সুকুমার সরকার, ঢাকা: ভোটের আগে প্রবল ধাক্কা খেল বাংলাদেশের বিরোধী জোট। হাই কোর্টের নির্দেশে নির্বাচনে লড়াই করতে পারবেন না বিএনপি প্রধান খালেদা জিয়া। ভোটে নামতে পারবেন না তাঁর পুত্র তারেক রহমানও। শুধু তাই নয় বিএনপি’র নেতৃত্বে গড়ে ওঠা ঐক্যফ্রন্টের নেতা প্রাক্তন বিদেশমন্ত্রী ডঃ কামাল হোসেনও প্রার্থী হবেন না বলে মঙ্গলবার জানিয়ে দিয়েছেন।
[বিতর্ক এড়াতে নির্বাচনে বিদেশি পর্যবেক্ষকদের আমন্ত্রণের সিদ্ধান্ত বাংলাদেশের]
এদিকে নিজের পুরনো আসন ফরিদপুরের গোপালগঞ্জ-৩ থেকে মনোনয়ন পত্র জমা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। উল্লেখ্য, মঙ্গলবার ঢাকা হাই কোর্ট সাফ জানিয়ে দেয়, ২ বছর বা তার বেশি সাজাপ্রাপ্তর মামলা আপিল বিভাগে বিচারধীন থাকলেও ভোটে লড়তে পারবেন না দোষীরা। বিচারপতি মহম্মফ নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কে এম হাফিজুল আলমের ডিভিশন বেঞ্চ এই আদেশ দেয়। ফলে বেগম জিয়ার ভোটে প্রার্থী হওয়ার রাস্তা পাকাপাকিভাবে বন্ধ হয়ে গেল। এই রায় আসার আগেই প্রাক্তন বিদেশমন্ত্রী ডঃ কামাল হোসেন ভোটে লড়বেন না বলে জানিয়ে দিয়েছিলেন। কামালকে পাশে নিয়েই গণফোরামের মহাসচিব মোস্তফা মহসিন মন্টু ভোটে না লড়ার কথা ঘোষণা করেন। প্রথমে কামাল, পরে খালেদার ভোটের আসরে না থাকাটা বিরোধী জোটের পক্ষে নিঃসন্দেহে বড় ধাক্কা। ভোটের ময়দানে দুই শীর্ষ নেতার অনুপস্থিতিতে মুষড়ে পড়েছেন বিরোধী জোটের প্রার্থীরাও।
অন্যদিকে নিজের জোটের মধ্যে আসন ভাগাভাগি করে নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় অনেকটাই এগিয়ে গিয়েছেন শেখ হাসিনা। নির্বাচনে দলের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করতে বর্তমান মন্ত্রী ও দাপুটে সাংসদ আছেন এমন ৪৩ জনকে এবার টিকিট দেননি। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলেন প্রাক্তন টেলিযোগযোগ মন্ত্রী অভিনেত্রী তারানা হালিম। দলের দুই যুগ্ম সম্পাদক জাহাঙ্গীর হোসেন নানক ও আবদুর রহমান এবং সাংগঠনিক সম্পাদক বাহাউদ্দিন নাসিমকে টিকিট দেননি। সামান্য ক্ষোভ বিক্ষোভ আওয়ামি লিগের অভ্যন্তরে থাকলেও বিএনপির টিকিট পাওয়া নিয়ে প্রকাশ্যেই মারামারি হচ্ছে। সব মিলিয়ে এই মুহূর্তে পরিস্থিতি হাসিনার পক্ষে বলেই মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
[আসন বণ্টন নিয়ে শরিকদের সঙ্গে দর কষাকষি আওয়ামি লিগের]