Advertisement
Advertisement

Breaking News

এবার জিআই তকমা পেল চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার খিরসাপাত আম

জামদানি ও ইলিশের পর আমেও ভৌগোলিক নির্দেশক।

Khirsapat Mango gets GI in Bangladesh
Published by: Utsab Roy Chowdhury
  • Posted:January 27, 2019 9:48 pm
  • Updated:January 27, 2019 9:48 pm

সুকুমার সরকার, ঢাকা: দেশের তৃতীয় ভৌগোলিক নির্দেশক পণ্য হিসেবে জিআই তকমা পেল বাংলাদেশের চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার খিরসাপাত আম। রবিবার শিল্পমন্ত্রকের কৃষি গবেষণা ইন্সটিটিউটের চাঁপাইনবাবগঞ্জ আঞ্চলিক উদ্যানতত্ত্ব গবেষণা কেন্দ্রের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মহম্মদ শফিকুল ইসলামের হাতে জিআই সার্টিফিকেট তুলে দেন শিল্পমন্ত্রী নুরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ুন।

[‘আমি ধর্ষণ করেছি’, গলায় চিরকুট-সহ দেহ উদ্ধারে চাঞ্চল]

অনুষ্ঠানে শিল্পমন্ত্রী বলেন, ‘ইলিশের মতোই মানের জন্য সারা বিশ্বে বাংলাদেশের এই আমের বিশাল বাজার রয়েছে। আম দিয়েই বাঙালি জাতির নিজস্ব পরিচয় বিশ্ব দরবারে তুলে ধরা সম্ভব।’ জিআই স্বীকৃতি অর্জনের ফলে দেশে খিরসাপাত আমের উৎপাদন বৃদ্ধির পাশাপাশি আমকেন্দ্রিক অর্থনীতি জোরদার হবে বলে আশা করছেন মন্ত্রী। ২০১৬ সালে জিআই পণ্য হিসেবে প্রথমবারের মতো জামদানিকে স্বীকৃতি দেয় পেটেন্ট, ডিজাইন ও ট্রেড মার্কস দপ্তর। পরের বছর, ২০১৭এ জাতীয় মাছ ইলিশ জিআই পণ্য হিসেবে সমাদৃত হয়। এবার সেই তালিকায় যোগ হল – খিরসাপাত আম।

Advertisement

[সুসম্পর্ক বজায় রাখার বার্তা দিয়ে মোদিকে সাধারণতন্ত্র দিবসের শুভেচ্ছা হাসিনার]

ভৌগোলিক নির্দেশক পণ্য হিসেবে স্বীকৃতি পাওয়ায়, বেশ কিছু শর্তও লাগু হয়েছে খিরসাপাতের ওপর। এ আমে আলাদা ট্যাগ বা স্টিকার ব্যবহার করা যাবে। প্রাকৃতিক উপায়ে আম উৎপাদন করে সব গুণাগুণ ও বৈশিষ্ট্য ঠিক রেখে বাজারজাত করতে হবে। বিশেষ জাতের আম আলাদাভাবে চিহ্নিত হওয়ায় রপ্তানিতে তুলনামূলক বেশি দাম পাওয়া যাবে। আমকেন্দ্রিক গবেষণা এবং কৃষিভিত্তিক শিল্পায়নে সরকারি সহায়তা বজায় রাখার প্রতিশ্রুতি দিয়ে শিল্পমন্ত্রী বলেন, ণআমসহ বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী ফল, ফুল, পাখি ও পণ্যকে জিআই নিবন্ধনের আওতায় নিয়ে আসতে এখনই উদ্যোগ নিতে হবে।’ চাঁপাইনবাবগঞ্জের ‘ল্যাংড়া’ এবং ‘আশ্বিণা’ আমকেও জিআই তকমা দেওয়ার জন্য পেটেন্ট, ডিজাইন ও ট্রেডমার্কস অধিদপ্তরের কাছে দ্রুত দাবি জানানো হবে। শিল্প প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘খিরসাপাত আম জিআই পণ্য হিসেবে স্বীকৃতি পাওয়ায় দেশে-বিদেশে এ আমের ব্যাপক চাহিদা ও বাণিজ্যিক সম্ভাবনা তৈরি হবে। এর মাধ্যমে বাংলাদেশের আলাদা ব্র্যান্ডিংয়ের সুযোগ বাড়বে।’  পদ্মাপাড়ের মানুষজন এখন গর্ব করে বলতেই পারবেন – ‘আমটি আমি খাব পেড়ে।’ 

Advertisement

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ