দীপঙ্কর মণ্ডল: পরপর ছ’দিন প্রশ্নফাঁস৷ সিআইডি ঘটনার তদন্তভার নেওয়ার পরেও বিশেষ লাভ হয়নি৷ এই পরিস্থিতিতেই আরও দু’জনকে গ্রেপ্তার করল সিআইডি৷ তদন্তকারীদের দাবি, ধৃতরা মালদহের বাসিন্দা৷ দু’জনই প্রশ্নফাঁসের ঘটনার সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত ছিল৷ সিআইডি সূত্রে খবর, ‘খোকাবাবু ৪২০’ নামে হোয়াটসঅ্যাপে একটি গ্রুপ তৈরি করে নিজেদের মধ্যে প্রশ্ন চালাচালি করত ধৃতেরা৷
১২ ফেব্রুয়ারি শুরু হয় মাধ্যমিক৷ পরীক্ষার প্রথম দিন থেকে ফাঁস হতে শুরু করে প্রশ্নপত্র৷ একে একে ছ’দিনে ছ’টি প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়ে যায়৷ সপ্তম দিনেও ফাঁস হয়ে যায় জীবনবিজ্ঞানের ‘ভূতুড়ে’ প্রশ্নপত্র৷ তবে সপ্তম দিন অর্থাৎ জীবনবিজ্ঞান পরীক্ষার ফাঁস হয়ে যাওয়া ‘ভূতুড়ে’ প্রশ্ন মূল প্রশ্নের সঙ্গে মেলেনি৷ প্রসঙ্গত, গত বছর উত্তরবঙ্গের এক স্কুল থেকে প্রশ্নফাঁসের ঘটনায় তীব্র চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছিল শিক্ষা মহলে। প্রধান শিক্ষক এবং অভিযুক্ত শিক্ষককে জবাবদিহি করা হয়৷ শাস্তিও পেতে হয়েছিল তাকে৷ সেখান থেকে শিক্ষা নিয়ে এবছরই প্রথম স্কুলের প্রধান শিক্ষকদের ওপর পরীক্ষাকেন্দ্রের ভার দিতে চায়নি পর্ষদ। বদলে পর্ষদ মনোনীত সরকারি আধিকারিকদের ওপরেই পর্যবেক্ষণের দায়িত্ব দেওয়া হয়ছিল। কিন্তু তারপরেও ছ’টি প্রশ্নপত্রই ফাঁস হয়ে গিয়েছে। এতেই সমালোচনার মুখে পর্ষদের ভূমিকা৷
এই পরিস্থিতিতে প্রশ্নফাঁসের ঘটনার তদন্তে নেমেছে সিআইডি৷ তদন্তের শুরুতে বিধাননগর সাইবার ক্রাইম থানার সাহায্যে প্রশ্ন ফাঁসে অভিযুক্ত ৩ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়৷ পরে আরও ২ জন সন্দেহভাজনকে গ্রেপ্তার করেন গোয়েন্দারা। ধৃতরা শাহবুল আমিন, শাহবাজ মণ্ডল, সাজিদুর রহমান। আটক দুজনের নাম, পরিচয় এখনও জানা যায়নি। প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে, এই পাঁচ অভিযুক্তের মধ্যে রয়েছে দুজন উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার্থী। মালদহের কালিয়াচক এবং হুগলির পাণ্ডুয়ার বাসিন্দা তারা৷ বৃহস্পতিবার এই ঘটনায় আরও দু’জনকে গ্রেপ্তার করল সিআইডি৷ তদন্তকারীদের দাবি, ধৃতরা মালদহের বাসিন্দা৷ দু’জনই প্রশ্নফাঁসের ঘটনার সঙ্গে জড়িত৷ সিআইডি সূত্রে খবর, ‘খোকাবাবু ৪২০’ নামে হোয়াটসঅ্যাপে একটি গ্রুপ তৈরি করেছিল দুজনে৷ নিজেদের মধ্যে প্রশ্নের পাশাপাশি উত্তরও চালাচালি করত ধৃতরা৷
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.