Advertisement
Advertisement
Bangladesh communal attacks

দু’হাজার অভিযোগে গ্রেপ্তার মাত্র ৩৫! তবু ইউনুস সরকার বলছে, ‘সংখ্যালঘু নির্যাতন বরদাস্ত নয়’

বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের দাবি, ধর্ম-বর্ণ-জাতি-লিঙ্গ নির্বিশেষে বাংলাদেশে মানবাধিকার প্রতিষ্ঠা করতে চাইছে ইউনুস সরকার।

The Interim Government has a zero-tolerance policy towards any communal attacks, Says Bangladesh Govt

ছবি- রয়টার্স

Published by: Subhajit Mandal
  • Posted:January 11, 2025 7:06 pm
  • Updated:January 11, 2025 7:06 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: হাসিনা সরকারের পতনের পর বাংলাদেশে হু হু করে বাড়ছে সংখ্যালঘু নির্যাতনের ঘটনা। একের পর এক অভিযোগ দায়ের হলেও কার্যত নীরব দর্শক প্রশাসন। অথচ, প্রকাশ্যে মহম্মদ ইউনুসের অন্তর্বর্তী সরকার বলছে, সংখ্যালঘু নির্যাতন রুখতে ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি নেওয়া হয়েছে। বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের দাবি, এই ধরনের কোনও অভিযোগ পেলেই অবিলম্বে গ্রেপ্তার করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে পুলিশকে।

বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের মুখ্য উপদেষ্টার উপপ্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার শনিবার পরিসংখ্যান দিয়ে দাবি করেছেন, ধর্ম-বর্ণ-জাতি-লিঙ্গ নির্বিশেষে বাংলাদেশে মানবাধিকার প্রতিষ্ঠা করতে চাইছে ইউনুস সরকার। তাঁর দাবি, সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের উপর পর মোট ১ হাজার ৭৬৯টি সাম্প্রদায়িক হামলা এবং ভাঙচুরের কাণ্ড ঘটেছে। এই হামলা, ভাঙচুর এবং লুটপাটের ঘটনাগুলোতে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের জীবন, সম্পদ ও উপাসনালয় মিলিয়ে ২ হাজার ১০টি অভিযোগ অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। এর মধ্যে ৬২টি অভিযোগ দায়ের হয়েছে। এবং গ্রেপ্তার হয়েছে ৩৫ জন।

Advertisement

ইউনুস সরকারের দাবি, সংখ্যালঘু নির্যাতনের যে অভিযোগ করা হচ্ছে তার অধিকাংশই রাজনৈতিক হিংসার ঘটনা। বেশ কিছু ঘটনা সাজানো বা ভুয়ো ঘটনা। বাংলাদেশ সরকার বলছে, এই অভিযোগগুলির মধ্যে ১৬১টির কোনও ভিত্তি নেই। আবুল কালাম আজাদ মজুমদার সাফ বলেছেন, “সরকার দেশে সাম্প্রদায়িক হিংসা রুখতে জিরো টলারেন্স নীতি নিয়েছে। পুলিশকেও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে সব অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করতে হবে।”

এছাড়াও প্রতিটি স্থান ও প্রতিষ্ঠান পুলিশ সরেজমিন পরিদর্শন করেছে। এছাড়া ক্ষতিগ্রস্তদের অভিযোগ দায়ের করতে অনুরোধ জানানো হয়েছে। তাদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। তদন্তের ভিত্তিতে নিয়মিত মামলা, সাধারণ ডায়েরি (জিডি) এবং প্রয়োজনীয় আইনগত পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। পুলিশ সংখ্যালঘু নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছে। নির্যাতন রুখতে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিচ্ছে পুলিশ।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement