Advertisement
Advertisement
ইদ

ইদে কুরবানির গরু কাটার সময় ছিটকে গেল চপার, মৃত নাবালিকা

গরু কাটার সময় জখম হয়ে ঢাকা হাসপাতালে ভরতি হয়েছে ২০০ জন।

Slipped knife hits, kills girl watching cow slaughtering in Bangladesh

মৃত মৌমিতা আক্তার

Published by: Soumya Mukherjee
  • Posted:August 13, 2019 7:24 pm
  • Updated:August 13, 2019 7:24 pm

সুকুমার সরকার, ঢাকা: বকরি ইদে কুরবানির জন্য গরু কাটছিল পরিবারের লোকেরা। পাশে দাঁড়িয়ে তা দেখছিল এক নাবালিকা। আচমকা কসাইয়ের হাতে থাকা চপার ছিটকে ঢুকে যায় তার পেটে। এর জেরে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় তার। সোমবার ঘটনাটি ঘটেছে মাদারিপুরে সদর উপজেলার দুধখালী ইউনিয়নের বড়কান্দি গ্রামে। মৃত নাবালিকার নাম মৌমিতা আক্তার(১০)। এর পাশাপাশি কুরবানি দিতে গিয়ে ঢাকা-সহ একাধিক জেলার ২০০ জন জখম হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। তাদের ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে ভরতি করা হয়েছে।

[আরও পড়ুন: দেড় ঘণ্টায় তিনবার গণধর্ষণ! থানায় আটকে অত্যাচার করায় কাঠগড়ায় ওসি-সহ ৫]

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত মৌমিতা দুধখালী ইউনিয়নের উত্তর দুধখালী বড়কান্দি গ্রামের আনোয়ার ব্যাপারীর মেয়ে। দুধখালী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রী ছিল। সোমবার পরিবারের লোকজন বাড়ির উঠোনে গরু কাটছিল। পাশে দাঁড়িয়ে তা দেখছিল কয়েকটি শিশু। এইসময় গরুটি নাড়াচাড়া করলে কসাইয়ের হাতে থাকা চপার ছিটকে গিয়ে মৌমিতার পেটে ঢুকে যায়। গুরুতর আহত অবস্থায় মাটিয়ে পড়ে যায় সে। পরে বাড়ির লোকজন সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। ওই ঘটনার এক প্রত্যক্ষদর্শী বলে, ‘গরুটি দাপাদাপি করছিল। এই সময় কসাইয়ের হাতে থাকা চপার ছিটকে গিয়ে মৌমিতার পেটে ঢুকে যায়। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় ওই শিশুটির।’

Advertisement

মাদারীপুর সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার(আরএমও) শশাঙ্ক ঘোষ বলেন, ‘মৌমিতার পেটের ভিতর থেকে শুরু করে আঘাত ফুসফুস পর্যন্ত লেগেছে। এটি বড় ধরনের আঘাত। এর ফলে হাসপাতালে আনার অনেক আগেই তার মৃত্যু হয়।’

Advertisement

[আরও পড়ুন: রাঙামাটিতে ব্রাশফায়ারে খুন ২ যুব নেতা, অভিযোগ জনসংহতি সমিতির বিরুদ্ধে]

এছাড়া সোমবার কুরবানি দিতে গিয়ে জখম ২০০ জন ভরতি হয়েছে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে। হাসপাতালের জরুরি বিভাগ সূত্রে জানা গিয়েছে, সকাল ৯টা থেকে বেলা ১১টা পর্যন্ত প্রায় ২০০ জন লোক জখম হয়ে হাসপাতালে ভরতি হয়েছে। এদের মধ্যে আশপাশের জেলাগুলি ছাড়াও ঢাকার হাজারিবাগ, ধানমণ্ডি, রামপুরা, বনশ্রী, মীরপুর, পুরনো ঢাকার বাসিন্দারা রয়েছে। ওই হাসপাতালের জরুরি বিভাগের আবাসিক সার্জন আলাউদ্দিন জানান, সকাল ৮টার পর থেকেই জখম হয়ে হাসপাতালে আসছিল মানুষ। বিকেল পর্যন্ত সংখ্যাটি ২০০ ছাড়িয়ে গেছে। এদের মধ্যে বেশিরভাগ লোকেরই হাত কাটা পড়েছে।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ