Advertisement
Advertisement

Breaking News

ভারতের সঙ্গে সুসম্পর্কে জোর, হাসিনার বিদেশমন্ত্রীর প্রথম সফর ভারতে

সরকারে বসেই ভারতের সঙ্গে সুসম্পর্কে জোর।

Hasina to send foreign minister to India
Published by: Sucheta Sengupta
  • Posted:January 15, 2019 5:56 pm
  • Updated:January 15, 2019 5:56 pm

সুকুমার সরকারঢাকা: চতুর্থবার সরকার গড়েই সবচেয়ে কাছের প্রতিবেশী ভারতের সঙ্গে সুসম্পর্কে আরও জোর দিলেন শেখ হাসিনা। নতুন বিদেশমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেনকে তিনি প্রথম বিদেশ সফর হিসেবে পাঠাচ্ছেন ভারতে। সাংবাদিক সম্মেলন করে মোমেন একথা জানিয়েছেন। সদ্য বাংলাদেশের বিদেশমন্ত্রীর পদে বসার পরই তাঁকে শুভেচ্ছা বার্তা পাঠিয়েছিলেন বিদেশমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ। আসন্ন সফরে দুই বিদেশমন্ত্রীর মধ্যে বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে আলোচনা হওয়ার সম্ভাবনা। মোমেনের কথায়, ‘ভারত আমাদের প্রতিবেশী রাষ্ট্র। আমাদের মধ্যে সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক রয়েছে। তাদের আমন্ত্রণ পেয়েই যাচ্ছি।`তবে কবে তিনি এদেশে আসছেন, সেই দিনক্ষণ এখনও চূড়ান্ত হয়নি।

                                                 [হাসিনা সরকারের সঙ্গে কাজে আগ্রহ প্রকাশ রাষ্ট্রসংঘের]

Advertisement

এদিনের সাংবাদিক সম্মেলনে এই মুহূর্তের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বিষয় রোহিঙ্গা সমস্যা নিয়ে নতুন করে ভাবনাচিন্তার কথা জানিয়েছেন এ কে আবদুল মোমেন। তিনি বলেন, ‘রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে আমাদের প্রধানমন্ত্রী রাষ্ট্রসংঘে পাঁচ দফা প্রস্তাব তুলে ধরেছিলেন। কিন্তু মায়ানমারের সঙ্গে আমাদের আলোচনায় সেসব প্রস্তাবের প্রতিফলন ঘটেনি। রোহিঙ্গা সমস্যা আরও বাড়তে থাকলে, বিভিন্ন গোষ্ঠী এটিকে পুঁজি করতে পারে। এই সংকটের স্থায়ী সমাধানে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে আরও সক্রিয় হতে হবে।` এ নিয়ে যাতে কোনও ধরনের অস্থিরতা তৈরি না হয়, সে সম্পর্কে সবাইকে সতর্ক ও দায়িত্বশীল হওয়ার বার্তা দিয়েছেন তিনি। রোহিঙ্গাদের পুনর্বাসন আর মায়ানমারের রাখাইনে তাদের ওপর নৃশংসতার বিচার- এ দুটি প্রেক্ষাপটে সরকারের ভবিষ্যৎ কর্মসূচি বিষয়ে  বিদেশমন্ত্রী মোমেন বলেন, ‘সরকার কীভাবে এগোবে, সেই পদ্ধতি এখনও চূড়ান্ত হয়নি। রোহিঙ্গা সমস্যার সমাধান খুব সহজে হবে না।` ১১ লক্ষেরও বেশি রোহিঙ্গা শরণার্থীকে ফেরত নিতে মায়ানমার, বাংলাদেশের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হলেও এখনও পুনর্বাসন শুরু হয়নি। তা নিয়েই উদ্বিগ্ন বাংলাদেশের নতুন বিদেশমন্ত্রী। রোহিঙ্গা সমস্যা বাংলাদেশের আর্থিক, সামাজিক ও নিরাপত্তার ক্ষেত্রে কতটা প্রভাব ফেলেছে, তা নিয়ে একটি সমীক্ষা চালানো হবে। তিনি মনে করেন, রোহিঙ্গা সমস্যা জিইয়ে থাকলে ভারত, থাইল্যান্ড, বাংলাদেশ, মায়ানমার কেউ-ই স্বস্তিতে থাকতে পারবে না। বাংলাদেশের নতুন সরকার এর স্থায়ী সমাধানে আগ্রহী হবে বলে আশাবাদী আন্তর্জাতিক মহল।

Advertisement

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ