Advertisement
Advertisement

বাংলাদেশে নির্বাচন ঘিরে কড়া নিরাপত্তা, বুথের বাইরে ভোটারদের লম্বা লাইন

ভোটগ্রহণের পর শুরু হবে গণনা, রাতেই ফল ঘোষণা।

Election in Bangladesh
Published by: Tanumoy Ghosal
  • Posted:December 30, 2018 9:10 am
  • Updated:December 30, 2018 12:00 pm

সুকুমার সরকার ও কৃষ্ণকুমার দাস:  রবিবার বাংলাদেশের জাতীয় সংসদের ভোটগ্রহণ, আবার ফল ঘোষণাও। স্থানীয় সময় সকাল আট থেকে পদ্মপারের ২৯৯টি আসনে ভোটগ্রহণ চলছে। ভোটগ্রহণ চলবে বিকেল চারটে পর্যন্ত। এখনও পর্যন্ত নির্বাচনকে কেন্দ্র করে অশান্তির কোনও খবর নেই। জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দেশজুড়ে কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থা করেছে প্রশাসন। বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন সূত্রে খবর, ভোটগ্রহণ শেষে প্রতিটি বুথে ভোটগণনা শুরু হবে। রাত আটটা থেকে ভোটের ফলের প্রবণতা স্পষ্ট হতে শুরু করবে। এই প্রথম স্বশাসিত নির্বাচন কমিশনের তত্ত্বাবধানে ভোট হচ্ছে বাংলাদেশে। 

বাংলাদেশের কী ফের সরকার গঠন করতে চলেছে শেখ হাসিনার আওয়ামি লিগ?  গোটা বিশ্বের নজর এখন সেদিকেই। নজিরবিহীন এবার একই দিনে ভোটগ্রহণ ও ফল ঘোষণার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশের স্বশাসিত নির্বাচিত কমিশন। সেদেশের জাতীয় সংসদে আসন সংখ্যা ৩০০। রবিবার সকাল থেকে ভোটগ্রহণ চলছে ২৯৯টি আসনে। একটি আসনে প্রার্থীর মৃত্যুর কারণে ভোটগ্রহণ স্থগিত। ওই আসনে ভোট হবে ২৭ জানুয়ারি।  এদিকে ভোটগ্রহণকে কেন্দ্র করে বাংলাদেশ জুড়ে অভূতপূর্ব নিরাপত্তার ব্যবস্থা করেছে প্রশাসন। দেশের বিভিন্ন প্রান্তে টহল দিচ্ছেন ৫০ হাজার সেনা-জওয়ান।  প্রতিটি ভোটগ্রহণকেন্দ্রে মোতায়েন এক লাখের বেশি পুলিশকর্মী,  আনসার বাহিনীর চার লাখেরও বেশি সদস্য ও ৪১ হাজার গ্রামরক্ষী। রয়েছে সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী, কোস্টগার্ড ও সীমান্তরক্ষী বাহিনীও।  শুধু তাই নয়, নির্বাচনকে অশান্তি এড়াতে শনিবার মধ্যরাত থেকে  বুধবার মধ্যরাত পর্যন্ত বাংলাদেশে মোটরসাইকেল চলাচলে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে নির্বাচন কমিশন। রাজধানী ঢাকায় চলছে না বাস, ট্যাক্সি-সহ কোনও ধরণে যানবাহনই। বন্ধ হাইস্পিড ইন্টারনেট পরিষেবাও। 

Advertisement

[ নির্বাচন উপলক্ষে ঢাকা থেকে বিতাড়িত অবিবাহিত পুরুষরা!]

Advertisement

এদিকে আবার সপ্তাহ তিনেক ধরে প্রচার চলেছে যে, পাকিস্তান গোয়েন্দা সংস্থার ছকে নাশকতা ঘটিয়ে বাংলাদেশে নির্বাচন ভেস্তে  দিতে পারে বিএনপি-জামাত জোট। বস্তুত, বেশ কয়েক দিন ধরে খোদ নির্বাচন কমিশনারকে ফোনে কমিশনের অফিস উড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে। ফলে নাশকতার আশঙ্কা করছেন নাগরিকদের একাংশ। বিদায়ী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অবশ্য বাংলাদেশের নাগরিকদের নির্ভয়ে ভোট দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। রাজনৈতিক মহলের আশঙ্কা, ভোটগ্রহণ শুরুর পর যদি কোনও নাশকতার ঘটনা ঘটে কিংবা বিরোধীরা প্রার্থী প্রত্যাহার করে নেয়, সেক্ষেত্রে ভোটার মনে নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে।  ভোটগ্রহণের পর সন্ধ্যা থেকেই সবকটি বুথে শুরু হয়ে যাবে ভোটগণনা।  রাতের মধ্যে স্পষ্ট হয়ে যাবে, বাংলাদেশের কুর্সিতে কে বসতে চলেছেন। 

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ