নিজস্ব সংবাদদাতা, ঢাকা: হাসিনা আমলের নিষেধাজ্ঞা খারিজ করে প্রায় একযুগ পর বাংলাদেশের জামাত-ই-ইসলামকে স্বীকৃতি দিল সে দেশের সুপ্রিম কোর্ট। তবে তাদের নির্দিষ্ট প্রতীক দাঁড়িপাল্লা ব্যবহার করতে পারবে কি না, সেই সিদ্ধান্ত নির্বাচন কমিশনের উপর ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। আপাতত রেজিস্ট্রেশন করাতে আর বাধা নেই জামাতের। রবিবার সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন চার বিচারপতির বেঞ্চ জামাত সংক্রান্ত এই রায় ঘোষণা করেছেন।
এক যুগ আগে, শেখ হাসিনার আমলে বাংলাদেশে জামাত-ই-ইসলামি ও তাদের ছাত্র সংগঠন ছাত্র শিবিরকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছিল। তাদের যে কোনও কার্যকলাপে অনুমোদন মিলত না। তবে তলে তলে সক্রিয় ছিল রাজনৈতিক সংগঠনটি। ২০২৪ সালে গণঅভ্যুত্থানের পর ক্ষমতা ছেড়ে হাসিনার দেশত্যাগ ও অন্তর্বর্তী সরকার হিসেবে নোবেলজয়ী মহম্মদ ইউনুসের দায়িত্ব নেওয়া – নানা উত্থানপতনের মাঝে জামাতের উপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হয়। ইউনুস সরকারের দাবি ছিল, জামাতের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবাদী কাজে জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়া যায়নি। তবে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার হলেও রাজনৈতিক দল হিসেবে রেজিস্ট্রেশনের অনুমতি এতদিন ছিল না। রবিবার সেই স্বীকৃতি পেল জামাত।
সুপ্রিম কোর্টের রায়ে স্বভাবতই খুশি জামাত শিবির। তবে কাঁটা বিঁধে রইল প্রতীক নিয়ে। আসন্ন সাধারণ নির্বাচনে জামাত-ই-ইসলামি পুরনো দাঁড়িপাল্লা প্রতীকটি ব্যবহার করতে পারবে কি না, তা জানা নেই এখনও। এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নির্বাচন কমিশন। এমনই জানিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতিরা। এনিয়ে নির্বাচন কমিশনের আইনজীবী তৌহিদুল ইসলাম জানান, সুপ্রিম-রায় দেখে পদক্ষেপ নেওয়া হবে। তবে প্রতীক দাঁড়িপাল্লা থাকুক কিংবা নতুন প্রতীক হোক, আসন্ন নির্বাচনে রাজনৈতিকভাবে অংশ নেওয়ায় জামাতের আর কোনও বাধা রইল না।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.