সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: হোয়াইট হাউসে পা রাখতে চলেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। দ্বিতীয় বারের জন্য মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে তাঁর শপথ নেওয়ার দিকে তাকিয়ে গোটা বিশ্ব। যার মধ্যে রয়েছে ভারতও। নয়াদিল্লির সঙ্গে ট্রাম্পের সুসম্পর্কের কথা সর্বজনবিদিত। যদিও বাণিজ্য ও শুল্কের বিষয়ে বাধা আসতেই পারে। কিন্তু নতুন ট্রাম্প প্রশাসন বাংলাদেশের বিষয়ে কী বিবৃতি রাখে সেদিকে আপাতত গভীর নজর রয়েছে ভারত-সহ দক্ষিণ এশিয়ার বহু দেশের।
আসলে গত নভেম্বরে ট্রাম্পের জয়ের পরই উদ্বেগ বেড়েছে বাংলাদেশে মহম্মদ ইউনুসের অন্তর্বর্তী সরকারের। প্রথমবার ট্রাম্পের জয়ের পর সেটিকে ‘গ্রহণ’ বলে খোঁচা দিয়েছিলেন ইউনুস। তিনি সেবার হিলারি ক্লিনটনের প্রচারে বিনিয়োগ করেছিলেন। ফলে এবার যখন কার্যতই ইউনুসের হাতে রয়েছে বাংলাদেশের দায়িত্ব, সেই সময় ট্রাম্প নতুন করে ক্ষমতায় ফিরলে চাপ বাড়তেই পারে বাংলাদেশের উপরে। বিষয়টা যে কেবলই জল্পনার স্তরে নেই তা পরিষ্কার হয়ে গিয়েছে মার্শা বার্নিকটকে বিদেশ দপ্তরের পদ ছাড়ার নির্দেশ আসার পর থেকেই। বলা হচ্ছে, বাংলাদেশের সাম্প্রতিক পরিস্থিতির পরিকল্পনা শুরু হয় বার্নিকট বাংলাদেশে আমেরিকার রাষ্ট্রদূত থাকার সময়ই। যদিও এখন তিনি রয়েছেন মার্কিন বিদেশ দপ্তরের ডিরেক্টর জেনারেলের পদ থেকে। কিন্তু সেখান থেকেও তাঁকে ইস্তফা দিতে বলা হয়েছে।
বাংলাদেশে গণ অভ্যুত্থানের পর থেকেই এমন কথাও শোনা গিয়েছিল, ক্ষমতায় এলে ট্রাম্প প্রশাসন হয়তো হাসিনা সরকারকেই ‘বৈধ’ বলে স্বীকৃতি দিতে পারে। বাংলাদেশের প্রতিটি অলি-গলি এবং আমজনতার মধ্যেও জল্পনা, ট্রাম্পের হাত ধরেই হয়ত মসনদে ফিরতে পারেন হাসিনা। আপাতত তাই সোমবারের দিকেই চোখ ওয়াকিবহাল মহলের। ট্রাম্প শপথ নিতেই বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ করতে পারেন বলে গুঞ্জন। বাংলাদেশ নিয়ে মার্কিন নীতিও সেই তালিকায় থাকতে পারে, এমন জল্পনা তুঙ্গে। বাংলাদেশের এই পরিস্থিতিতে ‘পুরনো সম্পর্ক’ মাথায় রেখে ট্রাম্প ইউনুসের সামনে কী পদক্ষেপ করেন, আপাতত সেদিকেই নজর সকলের।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.