Advertisement
Advertisement

Breaking News

জোড়া মাথা নিয়ে জন্ম, অস্ত্রোপচারের জন্য হাঙ্গেরি যাত্রা যমজ শিশুর

যমজ শিশুর বাবা-মাকে আর্থিক সাহায্য করেন শেখ হাসিনা৷

Hope for Bangladesh Conjoined twins
Published by: Sayani Sen
  • Posted:January 5, 2019 12:04 pm
  • Updated:January 5, 2019 12:04 pm

সুকুমার সরকার, ঢাকা: একইসঙ্গে জোড়া মাথা নিয়ে জন্মগ্রহণ করে দুই শিশু৷ বর্তমানে ঢাকাতেই চিকিৎসা চলছিল তাদের৷ কিন্তু ফুটফুটে দুই শিশুকে সুস্থ করে তোলার জন্য প্রয়োজন জটিল অস্ত্রোপচারের৷ ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পরিকাঠামোর অভাবে রাবেয়া ও রোকাইয়া নামে ওই দুই শিশুর অস্ত্রোপচার কার্যত অসম্ভব৷ তাই তাদের নিয়ে যাওয়া হচ্ছে হাঙ্গেরিতে৷ শুক্রবার রাতের বিমানে হাঙ্গেরির উদ্দেশে রওনা হয়েছে শিশু দু’টির পরিজনেরা৷ শিশুর বাবা-মাকে আর্থিক সাহায্য করেছেন আওয়ামি লিগ নেত্রী শেখ হাসিনা৷

[পদ্মাপাড়ে যাত্রা শুরু নৌকার, সংসদ ভবনে শপথগ্রহণ জয়ী প্রার্থীদের]

২০১৬ সালের ১৬ জুন পাবনার চাটমোহর উপজেলার মূলগ্রাম ইউনিয়নের আটলংকা গ্রামে জন্ম নেয় রাবেয়া ও রোকাইয়া নামে যমজ  দুই শিশুকন্যা। বাবা স্কুল শিক্ষক রফিকুল ইসলাম ও মা তসলিমা৷ জন্ম থেকে মাথা জোড়া ছিল তাদের৷ ঢাকা মেডিক্যাল কলেজেই চিকিৎসা চলছিল ওই শিশু দু’টির৷ জন্মের পর থেকে মেডিক্যাল কলেজের বার্ন ইউনিটই হয়ে উঠেছিল শিশুদের ঠিকানা৷ তাদের অভিভাবকরা জানান, ওই জোড়া মাথার শিশু দুটিকে আবারও সুস্থ জীবনে ফিরিয়ে আনার যথেষ্ট চেষ্টা করেন চিকিৎসকরা৷ জার্মান ও হাঙ্গেরি থেকে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকও আসেন ঢাকা মেডিক্যাল কলেজে৷ দু’বার অ্যাঞ্জিওগ্রামও করা হয় তাদের৷ শিশু দু’টির মস্তিষ্কের প্রধান রক্তনালি আলাদা করা হয়৷ কিন্তু তাতেও কোনও লাভ হয়নি৷ এখনও মাথা জোড়া অবস্থাতেই রয়েছে ওই দুই ফুটফুটে শিশুর৷

Advertisement

[৫০ বছর পর দেখা, উত্তাল দিনের বান্ধবীকে জড়িয়ে ধরলেন হাসিনা]

উন্নত চিকিৎসার মাধ্যমে শিশু দু’টির মাথা আলাদা করা সম্ভব বলেই দাবি ঢাকা মেডিক্যাল কলেজে চিকিৎসকদের৷ তাই শিশু দু’টিকে হাঙ্গেরিতে নিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়৷ শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম জানান, ‘‘বাংলাদেশে তাদের কিছুটা চিকিৎসা হয়েছে। বাকি চিকিৎসার জন্য তাদের হাঙ্গেরি পাঠানো হয়েছে। সেখানে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের নিয়ে তৈরি একটি টিম শিশুদের চিকিৎসা করবেন। আনুমানিক তিন-চার মাস চিকিৎসা হলেই হয় তো সুস্থ হয় যাবে শিশু দু’টি।’’ হাঙ্গেরিতে শিশু দু’টির চিকিৎসার ব্যাপারে তিনি বলেন, ‘‘বেশ কয়েকটি ইনজেকশন দেওয়া হবে তাঁদের মস্তিষ্কে। এরপর কিছুটা সুস্থ হলেই আবারও বাংলাদেশে আনা হবে শিশুদের৷ এখানেও হবে একটি অস্ত্রোপচার৷’’ হাঙ্গেরিতে শিশু দু’টির চিকিৎসা তত্ত্বাবধান করবে জার্মানভিত্তিক ‘ফর বাংলাদেশ অর্গানাইজেশন’ নামে একটি সংগঠন।

Advertisement

[ক্রিকেটার পরিচয়টাই মুখ্য মাশরাফির কাছে]

শিশুর বাবা-মাকে আর্থিক সহায়তা করেন শেখ হাসিনা৷ ঢাকা মেডিক্যাল কলেজের বার্ন ইউনিটের সহযোগী অধ্যাপক ডা. হোসাইন ইমাম ইমুও সহযোগিতা করেন শিশুর বাবা-মাকে। শুক্রবার দুপুরে স্বাস্থ্যমন্ত্রী মহম্মদ নাসিম শিশুদের পরিবারের হাতে হাঙ্গেরি যাওয়ার বিমানের টিকিট তুলে দেন। রাতের বিমানে হাঙ্গেরির উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন যমজ শিশুর পরিজনেরা৷

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ