সুকুমার সরকার, ঢাকা: শেখ হাসিনার প্রাক্তন শাসক দল আওয়ামি লিগের বিচার ও দলটির রাজনৈতিক কার্যক্রম নিষিদ্ধের সুস্পষ্ট রোডম্যাপ ঘোষণার দাবিতে প্রধান উপদেষ্টা ড. মহম্মদ ইউনুসের বাসভবন যমুনার সামনে অবস্থান নিলেন বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীরা। বৃহস্পতিবার রাত দশটা থেকে অবস্থান কর্মসূচি শুরু হয়। বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যমের দাবি অনুযায়ী, এখনও বিক্ষোভ চলছে।
জানা গিয়েছে, জাতীয় নাগরিক পার্টি, জুলাই ঐক্য শিবির, আপ বাংলাদেশ, গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদ, কওমি মাদরাসার শিক্ষার্থী, ইনকিলাব মঞ্চ, ছাত্রপক্ষের নেতাকর্মীরা অংশ নিয়েছেন ওই বিক্ষোভে। এছাড়াও বিভিন্ন সংগঠন উপস্থিত ছিল সেখানে। প্রধান উপদেষ্টার বাসভবনের সামনে পুলিশ-র্যাব অবস্থান নেয়। শিক্ষার্থীদের অবস্থান ছিল সড়কে। তাঁরা নানা স্লোগান দিতে থাকেন। যেমন ‘ওয়ান টু থ্রি ফোর, আওয়ামি লিগ নো মোর’, ‘খুনি লিগের ঠিকানা এই বাংলায় হবে না’, ‘আওয়ামি লিগ নিষিদ্ধ করতে হবে, ক্ষমতা না জনতা, জনতা জনতা’ ইত্যাদি। কর্মসূচিতে এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম, সদস্য সচিব আখতার হোসেন, আপ বাংলাদেশের আলি আহসান জুনায়েদ, রাফে সালমান রিফাত, মহম্মদ হিজবুল্লা, শিবিরের দপ্তর সম্পাদক সিবগাতুল্লাহ, ইনকিলাব মঞ্চের শরিফ ওসমান হাদি-সহ কওমি মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা অংশ নেন। এছাড়া এনসিপির মুখ্য সমন্বয়ক নাসিরুদ্দিন পাটোয়ারি, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক তাসনিম জারা, যুগ্ম আহ্বায়ক মনিরা শারমিন, নুসরাত তাবাসসুম, তাজনুভা জাবিন, সারোয়ার তুষার অংশ নিয়েছেন।
নির্বাচনের তোড়জোড় শুরু হয়েছে বাংলাদেশে। প্রশ্ন উঠছে, এই ভোটযুদ্ধে কি নামতে পারবে আওয়ামি লিগ? কারণ ছাত্র-জনতার ‘গণ অভ্যুত্থানে’ দেশ ছেড়েছেন দলের সভাপতি তথা বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তাঁর দলকে দ্রুত নিষিদ্ধ করে দেওয়ার দাবি তুলেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্ররা। তাঁদের নতুন রাজনৈতিক দল জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) নেতারা বলছেন, আওয়ামি লিগের বিচার না হওয়া পর্যন্ত দেশে কোনও নির্বাচন হবে না। এই দাবিতে এনসিপি ঢাকায় বড় সমাবেশও করেছে। এদিকে, যত দিন যাচ্ছে বিএনপির দ্রুত ভোটের দাবি জোরাল হচ্ছে। ফলে নির্বাচনের মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে দ্বন্দ্ব তৈরি হয়েছে ‘নতুন’ বাংলাদেশে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.