সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে বিচার প্রক্রিয়ার শুরু থেকেই কার্যত কোণঠাসা অবস্থা বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার। শুনানিতে হাসিনার একের পর এক নেতিবাচক সিদ্ধান্ত, পদক্ষেপের কথা তুলে ধরছেন সরকারি আইনজীবী তাজুল ইসলাম। এই প্রথম এ ধরনের কোনও শুনানির লাইভ সম্প্রচার চলছে। রবিবার সেই শুনানিতেই চিফ প্রসিকিউটরের বক্তব্য, ”তদন্ত রিপোর্ট অনুযায়ী, আগস্টে ছাত্র আন্দোলনের সময় শেখ হাসিনা তাঁর দলের সদস্য, পুলিশকে সরাসরি গণহত্যার নির্দেশ দিয়েছিলেন। সম্পূর্ণ পরিকল্পনা করে মানবতা বিরোধী অপরাধ সংগঠিত হয়েছিল।” শুনানির লাইভে প্রমাণ স্বরূপ এর ভিডিও পেশ করা হয়। এছাড়া বিভিন্ন এজেন্সির সঙ্গে গোপনে যোগাযোগের প্রমাণও পেশ করা হয়।
রবিবার দুপুর ১২টা থেকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনালে শুরু হয়েছে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মামলার শুনানি। তা সরাসরি সম্প্রচার করা হচ্ছে। সেখানে হাসিনার বিরুদ্ধে একের পর এক অপরাধের তথ্য পেশ করছেন চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম। অভিযোগে বলা হয়েছে, সরকারের শীর্ষপদের থাকায় ক্ষমতার চূড়ান্ত অপব্যবহার করেছেন শেখ হাসিনা। কোটা বিরোধী ছাত্র আন্দোলন দমনে পুলিশ ও সরকারের সমস্ত স্তরে আধিকারিকদের নির্দেশ দিয়েছিলেন। বিভিন্ন এজেন্সিকে তাঁর দেওয়ার নির্দেশের কথোপকথন প্রমাণ হিসেবে পেশ করা হয়। সরকারি আইনজীবীর দাবি, এসব তথ্য-প্রমাণ থেকেই স্পষ্ট, গত আগস্টে মানবতা বিরোধী অপরাধ সংগঠনের ‘মাথা’ সে দেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীই।
শুধু শেখ হাসিনাই নয়, এদিন তাঁর সরকারে থাকা আরও দুই মন্ত্রীর বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনালে বিচারকাজ চলছে। প্রাক্তন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এবং তৎকালীন পুলিশ প্রধান চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন। তাঁরা সকলেই পরিকল্পনা করে গণহত্যায় জড়িত বলে অভিযোগ। রাষ্ট্রসংঘের হিসেব বলছে, ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্টে বাংলাদেশের সংস্কার বিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালীন মৃত্যু হয় অন্তত ১৫০০ জনের। ২৫ হাজারের বেশি আহত হয়েছেন।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.