সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: শেখ হাসিনার সভায় গ্রেনেড হামলার অভিযোগে বেকসুর খালাস হলেন তারেক রহমান। নিম্ন আদালতের রায়ে দোষী সাব্যস্ত হয়েছিলেন বিএনপি প্রধান খালেদা জিয়ার পুত্র। কিন্তু রবিবার নিম্ন আদালতের সেই রায় খারিজ করে দিল ঢাকার হাই কোর্ট। খালেদাপুত্র-সহ সকল দোষীকেই বেকসুর খালাস ঘোষণা করেছে উচ্চ আদালত।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক আপাতত লন্ডনে রয়েছেন। সূত্রের খবর, তাঁকে দেশে ফেরানোর চেষ্টা চলছে। ইতিমধ্যেই লন্ডনে পৌঁছে গিয়েছেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। অসুস্থ খালেদার পরে তাঁর ছেলে দেশে ফিরে বিএনপির দায়িত্ব নেবেন, এমন জল্পনাই চলছে বাংলাদেশের রাজনৈতিক মহলে। উল্লেখ্য, হাসিনা প্রধানমন্ত্রী থাকার সময়ে লন্ডনে বাংলাদেশ হাই কমিশনে হামলায় মদত এবং বেআইনি আর্থিক লেনদেনের মামলায় তারেককে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছিল। গ্রেপ্তারি এড়াতে তিনি বাংলাদেশের বাইরে রয়েছেন।
এহেন পরিস্থিতিতে বাংলাদেশে বড়সড় স্বস্তি পেলেন খালেদাপুত্র। ২০০৪ সালে হাসিনার সভায় গ্রেনেড হামলার অভিযোগে যারা দোষী সাব্যস্ত হয়েছিলেন, তাঁদের সকলকেই বেকসুর খালাস করেছে হাই কোর্ট। উচ্চ আদালতের মতে, নিম্ন আদালতের রায়দানের প্রক্রিয়া বেআইনি ছিল। যাঁর বয়ানের ভিত্তিতে আদালত রায় দিয়েছিল, সেই বয়ানের প্রমাণ নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। যথাযথভাবে বয়ান খতিয়ে দেখেননি সংশ্লিষ্ট ম্যাজিস্ট্রেট। ফলে খালেদাপুত্র-সহ সকল অভিযুক্তকে বেকসুর খালাস করেছে হাই কোর্ট।
উল্লেখ্য, ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট তৎকালীন বিরোধী নেত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার উদ্দেশ্যে গুলিস্তানের বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউর জনসভায় গুলি ও গ্রেনেড হামলা করা হয়। হাসিনা জখম হলেও প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমানের স্ত্রী মহিলা আওয়ামি লিগের সভাপতি আইভি রহমান-সহ ২৫ জন নিহত হন। অভিযোগপত্র অনুযায়ী ৫২ জনের মধ্যে ৩ জনের অন্য মামলায় ফাঁসি কার্যকর হয়। গত ২০১৮ সালের ১০ অক্টোবর এই মামলার রায় দেয় আদালত। বিচারে ৪৯ জন অভিযুক্তের সাজা হয়, যার মধ্যে ১৯ জনের মৃত্যুদণ্ড, ১৯ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ১১ জনের বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড হয়।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.