সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বদলের বাংলাদেশে ফিকে পয়লা বৈশাখের উৎসব। ইউনুস সরকারের কড়াকড়ি আর মৌলবাদীদের বাড়বাড়ন্তে আমজনতার স্বতঃস্ফূর্ত আনন্দ, উদ্দীপনায় ভাটা পড়েছে। ‘মঙ্গল শোভাযাত্রা’র নাম বদলে ‘বর্ষবরণ আনন্দ শোভাযাত্রা’ হওয়ার পর সোমবার সেই শোভাযাত্রায় সাধারণ মানুষের অংশগ্রহণে নিষেধাজ্ঞা ছিল। রীতিমতো পুলিশের ব্যারিকেড দিয়ে ঘিরে শোভাযাত্রা করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের ছাত্রছাত্রীরা, যা ওপার বাংলায় একেবারেই বেনজির। তবে বৈশাখী উদযাপনে এত কড়াকড়ির মধ্যেও বাংলাদেশের জেলবন্দিরা খুশি। বৈশাখের প্রথম দিন আর পাঁচজনের মতো কারাগারে বন্দিরাও পাবেন পান্তাভাত, ইলিশ মাছ।
সাধারণত বাংলা নববর্ষের প্রথম দিন দেশবাসী পান্তাভাত আর ইলিশ দিয়ে মধ্যাহ্নভোজ করে থাকেন। জেলবন্দি হলে কি তাঁরা এই রসনাতৃপ্তি থেকে বঞ্চিত হবেন? মোটেই না। সেই ব্যবস্থা করেছে কারা কর্তৃপক্ষ। সেই রীতি মেনে পয়লা বৈশাখের মধ্যাহ্নভোজে সুস্বাদু পদ বন্দিদের পাতে। পান্তা আর ইলিশ। তাই খুশির অন্ত নেই তাঁদের। অন্তত একটা দিন তো জেলের ভাত, রুটি বাদ দিয়ে মুখের রুচির একটু বদল হল।
ঢাকার কারাবিভাগে ডেপুটি ইন্সপেক্টর জেনারেল জাহাঙ্গির কবীর জানিয়েছেন, ”পান্তা-ইলিশ শুধু নয়, সকালে মাছের ভর্তাও বন্দিদের দেওয়া হয়েছে। মধ্যাহ্নভোজ এবং নৈশভোজে বিশেষ আয়োজন করা হয়েছে। জেলে দুপুরের পর থেকে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হবে। তাতে আমন্ত্রিত বন্দিদের পরিবারও। তাঁদের হাতে উপহার হিসেবে তুলে দেওয়া হবে বন্দিদেরই তৈরি নানা হস্তশিল্প। এবছর কারাগার চত্বরে খুব ছোট করে বৈশাখী মেলার আয়োজন করেছি।” নববর্ষের প্রাক্কালে ঢাকার অন্যতম আকর্ষণ বৈশাখী মেলা। কিন্তু এবছর ‘বর্ষবরণ আনন্দ শোভাযাত্রা’ যেভাবে পুলিশের ঘেরাটোপে হয়েছে, তাতে মেলার আনন্দ ম্লান হয়ে গিয়েছে। মন ভরে কেনাকাটাও করতে পারেননি কেউ। তবে কারাগার চত্বরে এধরনের বৈশাখী মেলার আয়োজন করায় বন্দিরা কিছুটা আনন্দিত।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.