Advertisement
Advertisement

Breaking News

রোহিঙ্গা

মায়ানমার সফরে শি জিনপিং, রোহিঙ্গাদের প্রত্যর্পণ নিয়ে চিন্তায় বাংলাদেশ!

রোহিঙ্গা ইস্যুতে প্রথম থেকেই মায়ানমারের পাশে রয়েছে চিন।

Chinese President Xi Jinping's Myanmar visit may worry Bangladesh
Published by: Soumya Mukherjee
  • Posted:January 18, 2020 2:02 pm
  • Updated:January 18, 2020 2:10 pm

সুকুমার সরকার, ঢাকা: বাংলাদেশে পালিয়ে আসা ১১ লাখ রোহিঙ্গার মায়ানমারে প্রত্যর্পণ ফের আটকে গেল! চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং শুক্রবার দুদিনের সফরে মায়ানমারে যাওয়ায় এই আশঙ্কা আরও তা সত্যি প্রমাণিত হল। কেন না মায়ানমারের রাখাইন থেকে রোহিঙ্গারা বাংলাদেশে পালিয়ে এসেছে। ক্ষমতায় আসার পর শি জিনপিংয়ের প্রথম সফর এটি। পাশাপাশি ১৯ বছর পর চিনের কোনও প্রেসিডেন্টের মায়ানমার সফর। শি জিনপিংয়ের এই সফরকে চিনের ‘ওয়ান বেল্ট, ওয়ান রোড(OBOR)’ উদ্যোগের অংশ হিসেবে দেখছে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।

মায়ানমারের বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী অং জেঁইয়ের তরফে জানানো হয়েছে, জিনপিং মায়ানমারের স্টেট কাউন্সিলর অং সান সু চি, প্রেসিডেন্ট উইন মিনত ও সেনাপ্রধান মিন অং হ্লাইংয়ের সঙ্গে বৈঠক করবেন। তাঁদের এই বৈঠকে চামসু বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে বিনিয়োগ ও রাখাইন রাজ্যে ১৩০ কোটি ডলার ব্যয়ে গভীর সমুদ্রবন্দর নির্মাণ সংক্রান্ত চুক্তি হওয়ার কথা রয়েছে। এছাড়া প্রায় হাজার কোটি ডলারের বিনিয়োগ চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক সই হতে পারে। শনিবার বৈঠকগুলি হবে মায়ানমারের রাজধানী নেইপিদোতে।

Advertisement

[আরও পড়ুন: সরস্বতী পুজোর দিন ভোট না করানোর দাবিতে অনশন, হাসপাতালে দুই পড়ুয়া]

 

Advertisement

২০১৩ সালে চিনের ক্ষমতায় আসেন শি জিনপিং। তারপর থেকে আসিয়ানভুক্ত সব দেশেই সফর করেছেন তিনি। শুধু বাকি ছিল মায়ানমার। বিশ্লেষকরা বলছেন, ঐতিহাসিক এই সফরের মাধ্যমে মূলত মায়ানমারকে কাছে পেতে চাইছে চিন। এবার সফরও চীনের স্বার্থে তৈরি হওয়া গ্লোবাল বেল্ট ও রোড উদ্যোগেরই অংশ।

[আরও পড়ুন: সরস্বতীর পুজোর দিন ঢাকায় পৌরনিগমের ভোট, প্রতিবাদে সরব হিন্দুরা ]

 

এদিকে ২০১৭ সালে মায়ানমার সেনাবাহিনীর অত্যাচারে ১১ লাখ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে পালিয়ে এসেছে। রাষ্ট্রসংঘের তদন্তকারী কর্মকর্তারা জানান, এই সময়ে ১০ হাজার মানুষকে হত্যা করা হয়ে থাকতে পারে। ইতিমধ্যেই রাখাইনে গণহত্যার অভিযোগ এনে মায়ানমারকে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে (ICJ) দাঁড় করিয়েছে গাম্বিয়া। বিষয়টি জেরে আন্তর্জাতিক দিক থেকে প্রচুর চাপে রয়েছে মায়ানমার। আগামী ২৩ জানুয়ারি সেই মামলার রায় বের হওয়ার কথা। ঠিক সেই সময়ে চিনের প্রেসিডেন্টের এই সফরকে পাশে দাঁড়ানোরই শামিল বলেই মনে করেছেন বিশেষজ্ঞরা।

তাঁদের মতে, গত বছরের শেষ দিকে আন্তর্জাতিক আদালতে গাম্বিয়া মামলা করার পর মায়ানমার চিনের সঙ্গে সম্পর্ক আরও জোরদার করতে থাকে। রাখাইন থেকে রোহিঙ্গাদের তাড়ানোর সময়ও চিনের ভূমিকা ছিল কার্যত মায়ানমারের পক্ষেই। যদিও জিনপিংয়ের এই সফরে রোহিঙ্গা ইস্যুতে কোনও আলোচনা হবে কিনা তা জানা যায়নি।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ