ফাইল ছবি
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: শেখ হাসিনার আমলে বাংলাদেশের একাধিক নির্বাচনের অস্বচ্ছতার অভিযোগ উঠেছিল। দেশের অন্দরেই আলোচনা হত, ব্যাপক রিগিং করে বারবার ক্ষমতায় ফিরছেন মুজিবকন্যা। এমনও সমালোচনা শোনা গিয়েছে যে একচ্ছত্র আধিপত্য বজায় রাখতে তখনকার ক্ষমতাসীন আওয়ামি লিগ বিরোধীদের অংশগ্রহণই করতে দিত না। একাধিক রাজনৈতিক দলকে নিষিদ্ধ করা হয়েছিল সেসময়। এবার বাংলাদেশের ক্ষমতায় নোবেলজয়ী ডক্টর মহম্মদ ইউনুসের অধীনস্থ অন্তর্বর্তী সরকার। আর তারা হাসিনা আমলের নির্বাচনগুলির সেই ‘কলঙ্ক’ খুঁজে বের করতে আগ্রহী। গত তিনটি সাধারণ নির্বাচন নিয়ে এবার তৈরি হল তদন্ত কমিটি। সেপ্টেম্বরের মধ্যে রিপোর্ট দেওয়ার কথা সেই কমিটির।
২০১৪, ২০১৮ এবং ২০২৪ সালে বাংলাদেশের সাধারণ নির্বাচনগুলিতে হাসিনার দলের জয়জয়কার দেখা গিয়েছিল। কিন্তু সেই নির্বাচনী ফলাফলের স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। শেষ অর্থাৎ ২০২৪ সালের ভোটে হাসিনা ফের ক্ষমতায় এলেও মাস ছয়েকের মধ্যেই তাঁর সরকারের পতন ঘটে। গত বছরের জুলাইতে সংরক্ষণ বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের প্রবল চাপে ক্ষমতা ছেড়ে দেশত্যাগ করতে বাধ্য হন মুজিবকন্যা। আপাতত তিনি নয়াদিল্লির গোপন রাজনৈতিক আশ্রয়ে রয়েছেন।
এদিকে দেশের অরাজক পরিস্থিতিতে আগস্টে দায়িত্ব দেওয়া হয় অন্তর্বর্তী সরকারকে। তার প্রধান উপদেষ্টা হন নোবেলজয়ী ড. ইউনুস। এবার দেশে গণতান্ত্রিক সরকার গঠনের জন্য তাঁর উপর চাপ বাড়ছে। ইউনুস জানিয়েছেন, আগামী বছর অর্থাৎ ২০১৬ সালের এপ্রিলে নির্বাচন হতে পারে। কিন্তু তাঁর সেই সময়সীমা মানতে নারাজ বিরোধী দলগুলি। তাঁদের দাবি, এবছর ডিসেম্বরের মধ্যেই নির্বাচন চাই। ইউনুস সরকারের দাবি, পরবর্তী নির্বাচনে যাতে অস্বচ্ছতার অভিযোগ না ওঠে, সেই রাস্তা প্রশস্ত করতে বিগত নির্বাচনগুলির গলদ নিয়ে তৈরি করা হল তদন্ত কমিটি। বৃহস্পতিবার ক্যাবিনেটের তরফে বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে। সেই অনুযায়ী, হাই কোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি শামিম হাসনাইনের নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের কমিটি তৈরি হয়েছে। কমিটির সদস্যরা সমস্ত অভিযোগ খতিয়ে দেখে ৩০ সেপ্টেম্বর অর্থাৎ তিনমাসের মধ্যে রিপোর্ট পেশ করতে হবে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.