Advertisement
Advertisement

Breaking News

ফের বারুদের গন্ধ রাখাইনে, অভিযান শুরু করল মায়ানমার সেনা

ফের বিদ্রোহীদের দমনের নির্দেশ সেনাকে।     

Myanmar Army resumes Rakhaine operations
Published by: Monishankar Choudhury
  • Posted:January 8, 2019 4:22 pm
  • Updated:January 8, 2019 4:22 pm

সুকুমার সরকার, ঢাকা: বেশ কয়েকদিন শান্ত থাকার পর ফের বারুদের গন্ধ রাখাইন প্রদেশে। ফের বৌদ্ধ ও মুসলিম বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করল বার্মিজ সেনা। গত সপ্তাহে চারটি থানায় বিদ্রোহীদের হামলার পর এই সিদ্ধান্ত নেয় মায়ানমার সরকার।  

একটি আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, গত শুক্রবার ‘আরাকান আর্মি’র হামলায় রাখাইনে ১৩ জন পুলিশকর্মী নিহত হন। এছাড়াও নিরাপত্তারক্ষীদের উপর হামলা চালায় রোহিঙ্গা মুসলিম বিদ্রোহীরাও। তারপরই অভিযানে নাম টাটমাদাও (বার্মিজ সেনা)। ‘আরাকান আর্মি’ নামের বৌদ্ধ বিদ্রোহীদের সংগঠনটি আরাকান প্রদেশের স্বাধীনতার জন্য লড়াই করছে। ‘কাচিন ইন্ডিপেন্ডেন্স আর্মি’ নামের আরেক খ্রিস্টান বিদ্রোহী সংগঠনের সঙ্গে হাত মিলিয়ে নাইপিদাওয়ের বিরুদ্ধে সশস্ত্র লড়াই চালাচ্ছে তারা। পাশাপাশি রয়েছে রোহিঙ্গা জঙ্গিদের উপদ্রব। অব মিলিয়ে ফের একবার রক্তাক্ত অতীতের দিকে ফিরে যাচ্ছে রাখাইন। গত বছর রোহিঙ্গা জঙ্গিদের বিরুদ্ধে অভিযান চালায় সরকারি বাহিনী। এর ফলে বাংলাদেশে শরণার্থী হয়ে থাকতে হচ্ছে প্রায় ১১ লক্ষ রোহিঙ্গাকে। তারপর আন্তর্জাতিক চাপের মুখে পরে সেনা অভিযান বন্ধ রাখেন কাউন্সিলর আং সান সু কি। তবে এবার ফের বিদ্রোহীদের দমন করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে সেনাকে।                    

Advertisement

এদিকে, কয়েকদিন আগেই ভারত থেকে মায়ানমারে ফেরত পাঠানো হয় বেশ কয়েকজন রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশকারীকে। এবার সেই পথেই হাঁটল সৌদি আরব। অবৈধভাবে প্রবেশ করা কয়েকশো রোহিঙ্গা শরণার্থীকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠাতে চলেছে রিয়াদ। জানা গিয়েছে, জেড্ডার শুমাইসি ডিটেনশন ক্যাম্পে পাঁচ থেকে ছয় বছর ধরে বন্দি রয়েছেন এই রোহিঙ্গারা। তাদের বাংলাদেশে ফেরত পাঠাতে রবিবার থেকে জোর প্রস্তুতি শুরু করেছে সৌদি আরব। ওই ক্যাম্পে আটক রোহিঙ্গারা সংবাদমাধ্যম ‘মিডল ইস্ট আই’কে একটি ভিডিও বার্তা ও কয়েকটি অডিও রেকর্ড পাঠিয়েছে। সেখানে এক শরণার্থীকে বলতে শোনা গিয়েছে, “আমি গত পাঁচ থেকে ছয় বছর ধরে এখানে রয়েছি। কিন্তু তারা এখন আমাকে বাংলাদেশে পাঠাচ্ছে। দয়া করে, আমার জন্য প্রার্থনা করুন।” জানা গিয়েছে, ক্যাম্পে থাকা রোহিঙ্গাদের অনেকেই ‘পিলগ্রিম ভিসা’ বা মক্কায় যাওয়ার জন্য ভিসা পেয়েছিলেন। তবে মেয়াদ উত্তীর্ণ হলেও ফেরত যাননি তাঁরা। তারপরই সৌদি পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হতে হয় তাঁদের। যেহেতু রোহিঙ্গা সম্প্রদায়কে স্বীকৃতি দেয় না রিয়াদ, তাই অনেকেই নিজেদের বাংলাদেশি পরিচয় দিয়ে ওই দেশে প্রবেশ করে। প্রত্যর্পণের আগে ভারত, পাকিস্তান, নেপাল ও বাংলাদেশের রাজদূতকে ক্যাম্প পরিদর্শনে আনেন সৌদি আধিকারিকরা। তাঁদের মধ্যে বাংলাদেশ রোহিঙ্গাদের ফেরত নিতে রাজি হয়। 

Advertisement

         [সুর নরম ইসলামাবাদের, হাসিনা সরকারের সঙ্গে সম্পর্ক গড়তে উদ্যোগী পাকিস্তান]                

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ