সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: অস্ত্র পাচারের অভিযোগে গ্রেপ্তার হয়েছিলেন। দোষী সাব্যস্ত হওয়ার পরে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয় তাঁকে। কিন্তু মহম্মদ ইউনুস জমানায় বেকসুর খালাস পেলেন লুৎফুজ্জামান বাবর। বাংলাদেশের প্রাক্তন স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী ছিলেন বিএনপির এই নেতা। জেলমুক্তির পরে মহাসমারোহে তাঁকে বরণ করে নেন দলীয় নেতা-কর্মীরা।
বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী ছিলেন লুৎফুজ্জামান বাবর। ২০০৪ সালে তাঁর বিরুদ্ধে অস্ত্র পাচারের অভিযোগ ওঠে। চট্টগ্রামের সিইউএফএল ঘাট থেকে অস্ত্রবোঝাই ১০টি ট্রাক আটক করা হয়। দশ বছর ধরে এই অভিযোগের শুনানি হয়। বিচার প্রক্রিয়া শেষে দোষী সাব্যস্ত হন বাবর-সহ অনেকেই। সেই তালিকায় রয়েছে প্রাক্তন শিল্পমন্ত্রী ইসলামীর আমির মতিউর রহমান নিজামী, পরেশ বড়ুয়ার মতো নাম। সবমিলিয়ে ১৪ জনকে ফাঁসির সাজা দেওয়া হয়। এই অভিযুক্তদের অন্য একটি মামলায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয় আদালত।
২০০৭ সাল থেকে জেলবন্দি ছিলেন বাবর। গত বছর আগস্ট মাসে আওয়ামি লিগ সরকার পতনের পরে তিনি নতুন করে জেলমুক্তির আর্জি জানান। সেই আবেদনের ভিত্তিতেই গত বছরের শেষদিকে মৃত্যুদণ্ডের সাজা মকুব হয় তাঁর। চলতি মাসে আরও একটি মামলায় বাবরকে বেকসুর খালাস ঘোষণা করে আদালত। বাকি ছিল যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের সাজা। বৃহস্পতিবার সেই সাজাও মকুব করে দিয়েছে উচ্চ আদালত। সকালে আদালতের রায় প্রকাশ্যে আসার পরে দুপুরেই জেল থেকে মুক্তি দেওয়া হয় বাংলাদেশের প্রাক্তন স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীকে।
বাবরের মুক্তির খবর ছড়িয়ে পড়তেই ঢাকার জেলের সামনে ভিড় জমাতে থাকেন খালেদা জিয়ার দলের নেতা-কর্মীরা। কয়েকশো সমর্থক ফুলের মালা দিয়ে বরণ করে নেন সদ্য মুক্তি পাওয়া নেতাকে। হুডখোলা গাড়িতে চেপে সমর্থকদের দিকে হাত নাড়তে নাড়তে বাড়ির উদ্দেশে যাত্রা করেন বাবর, একেবারে নায়কোচিত ভঙ্গিতে। বাবরের শ্যালকের মতে, দীর্ঘ ১৭ বছর পর ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.