নিজস্ব সংবাদদাতা, ঢাকা: জুলাই অভ্যুত্থানের পর অন্তর্বর্তী সরকারের বদলে স্থায়ী সরকার চায় বাংলাদেশের আমজনতা। ভোটের দামামাও বেজে গিয়েছে সেখানে। কিন্তু নির্বাচনে সবাই অংশ নিতে পারবে না। শনিবার এক অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের অ্যাটর্নি জেনারেল জানিয়ে দিয়েছেন, জুলাই অভ্যুত্থানে মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে যারা সাজাপ্রাপ্ত, তারা আগামী নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না। তিনি বলেন, রাজনৈতিক দলের মধ্যে যতই ভিন্ন মত থাকুক, ‘ফ্যাসিস্ট’ আওয়ামি লিগের বিরুদ্ধে সব দল ঐক্যবদ্ধ। মানবতাবিরোধী অপরাধে দল হিসেবে আইসিটি (International Criminal tribunal) আইনে আওয়ামি লিগের বিচার করা যাবে। এই ফ্যাসিবাদের সঙ্গে যারা জড়িত, তাদেরও আইনের আওতায় আনার সুযোগ রয়েছে।
শনিবার রাজধানী ঢাকার তেজগাঁওয়ে জুলাই আন্দোলনের চেতনা বাস্তবায়নে করণীয় নিয়ে ছায়া সংসদ – ডিবেট ফর ডেমোক্রেসি অনুষ্ঠিত হয়। এখানে উপস্থিত হয়ে সাংবাদিকদের নানা প্রশ্নের উত্তর দেন অ্যাটর্নি জেনারেল। তাঁর কথায়, ”জাতীয় ঐক্যমত গঠনের ক্ষেত্রে রাজনৈতিক দলগুলির মধ্যে যে মতপার্থক্য রয়েছে, তা মতবিরোধ নয়। আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করা সম্ভব। ফ্যাসিস্টের বিরুদ্ধে সব দলই ঐক্যবদ্ধ।”
অনুষ্ঠানে ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ বলেন, ”আগামীতে যাঁরা ক্ষমতায় আসবেন, তাঁদের অবশ্যই জনগণের পক্ষে থাকতে হবে।” এর জন্য তিনি সরাসরি শেখ হাসিনা সরকারের দিকে আঙুল তুলেছেন। তাঁর কথায়, ”জুলাই হত্যাকাণ্ডের দায় আওয়ামি লিগ এড়াতে পারে না। এই আন্দোলনে প্রতিটি হত্যাকাণ্ডই পলাতক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সম্মতি ছাড়া হয়নি। গত ১৫ বছরে আওয়ামী সরকার যেভাবে গুম-খুন, হত্যা, অত্যাচার, আয়নাঘর তৈরি মাধ্যমে যে নির্যাতন করেছে, তা ক্ষমার অযোগ্য। শেখ হাসিনা ছিলেন অত্যাচারী, নির্দয় ও খুনি। সারা বিশ্বের ফ্যাসিস্ট রেজিমের মুখপাত্র শেখ হাসিনা। এই উপমহাদেশের ৭০০ বছরের ইতিহাসে তিনি দ্বিতীয় ব্যক্তি, যিনি জনরোষে ক্ষমতা ছেড়ে দেশ থেকে পালাতে বাধ্য হয়েছেন।” সবমিলিয়ে, বাংলাদেশের নির্বাচনী পরিবেশে আওয়ামি লিগ বিরোধী হাওয়া তীব্র থেকে তীব্রতর হচ্ছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.