষতিকারক৷ এর আগে চিন্ময়কৃষ্ণ দাসকে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল নিজেদের স্বার্থে বিভিন্ন ভাবে ব্যবহার করেছে৷ তাঁরও তো নিজের বক্তব্য রাখার অধিকার আছে৷”

ফরহাদ আরও বলেন, “সংখ্যালঘু নির্যাতনের ঘটনা ঘটছে, এতে কোনও সন্দেহ নেই৷ গরিব মানুষের উপরে আঘাত নেমে আসছে, তাঁদের জায়গা দখল হয়ে যাচ্ছে৷ আওয়ামি লিগ যে কুকীর্তিগুলো করেছে, এখন অন্য দল করছে৷ এই তো কথা৷ ফলে সংখ্যালঘু নির্যাতন হয়নি, একথা বলা যাবে না৷” কার্যত ইউনুসকে রাজধর্মের পাঠ দেন কবি। এবার বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতিও দেশের সমস্ত নাগরিকের ন্যায় বিচারের সপক্ষে সওয়াল করলেন।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement