Advertisement
Advertisement

Breaking News

নির্বাচনে সুরক্ষার দাবি জানিয়ে প্রশাসনকে চিঠি বাংলাদেশ হিন্দু মহাজোটের

আগামী নির্বাচনে সাম্প্রদায়িক উসকানি বর্জনের আহ্বান৷

Hindu security in Bangladesh polls
Published by: Kumaresh Halder
  • Posted:November 16, 2018 5:30 pm
  • Updated:November 16, 2018 5:30 pm

সুকুমার সরকার, ঢাকা: আগামী ৩০ ডিসেম্বর নির্বাচন হতে চলেছে বাংলাদেশে। তারই প্রেক্ষিতে দেশটির হিন্দু সম্প্রদায়ের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করার দাবি জানাল বাংলাদেশ হিন্দু মহাজোট। শুক্রবার ছুটির দিনে রাজধানী ঢাকায় সাংবাদিক বৈঠক করে এমনই দাবি জানাল বাংলাদেশ হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ৷

সংগঠনের দাবি, নির্বাচনের দিন যতই এগিয়ে আসছে, ততই নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আতঙ্ক ছড়াচ্ছে বাংলাদেশের বসবাসকারী সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মধ্যে৷ আর সেই কারণে নির্বাচনের আগে সংখ্যালঘু ব্যক্তিদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে নির্বাচন কমিশন, সরকার, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও দেশের প্রতিটি রাজনৈতিক দলের কাছে চিঠি পাঠিয়েও আবেদন জানিয়েছে বাংলাদেশ হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ৷

Advertisement

[পুলিশ-বিএনপি সংঘর্ষে উত্তপ্ত ঢাকা, আহত বহু  ]

Advertisement

আজ শুক্রবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে সাংবাদিক বৈঠক করেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক রানা দাশগুপ্ত৷ বলেন, ‘‘সংখ্যালঘুদের কাছে নির্বাচন উৎসব নয়, শঙ্কা ও উদ্বেগের কারণ৷ এ আশঙ্কা ও উদ্বেগ থেকে সংখ্যালঘুদের মুক্ত করার দায়িত্ব নির্বাচন কমিশন, সরকার, রাজনৈতিক দলের৷’’ এদিনের এই  সাংবাদিক বৈঠক থেকে আগামী নির্বাচনে সাম্প্রদায়িক উসকানি বর্জন করার আহ্বান জানানো হয়৷ অবাধ ও শান্তিপূর্ণ সাধারণ নির্বাচনেও ডাক দেন সংগঠনটির সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য নিমচন্দ্র ভৌমিক৷

[ফের নির্বাচন পিছিয়ে যাওয়ায় আওয়ামি লিগের সঙ্গে বিরোধীদের কাজিয়া]

তাঁদের আশঙ্কা, প্রতিটি নির্বাচনের আগে ও ফলাফল প্রকাশের পরই আক্রমণ নেমে আসে বাংলাদেশের সংখ্যালঘু হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টানদের উপর৷ বিজয় মিছিলের নামে বাড়িতে ঢুকে হামলা, গায়ের জোর রং মাখিয়ে দেওয়া দেওয়া ও বিজয় মিছিল থেকে কটুক্ত করার মতো একাধিক অভিযোগ পয়েছে৷ এদিন সাংবাদিক বৈঠক ডেকে ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের বিভিন্ন সময়ে ভূমি থেকে উচ্ছেদ ও দেশান্তরে বাধ্য করা, হত্যা, নির্যাতন, ধর্ষণ, মন্দির ও প্রতিমা ভাঙচুর, গুজবে উসকানি দিয়ে হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর হামলার বিভিন্ন চিত্র তুলে ধরা হয় সংগঠনের তরফে৷

[নৈতিকবোধ হারিয়েছেন সু কি, সর্বোচ্চ সম্মান ফেরাল অ্যামনেস্টি]

সংগঠনের সভাপতি অভিযোগ, প্রভাবশালী রাজনৈতিক মহলের একটি অংশের মূল লক্ষ্য ছিল, হিন্দুদের দেশ ত্যাগে বাধ্য করা। প্রশাসনের অবহেলায়, প্রভাবশালীদের প্রত্যক্ষ মদতে এই অংশটি সংখ্যালঘুদের সমূলে বিনাশ করতে চায়। ২০১৭ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত পরিসংখ্যান তুলে ধরতে গিয়ে হিন্দু মহাজোটের নেতারা জানান, জোটের প্রতিনিধিদের পাঠানো তথ্য ও গণমাধ্যমে প্রকাশিত বিভিন্ন তথ্য-প্রতিবেদনের আলোকে তারা এই পরিসংখ্যান তৈরি করেছেন। পরিসংখ্যান বলছে, ২০১৭ সালে হত্যা ও মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছে ১০৭টি, ২০১৬ সালে এই সংখ্যা ছিল ৯৮৷

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ