Advertisement
Advertisement

Breaking News

ঢাকার ভারতীয় দূতাবাস

ঢাকার ভারতীয় দূতাবাসে মহাসমারোহে পালিত ৭১তম সাধারণতন্ত্র দিবস

বিভিন্ন কাজে বাংলাদেশে আসা ভারতীয়রাও এই অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন।

Indian High Commission in Dhaka celebrates Republic Day
Published by: Soumya Mukherjee
  • Posted:January 26, 2020 2:04 pm
  • Updated:January 26, 2020 2:04 pm

সুকুমার সরকার, ঢাকা: রবিবার সকালে ঢাকার বারিধারায় পালিত হল ভারতের ৭১তম সাধারণতন্ত্র দিবস। জাতীয় পতাকা (national flag) উত্তোলন ও জাতির উদ্দেশ্যে দেওয়া রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের ভাষণ দিয়ে এই অনুষ্ঠানের সূচনা হয়। উদ্বোধন করেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার রীভা গাঙ্গুলি দাশ। উপস্থিত ছিলেন অন্য পদস্থ আধিকারিকরাও। আজ সন্ধ্যাতেও বসুন্ধরার বারিধারায় আয়োজন করা হয়েছে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের। সেখানে উপস্থিত থাকবেন বাংলাদেশ সরকারের মন্ত্রী, সাংসদ ও বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ।

রবিবার সকালে উদ্বোধনের পর প্রধান অতিথি রীভা গাঙ্গুলি দাশ বলেন, ‘আমাদের দেশের জনগণ বিভিন্নভাবে দেশের উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছেন। শিল্পপতিরা দেশকে অর্থনৈতিক দিক দিয়ে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। আর চিকিৎসকরা তাঁদের সেবার মাধ্যমে দেশের নাম বহির্বিশ্বে ছড়িয়ে দিচ্ছেন। শিল্পী ও সাহিত্যিকরা সংস্কৃতি চর্চার মাধ্যমে দেশের সংস্কৃতিকে বিশ্ব দরবারে তুলে ধরছেন এবং তাঁর শেকড় মজবুত করছেন। সাধারণ জনগণ এবং বিশেষ করে সতর্ক ও উদ্যমী তরুণরা নিজেদের জায়গা থেকে কাজের মাধ্যমে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে দেশকে। এগিয়ে যাচ্ছে উজ্জ্বল ভবিষ্যতের দিকে।’

Advertisement

[আরও পড়ুন: ধর্ষণ রুখতে অভিনব উদ্যোগ, সাইকেল নিয়ে প্রচারে বাংলাদেশের ছাত্রী]

 

Advertisement

এই প্রসঙ্গে কথা বলতে গিয়ে নতুন প্রজন্মের কাছে মহাত্মা গান্ধীর আদর্শে উজ্জীবিত হওয়ার আহ্বানও জানান তিনি। বলেন, ‘আমাদের পরবর্তী প্রজন্মকে স্বাধীনতা ও এর ত্যাগের মহিমা সম্পর্কে বুঝতে হবে। কেন না তাদের ওপরই নির্ভর করে দেশের ভবিষ্যৎ। তাদের অবদান দেশের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। মহাত্মা গান্ধীর অহিংস বোধকে ধারণ করে এগোতে হবে তাদের। কেন না মহাত্মা গান্ধীর বার্তা ছিল অহিংস, মানবতা ও দেশের উন্নয়ন। বর্তমান সময়ে সেই বোধটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বিশ্বের সব দেশের সঙ্গে কুটুম্বিতার মাধ্যমে নিজেদের সম্পৃক্ত করা আমাদের ঐতিহ্য ও ভাবনার অংশ। এটিই আমাদের সবার কাছে উদার ও মহান করে তোলে। আমরাও সবসময় বিশ্ব দরবারে শান্তির বার্তা পৌঁছে দিতে চাই।’

[আরও পড়ুন: আন্তর্জাতিক আদালতের রায়ে দেশে ফেরার স্বপ্ন দেখছেন রোহিঙ্গা শরণার্থীরা]

 

তাঁর বক্তব্যের পর অনুষ্ঠিত হয় মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। এতে প্রথমে সরস্বতী বন্দনা ও পরে নাচে অংশ গ্রহণ করে বিভিন্ন বয়সের শিশুরা। তারা তাদের পরিবেশনার মধ্য দিয়ে দেশপ্রেমকে ধারণাকে ফুটিয়ে তোলা চেষ্টা করে। আজকের এই অনুষ্ঠানে ঢাকায় থাকা প্রচুর ভারতীয় নাগরিকও যোগ দেন। তাঁদের অংশগ্রহণ আর সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মধ্যে দিয়ে ফুটে ওঠে ভারতীয় ঐক্যের মনভোলানো ছবি।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ