Advertisement
Advertisement

ভারতের উদ্যোগে মাথা গোঁজার ছাদ পাচ্ছে ঘরছাড়া রোহিঙ্গারা

সাত লক্ষ রোহিঙ্গাকে রাখাইনে ফেরানোর ব্যবস্থা করছে নয়াদিল্লি৷

India to build shelter for Rohingyas in Rakhine
Published by: Tanujit Das
  • Posted:October 24, 2018 6:20 pm
  • Updated:October 24, 2018 6:20 pm

সুকুমার সরকার, ঢাকা: ১৫ মাস আগে সেনা অভিযানের মুখে পড়ে মায়ানমারের রাখাইন প্রদেশ থেকে বাংলাদেশে পালিয়ে এসেছে প্রায় সাত লক্ষ রোহিঙ্গা। পর্যায়ক্রমে তাঁদের নিজভূমিতে ফেরানোর চেষ্টা চালাচ্ছে নয়াদিল্লি। এমনকী, তাদের জন্য রাখাইনে বাসস্থানও গড়ে দিচ্ছে ভারত। ইতিমধ্যে রাখাইনে সম্পন্ন হয়েছে ৫০টি ঘর নির্মাণ কাজ। চলছে আরও ৯৮টির নির্মাণকার্য।

[মাসুদা ভাট্টি মামলায় গ্রেপ্তার ব্যারিস্টার মইনুল হোসেন]

Advertisement

রোহিঙ্গা ইস্যু নিয়ে বাংলাদেশকে বিভিন্নভাবে সহযোগিতা দিয়ে আসছে ভারত। ‘অপারেশন ইনসানিয়াত’এর অংশ হিসেবে কক্সবাজারে আশ্রয় নেওয়া ১১ লক্ষ রোহিঙ্গাকে গত এক বছরে তিন দফায় খাদ্যদ্রব্য, জ্বালানি-সহ বিভিন্ন উপকরণ দিয়ে সহযোগিতা করেছে ভারত। গত ১৭ সেপ্টেম্বর তৃতীয় দফায় এই পণ্য হস্তান্তর করা হয়। এই বিষয়ে ঢাকায় নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার জানান, সামনে শীতের মরসুম, তখন রোহিঙ্গাদের চিকিৎসার জন্য বিভিন্ন উপকরণ সরবরাহ করবে ভারত। নয়াদিল্লির সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে। ভারতের বিদেশমন্ত্রক সূত্রে খবর, বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গা শরণার্থীদের ফিরিয়ে নিতে মায়ানমারকে চাপে রাখছে ভারত। এর জন্যই মায়ানমারের রাখাইনে বাসস্থান নির্মাণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে নয়াদিল্লি। ঘর ও পরিকাঠামো নির্মাণ করল রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে ফিরিয়ে নিতে বাধ্য হবে মায়ানমার, এমনই মনে করছে নয়াদিল্লির থিঙ্কট্যাঙ্ক। সম্প্রতি ভারত সফরে আসা সিনিয়র সাংবাদিকদের একটি প্রতিনিধি দলকেও এই বার্তাই দিয়েছে সাউথ ব্লক। রাখাইনের সুইজার গ্রামে নির্মিত ৫০টি ঘর এখন সম্পূর্ণ প্রস্তুত। যে কোনো সময় তা হস্তান্তর করবে ভারত। আর মংডুতে নির্মাণকাজ চলা আরও ৯৮টি ঘরকে দ্রুত হস্তান্তর করা হবে বলে জানিয়েছে নয়াদিল্লি।

Advertisement

[‘চরিত্রহীন’ মাসুদার পাশে বাংলাদেশের বিশিষ্টরা, তীব্র আক্রমণ তসলিমার]

গত বছরের আগস্টে রাখাইনে সেনা অভিযান শুরুর পর বাংলাদেশ সীমান্তে নামে রোহিঙ্গাদের ঢল। রাষ্ট্রসংঘের ভাষায় মায়ানমারে ‘জাতিগত নির্মূল অভিযান’-এর মুখে শরণার্থী হয়ে বাংলাদেশে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গার সংখ্যা সাত লক্ষ ছাড়িয়েছে। এই রোহিঙ্গারা রয়েছে কক্সবাজারের কয়েকটি আশ্রয় শিবিরে। প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া বিলম্বিত হওয়ায় সেখান থেকে একটি অংশকে নোয়াখালির ভাসানচরে সরিয়ে নিচ্ছে সরকার। জনবহুল বাংলাদেশে এই রোহিঙ্গারা দেশের অর্থনৈতিক ও সামাজিক স্থিতিশীলতার উপর চাপ সৃষ্টি করছে বলে তাদের ফেরত পাঠাতে চায় ঢাকা। রোহিঙ্গাদের নিজেদের নাগরিক হিসেবে মানতে নারাজ মায়ানমারের সরকার চুক্তি করলেও প্রত্যাবাসনে গড়িমসি করে আসছে বলে বাংলাদেশ সরকারের অভিযোগ। তাই মায়ানমারের উপর চাপ বাড়াতে বিশ্ব সম্প্রদায়কে আহ্বান জানিয়ে আসছে বাংলাদেশ।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ