Advertisement
Advertisement

Breaking News

বিজিবি-বিএসএফ

‘BSF-BGBর মধ্যে গুলি বিনিময় অনভিপ্রেত’, জলঙ্গির ঘটনায় মন্তব্য বাংলাদেশ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর

বৃহস্পতিবার জলঙ্গি সীমান্তে বিজিবির গুলিতে মৃত্যু হয় বিএসএফ হেড কনস্টেবলের।

'Unwanted incident', says Home Minister of Bangladesh on Jalangi firing
Published by: Sucheta Sengupta
  • Posted:October 18, 2019 6:40 pm
  • Updated:October 18, 2019 6:40 pm

সুকুমার সরকার, ঢাকা: বিজিবি-বিএসএফের মধ্যে গোলাগুলির ঘটনা অনভিপ্রেত, অনাকাঙ্ক্ষিত। এমনই মন্তব্য বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান কামালের। তিনি বলেন, ‘বিএসএফ ফ্ল্যাগ মিটিংয়ের জন্য অপেক্ষা না করে আটক মৎস্যজীবীকে ছেড়ে দেওয়ার জন্য চাপ তৈরি করছিল। তাই গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে।’
ঢাকা সূত্রে খবর, বৃহস্পতিবার ভারতীয় মৎস্যজীবীরা পদ্মায় ইলিশ শিকারের সময় রাজশাহীর চারঘাট সীমান্ত থেকে এক মৎস্যজীবীকে বিজিবি আটক করে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কথায়, ‘বিজিবির তথ্য অনুযায়ী, পতাকা বৈঠকের অপেক্ষা না করে বিএসএফ আটক মৎস্যজীবীকে ছেড়ে দেওয়ার জন্য জোরাজুরি করছিল। আর তখনই এই গোলাগুলির ঘটনা ঘটে গিয়েছে। এতে একজন বিএসএফ সদস্য মারা যান। বিজিবি মহাপরিচালক ও বিএসএফের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার সঙ্গে আলাপ-আলোচনা চলছে। আমরা মনে করি, এটা ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে। আলোচনার মাধ্যমে এর একটা সুরাহা হবে।’ শুক্রবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

[আরও পড়ুন: পুনরায় চালু করা হবে ভারত-পাক যুদ্ধে বন্ধ রেলপথ, জানালেন হাসিনা]

বৃহস্পতিবার মুর্শিদাবাদের জলঙ্গিতে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে দু দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর মধ্যে রুটিনমাফিক ফ্ল্যাগ মিটিংয়ের আগেই বিজিবির গুলিতে মৃত্যু হয়েছে বিএসএফের হেড কনস্টেবলের। আহত আরও ১ জওয়ান। এ নিয়ে সাময়িক হলেও দুই প্রতিবেশী দেশের ধ্যে সাময়িক উত্তেজনার পরিবেশ তৈরি হয়। কিন্তু শুক্রবার সাংবাদিক সম্মেলনে বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদু্জ্জামান কামাল বলেন, ‘বিজিবি-বিএসএফের মধ্যে একটা অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটে গেছে। বিজিবি ও বিএসএফের মধ্যে চমৎকার একটা সম্পর্ক রয়েছে। হঠাৎ করে এই দুর্ঘটনায় আমরা সবাই মর্মাহত হয়েছি।’ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, ‘আপনারা নিশ্চয়ই জানেন, আমাদের মাছ ধরার জন্য ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা চলছে। বিজিবি ও মৎস্য অধিদপ্তর যৌথ টহল দিচ্ছিল। সেই সময় তারা দেখে একটা নৌকায় করে কয়েকজন মৎস্যজীবী ইলিশ শিকার করছে। তাদের চ্যালেঞ্জ করলে জানা যায়, তারা ভারতীয় মৎস্যজীবী। তাদেরকে যখন আটক করা হয় তখন, তাদের কয়েকজন বিএসএফকে খবর দিলে তারা সেখানে চলে আসে। সেখানেই ভুল বোঝাবুঝি হয়।’
তিনি আরও জানান, বিজিবির মহাপরিচালক ও বিএসএফ প্রধানের সঙ্গে কথা হয়েছে। প্রয়োজনে উভয়পক্ষ বসে আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে বিষয়টি সমাধান করা হবে। এর আগে দুজন র‍্যাব সদস্যকে বিএসএফ ধরে নিয়ে গিয়ে চোখ বাঁধা অবস্থায় ফেরত দেয়। এই প্রসঙ্গ তুলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এদিন বলেন, ‘সেখানে র‍্যাব টহল দিতে গিয়ে ভুল করে ভারতীয় সীমানায় ঢুকে গিয়েছিল। সেজন্যই এই ঘটনাটি ঘটেছে। বিএসএফ তাদের দুজনকে চোখ বাঁধা এবং আহত অবস্থায় আমাদের কাছে হস্তান্তর করেছে। সেটাও একটা বৈঠকের মাধ্যমে সুরহা হয়েছিল।’

Advertisement

[আরও পড়ুন: মায়ানমারকে ৫০ হাজার রোহিঙ্গা শরণার্থীর তালিকা দিল বাংলাদেশ]

বিজিবির দাবি, সোমবার চারঘাট বর্ডার আউটপোস্টের কাছে বাংলাদেশ ভূখণ্ডের অন্তত ৩৫০ গজ ভিতরের জলসীমায় ঢুকে পড়ে ৪ ভারতীয়মৎস্যজীবী। ইলিশ ধরায় নিষেধাজ্ঞা থাকা সত্ত্বেও তাঁরা তা শিকার করছিল বলে ১জনকে আটক করা হয়। বাকিরা পালিয়ে যায়। সেই ঘটনা থেকেই এমন জটিলতা তৈরি হয়েছে।

Advertisement

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ