Advertisement
Advertisement
Bangladesh

নিলামে আওয়ামির প্রাক্তন সাংসদের বাজেয়াপ্ত গাড়ি, কত উঠল দর?

হাসিনা সরকারের পতনের ছয়মাস পার হয়ে গেলেও সেইসব প্রাক্তন সাংসদদের এখনও কোনও খোঁজ-খবর নেই।

luxury cars of former mp and ministers of hasina in auction in bangladesh

প্রতীকী ছবি

Published by: Suchinta Pal Chowdhury
  • Posted:February 18, 2025 8:28 pm
  • Updated:February 18, 2025 8:28 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গত বছরের ৭ জানুয়ারি দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচন জিতে তাঁরা সাংসদ হয়েছিলেন। শুল্কমুক্ত দামি গাড়ি আমদানির সুবিধা পেয়েছিলেন। কিন্তু ৮ মাসের মধ্যেই সম্পূর্ণ পালটে যায় রাজনৈতিক পরিস্থিতি। ছাত্র আন্দোলনে পতন ঘটে আওয়ামি লিগ সরকারের। দেশে ছেড়ে পালিয়ে যান দলের বহু সাংসদ। নতুন অন্তর্বর্তী সরকার এসে তাঁদের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হয়। এবার আওয়ামির প্রাক্তন সাংসদদের সেই বাজেয়াপ্ত গাড়ি উঠল নিলামে।

শেখ হাসিনা সরকারের পতনের ছয়মাস পার হয়ে গেলেও সেইসব প্রাক্তন সাংসদদের এখনও কোনও খোঁজ-খবর নেই। তাই প্রাক্তন সাংসদদের আমদানি করা ২৪টি গাড়ি প্রথমবারের মতো নিলামে ওঠানো হয়। আগ্রহীদের কাছ থেকে দরপত্র জমা নেওয়া হয়। গতকাল সোমবার এসব দরপত্র খোলা হয়। তাতে দেখা যায়, নিলামে তোলা ২৪টি গাড়ির মধ্যে দর পড়েছে ১৪টিতে। গাড়ি অনুযায়ী সর্বোচ্চ ১ লক্ষ থেকে ৩ কোটি ১০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত দর হাঁকিয়েছেন আগ্রহী ক্রেতারা। তবে ১০টি গাড়িতে কোনও দরই জমা পড়েনি। নিলামে যে দর উঠেছে, তাতে এই দফায় কেউ গাড়ি পাচ্ছেন না।

Advertisement

সরকারের পট পরিবর্তনের পর গত ৬ আগস্ট সংসদ ভেঙে দেওয়া হয়। শুল্কমুক্ত সুবিধাও বাতিল করে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। প্রাক্তন সাংসদদের ২৪টি-সহ এই দফার প্রথম নিলামে মোট ৪৪টি গাড়ি নিলামে বিক্রির জন্য তোলা হয়। চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউস এই নিলাম করে। সংসদ সদস্যদের গাড়িগুলো টয়োটা ল্যান্ড ক্রুজার মডেলের। সিলিন্ডার ক্যাপাসিটি ৩৩৪৬। প্রতিটির সংরক্ষিত মূল্য নির্ধারণ করা হয় ৯ কোটি ৬৭ লক্ষ টাকা। নিয়ম অনুযায়ী, প্রথম নিলামে এই দরের ৬০ শতাংশ বা তার বেশি যিনি সর্বোচ্চ দর হাঁকাবেন, তার কাছে বিক্রি করার সুযোগ রয়েছে। এই হিসেবে ন্যূনতম ৫ কোটি ৮০ লক্ষ টাকা দর পড়লে বিক্রির করার সুযোগ রয়েছে। প্রাক্তন সাংসদদের কোনও গাড়িতেই এত দর পড়েনি। ফলে নিয়ম অনুযায়ী, কোনও ইচ্ছুক ব্যক্তিই প্রাক্তন সাংসদদের গাড়ি পাচ্ছেন না।

উল্লেখ্য, গত ৫ আগস্ট গদিচ্যুত হন শেখ হাসিনা। তারপর থেকে গা ঢাকা দিয়েছেন তৎকালীন হাসিনা সরকারের বহু হেভিওয়েট মন্ত্রী। এছাড়া বাংলাদেশে হামলা ও অত্যাচারের শিকার হন আওয়ামি লিগের নেতা-কর্মীরা। শুধুমাত্র হাসিনাপন্থী হওয়ার কারণে বেশ কয়েকজনকে পিটিয়ে হত্যা করার অভিযোগ ওঠে। এর মাঝেই সন্ত্রাস দমন আইনের আওতায় আওয়ামির ছাত্র সংগঠন ছাত্র লিগকে নিষিদ্ধ করে দেয় মহম্মদ ইউনুসের অন্তর্বর্তী সরকার। এবার তৎপরতা শুরু হয়েছে আওয়ামি লিগক নিষিদ্ধ করা নিয়ে।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement